আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
১.কেউ যদি নামাজের শেষ বৈঠকে নিতম্বের উপর বসে। এটা দেখে কারও মনে যদি ঠাট্রা পায় বা হাসি পায় তাহলে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
২.যদিও সে হাদিস সম্পর্কে জানে, তারপরও তার মনে যদি হাসি পায় বা ঠাট্রা পায় তাহলেও কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?         ৩.কোন মুস্লিম সেলিব্রিটির বাড়িতে যদি পুজা হয়, যেহেতু তার সতমা হিন্দু এজন্য মনে হয় বাড়িতে পুজা করে।   আমি মোবাইলে দেখছি মুর্তি নিয়ে তার ও তার বোনসহ গোটা পরিবারের  উল্লাস করার ছবি। এজন্য আমি মনে করেছি সে নামে মুসলিম। যেহেতু  সে মুর্তি নিয়ে উল্লাস করতেছে, তাহলে সে কিভাবে মুসলিম থাকে? সে মনে হয় মুসলিম নয়। এই কথা মনে করার দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  
৪.যদি কেউ হিন্দুদের পুজার সময় আনন্দ উল্লাস করে, তাহলে সে কি মুসলিম থাকে,আর যদি কেউ সব ধর্মের উৎসব পালন করে তাহলে সে কি মুসলিম থাকে?

৫.হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন জানতাম না, ঈমান ভংগের কারন জানার পর বিভিন্ন কথা মনে পরতেছে। এ থেকে পরিত্রানের উপায় কি?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে ঈমান চলে যাবেনা।
তবে কোনো হাদীসকে নিয়ে ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যাবে।

(০৩)
এই কথা মনে করার দ্বারা ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(০৪)
মূর্তি পূজা করলে ঈমান চলে যায়।

https://ifatwa.info/37050/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

পূজা দেখে উপভোগ করার অর্থ যদি এমন হয় যে,এটা আমাদের ধর্ম থেকে উত্তম প্রার্থনা পদ্ধতি, আমিও এমন করতে চাই,বা আমাদের ধর্মে কেন এমন হলোনা?
তাহলে ঈমান চলে যাবে।

আর যদি এমন না হয়, বরং পুজায় সংগঠিত ঘটনা বা তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে উপভোগ করা হয়, কিন্তু অন্তরে পুজাকে ঠিকই গৃনা করা হয় বা পুজাকে নিজের জন্য অপছন্দ করা হয়,তাহলে তার আসল(ত্রুতিপূর্ণ)ঈমান অবশ্যই বাকী থাকবে,যদিও তার মধ্যে কামিল ঈমানের লেশমাত্রও বিদ্যমান থাকবে না।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মূর্তি পূজা করলে ঈমান চলে যায়।

আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

একজন মানুষ যত ভালো কাজই করুক কিন্তু সে যদি র্শিক করে আল্লাহ তাআলার কাছে তার কোনো কিছুরই মূল্য নেই। এজন্য কিয়ামতের দিবসে মুশরিকরা যত ভালো কাজই নিয়ে আসুক আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে ধুলিকণা-রূপ করে দিবেন।

 আল্লাহ বলেন-
وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰی مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا.
তারা (দুনিয়ায়) যা-কিছু আমল করেছে, আমি তার ফায়সালা করতে আসব এবং সেগুলোকে শূন্যে বিক্ষিপ্ত ধুলোবালি (-এর মত মূল্যহীন) করে দেব।  -সূরা ফুরকান (২৫) : ২৩
.
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি যদি মুূর্তি পুজা করে,তাহলে তার তার ঈমান চলে যাবে।

তবে যদি পূজা না করে, এমনিতেই সেই অনুষ্ঠানে যায়, 
 গান বাজনা,আনন্দ করে,কিন্তু মুূর্তি পুজা না করে,তাহলে তার ঈমান যাবেনা।
তারপরেও তাকে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
এটা শয়তানী ওয়াসওয়াসা।
,
এগুলো চিন্তা মাথায় আসলেই বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
তিনবার পড়বেন।
প্রয়োজনে বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 193 views
...