আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম। পুরো কন্টেন্ট টা পড়ে উত্তর দেয়ার অনুরোধ।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করে ওজু করলে কি ওজু হবে ?
নাকি ডাবল কলিজিং করে তারপর ওজু করতে হবে?
এই নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নাই। সেই সাথে একই প্রশ্ন নিয়ে বার বার গ্রূপে পোস্ট করেন , আবার অনেকেই আমাদের কে ইনবক্স করেন। এই প্রশ্ন এখন বড় মাথা ব্যাথা। অনেকই আছেন ফরজ ব্যাপারে খবর নাই নফল নিয়া টানা টানি। ☹️

ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে আমরা বলবো না, এই ব্যাপারে আমরা নিজেরাই ভালো জানি না। তবে এই ব্যাপারে ক্লিয়ার জানতে হলে অবশ্যই একজন ভালো  আলেমের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।
আমরা একটু সানস্ক্রিনের ব্যাপারে শর্ট সামারি করবো, হয়তো এটা অনেককে বুঝতে সাহায্য করবে।
সানস্ক্রিন প্রথমতঃ ২ ধরনের। একটি ক্যামিকেল অন্যটি ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন।
ক্যামিকেল সানস্ক্রিন = oxybenzone, avobenzone, octisalate, octocrylene, homosalate, or octinoxate.
ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন = titanium dioxide, zinc oxide, or both. + ক্যামিকেল ফিল্টার্স।
এই দুই ধরনের সানস্ক্রিনের মূল পার্থক্য এই  Active Ingredients .
এটা মোটামুটি সবাই জানেন। এবার আসি ক্যামিকেল সানস্ক্রিন কিভাবে কাজ করে ও ফিজিক্যাল সানস্কিন কিভাবে কাজ করে সেটা জানি। এটার একটি ভিজুয়াগ্রাফি প্রথম কমেন্টে দেওয়া আছে। দেখলে অনেকেই যারা জানেন না তারা ক্লিয়ার ধারণা পাবেন।
ক্যামিকেল সানস্ক্রিন মূলতঃ আমাদের ত্বক পুরোপুরি এবজর্ব করে নেয়। অন্যদিকে ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বকের বাইরে একটি প্রোটেকশন লেয়ার তৈরি করে। তাই ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বক এবজর্ব করে না। নীচে কমেন্টে ছবিটি দেখুন।
ক্যামিকেল সানস্ক্রিন মূলতঃ UVA & UVB এই দুটো রশ্নিকেই শোষণ করে নেয় ( যেহুতু ক্যামিকেল সানস্ক্রিন ত্বক এবজর্ব করে নেয় )। এই সূর্যের রশ্নি গুলো শোষণ করে তাপ হিসাবে এটি ত্বক থেকে বের করে দেয়।
(১) পয়েন্ট হলো যেটা আপনার ত্বক পুরোপুরি এবজর্ব করে নেয় সেটা আপনি কিভাবে ক্লীন করবেন? আপনার ত্বক কি জামা কাপড় যে আঁচড়ে আঁচড়ে ধূবেন ?
ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন যেহুতু ত্বকের উপরের সারফেস একটি প্রোটেক্টিভ লেয়ার তৈরি করে তাই , সূর্যের UVA & UVB রশ্নি রিফ্লেক্ট হয়ে বাইরে ফিরে যায়। যেমনটি আয়নায় লাইট মারলে উল্টা রিফ্লেক্ট করে আপনার মুখের উপরে পড়ে।
(২) এই পয়েন্টে বুজলাম যে চাইলেই সানস্ক্রিন ক্লীন করে ফেলা যাবে যেহুতু এটি ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন।
পোর ক্লগ ব্যাপারে এবার কথা বলি। মেইন পয়েন্ট এখানেই। বেশিরভাগ মানুষ ধারণা করেন সানস্ক্রিন পোর ক্লগ করে , তাই ওযুর সময় পোরের ভিতরে পানি না গেলে ওযু হবে না। এই ব্যাপারটি অনেক হার্ড লাইন, তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে আমি যেটা মনে করি সেটায় বলি।
পোর কেনো ক্লগ হয় ?
মেকআপ , ধুলাবালি , ত্বকের এক্সেস অয়েল , ডেড সেল , কমেডেজনিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ইত্যাদি অনেক কারণে পোর ক্লগ হয় এটা নিশ্চয় জানি। অন্য সব বিষয় বাদ ! শুধুমাত্র কথা বলবো ত্বকের এক্সেস অয়েল নিয়ে।
আপনি ফেসওয়াস বাদে শুধুমাত্র পানি দিয়ে আপনার ত্বকের এক্সেস অয়েল ক্লীন করতে পারবেন ? উত্তর না ! ১০০% ক্লীন কখনোই সম্ভব না। অনেকেই আছেন সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না, কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন না তারপরও তার পোর্স ক্লগ হয়। কারণ কি ? ত্বকের এক্সেস অয়েল , ডেড সেল, ঘাম ইত্যাদি পোর ক্লগ করছে। তারমানে ত্বকের এক্সেস অয়েল ও ডেড সেল পোর ক্লগ করে বা করতে পারে এটাতে সবাই একমত ?
যদি পোর ক্লগ ওযু না হবার প্রধান কারণ হয়, তাহলে অনেকেই আছে যারা কিছু ব্যবহার করেন না। তাদের ওযুর ব্যাপারে সন্দেহ থেকে যায় ! ( পার্সোনালি আমি মনে করি। কারণ এক্সেস অয়েল পোর ক্লগ করছে, ওযুর পানি পোরের ভিতরে পৌঁছনোর কোন সুযোগ নাই, সুতরাং .......... ( যুক্তিতে ইসলাম ধর্ম চলে না। তবে এই ব্যাপারে প্রশ্ন থেকেই যাই আপনার জন্য। আমরা স্বীকার করি ইসলাম পরিপূর্ণ ধর্ম)
এবার আসি কমেডোজনিক প্রোডাক্টে। অনেকেই আছে ( বেশিরভাগ ) জানেন না কমেডোজনিক কি আর নন কমেডোজনিক কি। কমেডোজনিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে আপনার পোর ক্লগ হবে, এটা ১০০% নিশ্চিত ! আপনি সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেন না , লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেন যেটা কমেডোজনিক। এই কমেডোজনিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পর অনেকেই ওযুর আগে ফেসওয়াস বা ডাবল ক্লিনজিং করে ফেস ওয়াস করেন না। কমেডোজনিক প্রোডাক্ট যেহুতু পোর ক্লগ করে তাহলে এই ক্ষেত্রেও আপনার ওজু নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।
দেখুন আমি তর্ক বা বিতর্কে যাচ্ছি না, সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে পোর ক্লগ হয়, তাই এটা ব্যবহার করলে ওজু হবে না এমনটাই তো সবাই যুক্তি দেখান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই বিস্তারিত আলোচনা।
ক্যামিকেল ও ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন আবার দুই ধরনের । এক ওয়াটার প্রুফ অন্যটি নন ওয়াটার প্রুভ ( ওয়াটার প্রুভ না ) ।
এখন প্রশ্ন থাকে , তাহলে ওয়াটার প্রুফ সানস্কিনে তো পানি লাগলেও সেটা ত্বক ভিজে না। তাহলে ওজু হবে না। এই বিষয়ে আমিও একমত, যে ওয়াটার প্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে আপনি ওয়াটার প্রুফ সানস্ক্রিন রিমুভ করে তারপর ওজু করতে হবে। এছাড়া ওজু হবে না।
এরপরও অনেকেই বলেন যে না সানস্ক্রিন মানেই ডাবল ক্লিনজিং , সানস্ক্রিন মানেই পোর ক্লগ করবেই।
আমার একটি প্রশ্ন আপনার কাছে ," আপনার সানস্ক্রিন কি কমেডোজনিক ? "
এখন তো বেশিরভাগ ব্রান্ডের সানস্ক্রিন নন কমেডোজনিক। তাহলে এখানে পোর ক্লগের ব্যাপারটি আসলো কিভাবে ? আপনার সানস্ক্রিন যদি কমেডোজনিক হয় তাহলে সেটার বিষয় একদম ভিন্ন। পয়েন্ট (১) এ বলেছি ক্যামিকেল সানস্ক্রিন সম্পূর্ণ এবজর্ব করে নেয় ত্বক সুতরাং ত্বকের উপরের  সারফেসে কোন কিছুই থাকে না। নন কমেডোজনিক হলে পোর ক্লগের বিষয় থাকে না আর।
পয়েন্ট (২) আপনি যদি ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে সানস্ক্রিন ক্লীন করে নিতে হবে। কারণ ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বকের উপরিভাগে প্রোটেক্টিভ শিল্ড তৈরি করে। এক্ষত্রে পোর ক্লগ হতেও পারে নাও হতে পারে, আপনার সানস্কিনের উপর নির্ভর করে। তবে সেফ জোনে থাকার জন্য ভালো করে ক্লীন করে নেওয়াই বেটার।
এবার প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনারা হুদায় ডাবল ক্লিনজিং ডাবল ক্লিনজিং করে প্যাচান ক্যান ? সানস্ক্রিন যদি নন কমেডোজনিক হয় তাহলে ডাবল ক্লিনজিং এর দরকার কি ?
এই বিষয়ে এই পোস্টে আলোচনা করবো না। এটা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট আছে আমাদের গ্রূপে ও ওয়েবসাইটে। প্রয়োজন মনে হলে গ্রূপ থেকে অথবা ওয়েবসাইট থেকেই পড়ে নিবেন।
তবে একটি ব্যাপারে ক্লিয়ার করি, ডাবল ক্লিনজিং মাস্ট করতেই হবে এটার কোন সোর্স নাই। তবে ডাবল ক্লিনজিং করতেই হবে কারণ - আপনার বসবাসের পরিবেশ , লাইফস্টাইল , আপনার ত্বকের ধরন ইত্যাদি অনেক কারণে।
এখন প্রশ্ন থাকে ঘুরে ফিরে ওযুর আগে তাহলে ডাবল কলিজিং করতে হবে ?
উত্তরঃ না ! ( যদি ওয়াটার প্রুফ হলে সানস্ক্রিন ক্লীন যেভাবে করতে হয় সেভাবেই করবেন, যদি ডাবল ক্লিনজিং দরকার হয় করবেন। নন ওয়াটার প্রুফ সানস্কিনের জন্য হলে ডাবল ক্লিনজিং করতে হবে না। )
তাহলে তো ওযু হবে না। কি করবো ?
এবার আপনি একজন ভালো আলেমের শরণাপন্ন হন। তাঁর কাছ থেকে জেনে নিন , পেজে পেজে ইনবক্স অথবা গার্লস গ্রূপে গ্রূপে পোস্ট করে কখনোই এর সমাধান পাবেন না আপনি।
তর্ক বা বিতর্কের জন্য এই পোস্ট নয়। লজিক্যালি স্কিন সায়েন্স কি বলে সেটাই বোঝার চেষ্টা। ওযূ হবে কি হবে না এই তর্কে যাবো না।
আপনার কি মনে হয় সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানবেন। আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাদের বিষয়টি আরো বুঝতে সুবিধা করবে।
১) এই পুরো কথার আলোকে সান্সক্রিন ইউজ করা যাবে?আমি জানি পানি প্রতিরোধক হলে যাবে না যা আস্তরন তৈরি করে ত্বকে।ওয়াটার বেইজড সান্সক্রিন ইউজ করা যাবে কি তাহলে?
ওয়াটার রেসিস্টেন্ট আর ওয়াটার প্রুফ এর পার্থক্য আমি খুজে পাইনা।অনেকে বলে যে ওয়াটার রেসিস্টেন্ট হলে ওযু হবে।

২) আমি কিছু স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট একটা ওয়েবসাইট থেকে ক্র‍য় করি।কিছু প্রডাক্ট ইন্ডিয়ান সন্দেহ হওয়ায় আমি তাদের জিজ্ঞেস করে নেই।কিন্তু একটা প্রডাক্ট যেটা কিনা আমেরিকান ব্রান্ড সেটা আমাকে ইন্ডিয়ান প্রডাক্ট দেয়া হইসে এবং এইটা আমার কোন সন্দেহ ছিল না।বাসায় আসার পর দেখলাম মেইড ইন ইন্ডিয়া। আর সেইম প্রডাক্ট টা একটা রিসার্চ করতে গিয়ে এওটার তথ্য পেয়ে গেলাম যে এইটা নাকি হারাম গুগল বলতেসে। ব্রান্ড টা হচ্ছে নিউট্রিজেনা।এইটার সব প্রডাক্ট এ নাকি শুকর এর চর্বি ইউজ হয়।পরে তাদের বললাম চেঞ্জ করে দিতে দিবে না।আমাকে ইনগ্রিডেয়েন্ট লিসট ধরায় দিয়ে বলল এইখানে এইটায় শুকর এর চর্বি নাই।এই যে ইনগ্রিডিয়েন্ট লিস্ট ঃWater, Sodium Laureth Sulfate, Glycerin, Lauryl Glucoside, Cocamidopropyl Betaine, PEG-120 Methyl Glucose Dioleate, Salicylic Acid, Sodium Cocoamphoacetate, Salicylic Acid, Methylparaben, Polysorbate 20, Sodium Citrate, Fragrance, Phenoxyethanol, Citric Acid, Disodium EDTA, Yellow 5, Red 33. আর প্রডাক্ট টা হচ্ছে একটা ফেসওয়াশ।আমি কি এইটা ইউজ করতে পারব নাকি ফেলে দিব।

1 Answer

0 votes
by (567,180 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


পবিত্রতা (অযু/গোসল) ব্যতীত নামাজ কবুল হবে নাঃ

 عَنْ اَبِى الْمَلِيْحِ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلَا صَدَقَةً مِنْ غُلُوْلٍ 

– অর্থঃ হযরত আবূ মালিহ তাঁর পিতা (উসামা রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করবেন না এবং অবৈধ সম্পদের সাদকাও কবুল করবেন না। (সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-০৬)

অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।

হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)

শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে  ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে। 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সানস্ক্রীন যেটাই হোক,সেটি যদি অযুর ক্ষেত্রে অযুর ফরজ অঙ্গে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,তাহলে এতে অযু হবেনা।

জানা মতে ওয়াটার প্রুফ ব্যাতিত অন্যান্য সাধারণ প্রডাক্ট গুলো চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনা।
তবে কোনো সানস্ক্রীন এর ক্ষেত্রে যদি সন্দেহ সৃষ্টি হয়,সেক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
তারা যদি বলে যে ইহা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,সেক্ষেত্রে তাহা ব্যবহার করা যাবেনা।

(০২)
যেসব প্রডাক্টে হারামের মিশ্রণ রয়েছে,সেগুলোর ব্যবহার জায়েজ নেই।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে যেসব পন্যে হারাম উপাদান পাওয়া গিয়েছে,
হারামের সংশ্লিষ্টতা থাকায় সেগুলোর ব্যবহার জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...