নাপাকী নিয়ে জরুরি প্রশ্ন এবং ওয়াসওয়াসা নিয়ে পরামর্শ

Question

আজকে কাপড় ধুতে গিয়ে হাত ছিল যায়। ছবি দিয়েছি দেখবেন দয়া করে। এধরনের ছিলে তে সাধারণত রক্ত কিছু বের হয়না। এটা ভেবে ওভাবেই কাপড় ধুয়ে নেই। এখন সন্দেহ হচ্ছে যে তরল বের হয়েছে কিনা ? পড়ে রুম এ বের হয়ে দেখি যে তরল বের হয়েছে ক্ষত থেকে। এর মাঝে আমি ওই হাত দিয়ে অনেক কাপড় ধোয়া ধুই করেছি। আমার ওয়াসওয়াসা প্রচুর উস্তাদ ওই অনুযায়ী বলবেন।

https://drive.google.com/file/d/1VUgnkjTIlMWAbqLRdTZt3jQl1TpaMWVa/view?usp=drivesdk

1. কাপড়গুলি কি আবার পাক করতে হবে? কিছু কাপড় ধুয়ে বিছানায় রেখেছিলাম ভিজে গেছে বিছানার চাদর কি নাপাক হয়ে গেছে?
2. আমি তাহারাত নিয়ে ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত মারাত্বক ভাবে। এর পাশাপাশি আমার স্কিন প্রবলেম থাকায় প্রায় দিন এ দেখা যায় কোনো ক্ষত হয়তো শুকিয়ে গেছে /আর তরল বের হচ্ছেনা কিন্তু গসল বা অযুর পর দেখি যে বের হচ্ছে, এখানে গোসল করে চেক করতে করতে যে ক্ষত বেয়ে পানি পড়েছে অতে ওই তরল রুম এর সবখানে ছড়িয়েছে কিনা বা কাপড়ে লেগেছে কিনা এটা নিয়ে আমার প্রচুর কষ্ট হয়। বারবার সতর্কতা মূলক পাক করতে করতে আমি আর নিতে পারতেছিনা এভাবে আরো রোগ বাড়তেছে আমার। আমি কি ধরে নিবো যে আমি যখন ক্ষত টা দেখেছি এখন এ এটা বের হয়েছে এবং ঐভাবে ওটা ধুয়ে ফেললেই হবে কিনা? ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাচ্ছে এভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে করতে। ভুল বললে মাফ করবেন আমি নিতে পারতেসি না। চিকিৎসার জন্য আগাচ্ছি আর কি করণীয় একটু নসিহা দিন উস্তাদ।

3। আমি ওয়াসওয়াসা এর কারণে আজ যে কাপড় ধুলাম এর আগে এই কাপড় এ আরো কয়েকবার পাক করার জন্য ধুয়ার চেষ্টা করেছি অনেক সময় লাগে ওয়াসওয়াসা এর কারণে হল ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজ আবার এই ক্ষত নিয়ে সমস্যা হওয়ায় আবার ওই কাপড়গুলি পড়ে আছে। এখন যদি আমি আমার মা কে বা কাজের খালা কে কাপড় পাক করার নিয়ম গুলি বলে দিয়ে তাদের কাপড় ধুতে দেই। ওরা ওভাবে ফলো করবে কিনা আমি বলতে পারছিনা বা সূক্ষ বিষয় গুলি খেয়াল করবে কিনা? বলতে পারিনা। তাহলে কি কাপড় পাক হবে? আমি ধুতে পারছিনা আর..পাগল পাগল লাগছে। দয়া করে জানাবেন।

Comments

প্রশ্ন একটু এডিট করেছি উস্তাদ ওই অনুযায়ী উত্তর দিয়েন 

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
সতর্কতামূলক কাপড়গুলো কে ধৌত করে নিবেন।বিছানা চাদরকে ধৌত করে নিবেন।

(২)
আপনি কাজের লোককে পাক নাপাক শিক্ষা দিয়ে তাদের দ্বারা কাপড়গুলো ধৌত করে নিবেন।

(৩)
আপনি কাজের লোককে পাক নাপাক শিক্ষা দিয়ে তাদের দ্বারা কাপড়গুলো ধৌত করে নিবেন।

আপনি ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে দ্বীনদার কোনো মানুষের সংস্পর্শ গ্রহণ করুন।অথবা দ্বীনি কিতাবাদি বেশী বেশী করে অধ্যায়ন করুন।

Comments

সংযোজন করা হয়েছ