আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in সালাত(Prayer) by (66 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
১। এক ব্যক্তির সালাতে প্রায়শই মন থাকে না। তিনি সিজদায় গেলেও বিভিন্ন জিনিস কল্পনা করতে থাকেন। এমতাবস্থায় একদিন সিজদাহ দিতে গিয়ে তিনি সিজদাহরত অবস্থায়ই মারা গেলেন। সিজদাহরত অবস্থায় মারা গেলে শহীদের মৃত্যু বলে শুনেছি। কেউ যদি নামাজে মনোযোগী না হয় এবং খুজু খুশু না থাকা অবস্থায়ই মারা যায় তবে সিজদায় মারা যাওয়ার জন্য কি সে শহীদের মর্যাদা পাবে?
২। বিতর সালাত পড়ার সময় যদি পিতামাতা ডাক দেন তবে সালাত ছেড়ে উঠা যাবে? বিতর সালাত ও পিতামাতার কথা শুনা উভয়ই ওয়াজিব। কোনটার প্রাধান্য আগে?

৩। একজন অবিবাহিত মেয়ে পড়াশুনায় ব্যস্ত থাকায় সংসারের কাজে সাহায্য করতে পারে না। চাকরীর ক্ষেত্রে কি অবিবাহিত মেয়ে যদি সংসারের(পিতামাতার) কাজকে প্রাধান্য না দেয় তবে কি সে গুনাহগার হবে? একই কথা কি পড়াশুনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য?

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সিজদারত অবস্থার মউত অনেক সম্মান ও ফযিলতের। তবে এটা শহীদি মৃত্যু বলে কোথাও বর্ণিত হয়নি। যার যেভাবে সামর্থ্য সে সেভাবেই নামায পড়বে।
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)

(২)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে বর্ণিত রয়েছে,
" ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه ، إلا أن يستغيث به " انتهى .أي يطلب منه الغوث والإعانة .
ويجب القطع لنحو إنجاء غريق أو حريق. ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه إلا أن يستغيث به. وفي النفل إن علم أنه في الصلاة فدعاه لا يجيبه وإلا أجابه
ডুবন্ত বা জলন্ত ব্যক্তিকে বাচানোর স্বার্থে নামায ভঙ্গ করা ওয়াজিব।ফরয নামাযে মাতাপিতার কেউ ডাকলে সে ডাকের জবাব প্রদান ওয়াজিব নয়। তবে যদি মাতাপিতা সাহায্যর আবেদন করে, তখন মাতাপিতার ডাকে জবাব দেয়া যাবে।
আর নফল নামাযে যদি মাতাপিতা জানেন যে, সন্তান নামাযে আছে, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত নামাযকে ভঙ্গ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।আর মাতাপিতা সন্তানের নামায সম্পর্কে না জানলে তখন মাতাপিতার ডাকে জবাব দেয়া যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/২৫১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1855

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাতা পিতার ডাকে জবাব দেয়া ওয়াজিব আর বিতির ওয়াজিব। দুই ওয়াজিব সমান নয়। তাছাড়া নফল নামাযে জবাব দেয়াটাও ওয়াজিব নয় বরং রুখসত রয়েছে। বিতিরের নামাযের কথা প্রকাশ্যে পাইনি।তবে উক্ত আলোচনার দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, বিতির নামাযের হুকুমও ফরমের হুকুমের মত।

(৩)
পড়াশোনার কারণে সাংসারিক কাজে সময় দিতে না পারলে তাতে কোনো সমস্যা নাই।গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...