ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সিজদারত অবস্থার মউত অনেক সম্মান ও ফযিলতের। তবে এটা শহীদি মৃত্যু বলে কোথাও বর্ণিত হয়নি। যার যেভাবে সামর্থ্য সে সেভাবেই নামায পড়বে।
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)
(২)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে বর্ণিত রয়েছে,
" ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه ، إلا أن يستغيث به " انتهى .أي يطلب منه الغوث والإعانة .
ويجب القطع لنحو إنجاء غريق أو حريق. ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه إلا أن يستغيث به. وفي النفل إن علم أنه في الصلاة فدعاه لا يجيبه وإلا أجابه
ডুবন্ত বা জলন্ত ব্যক্তিকে বাচানোর স্বার্থে নামায ভঙ্গ করা ওয়াজিব।ফরয নামাযে মাতাপিতার কেউ ডাকলে সে ডাকের জবাব প্রদান ওয়াজিব নয়। তবে যদি মাতাপিতা সাহায্যর আবেদন করে, তখন মাতাপিতার ডাকে জবাব দেয়া যাবে।
আর নফল নামাযে যদি মাতাপিতা জানেন যে, সন্তান নামাযে আছে, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত নামাযকে ভঙ্গ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।আর মাতাপিতা সন্তানের নামায সম্পর্কে না জানলে তখন মাতাপিতার ডাকে জবাব দেয়া যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/২৫১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1855
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাতা পিতার ডাকে জবাব দেয়া ওয়াজিব আর বিতির ওয়াজিব। দুই ওয়াজিব সমান নয়। তাছাড়া নফল নামাযে জবাব দেয়াটাও ওয়াজিব নয় বরং রুখসত রয়েছে। বিতিরের নামাযের কথা প্রকাশ্যে পাইনি।তবে উক্ত আলোচনার দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, বিতির নামাযের হুকুমও ফরমের হুকুমের মত।
(৩)
পড়াশোনার কারণে সাংসারিক কাজে সময় দিতে না পারলে তাতে কোনো সমস্যা নাই।গোনাহ হবে না।