আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
307 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
আস্সালামু আলাইকুম!আমি আইওএম এর 227 ব্যাচের একজন স্টুডেন্ট,সাথে এখন দশম শ্রেণীতে পড়ছি

দের বছরের বেশি সময় ধরে ব্রেস্ট টিউমার এর তীব্র ব্যথা সহ্য করার পর কিছুদিন আগে আমার অপারেশন হয়েছে।অপারেশন এর সময় আমাকে যখন এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয় এর পর আমি ঠিক অন্য জগতে চলে যাই,সবকিছু স্পেইসের মত। খুব দ্রুত যাচ্ছিলো,হঠাৎ কিছুদূর যাওয়ার পর সব থমকে দাড়ালো ভীষণ সুন্দর একটা জায়গায় চলে গেলাম যেখানে আমার কাছে মনে হচ্ছিল আমি ঠিক জান্নাতে আছি এত সুন্দর জায়গা যেটা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনা এ দুনিয়ায়, এত নুর ছিল চারিদিকে সেখানে আমার একজন উস্তাযাকে দেখলাম।এরপর কিছুদূর যাওয়ার পর আমি একটা পর্দা সরিয়ে আমি একটি বিশাল গাছের নিচে একজন  ভীষণ রকমের মায়াবী চেহারার কাউকে বসে থাকতে দেখি,তিনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছিলেন,আর্ আমাকে কি যেন সান্তনা দিচ্ছিলেন,উনাকে আমি এত ক্লিয়ার দেখতে পাচ্ছিলাম সুবহানাল্লাহ,এত মায়া এত ভালোবাসা মাখা চিল সে মুখ__উনাকে আমি কেবল ইয়া রাসূলুল্লাহ বলেই ডাকছিলাম,এর পর দেখলাম আমরা একটা খুব সুন্দর ব্রিজ এ হাঁটছি  যেটার কোথায় শেষ হয়েছে দেখা যাচ্ছিল নাহ,আর সেখানে রসুলুল্লাহর সাথে আছেন আয়িশা (র:)।উনাকেও স্পষ্ট দেখেছি , রসূলুল্লাহ উনাকে আয়িশা বলে ডাকছিলেন।ভীষণ মধুময় সুরে।সেখানে আমরা অনেক কথা বলেছি,কিন্তু সেগুলো ঠিক মনে নেই,এর পর যখন আমার আস্তে আসতে জ্ঞান ফেরার পথে রসূলুল্লাহ আমাকে সান্তনা দিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছেন আর্ আমি ডাকছিলাম ইয়া রসূলুল্লাহ আমায় ফেলে যাবেন নাহ,আমি ওই ফিতনাময় দুনিয়ায় যেতে চাই নাহ,ইয়া রসূলুল্লাহ ।তারপর উনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছেন আর্ সান্তনা দিচ্ছেন সেই দূর থেকে।আমার জ্ঞান ফেরার পর ও আমি সেভাবেই ডাকছিলাম কোনমতে থামছিল নাহ।গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছিলো তবুও থামাতে পারছিলাম নাহ, ইয়া রসূলুল্লাহ বলেই ডেকে যাচ্ছিলাম,

এভাবে একটু জ্ঞান ফিরে আবার অজ্ঞান হয়ে যাই আর্ অজ্ঞান হওয়ার পর আবার উনার চলে যাওয়া দেখছি আর্ ডাকছি,চোখের পানি পড়তে পড়তে চোখ বন্ধ হয়ে গেছে আমি আর খুলতে পারছিলাম না। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হলাম।বলা বাহুল্য আমরা রসূলুল্লাহ (স:)এর গড়ন যেরকম শুনে থাকি আমার দেখাটাও তেমন মিলে যায় তিনি খুব বেশি মোটা না আবার খুব চিকন ও নাহ,তার পরনে যেই জমা টা ছিল সে রং টা কখনো কাউকে বলে হয়তো আমি প্রকাশ করতে পারবো নাহ, আয়িশা (র:) ও ছিলেন খুব হ্যাংলা পাতলা গড়নের।______জানি নাহ থিকমত বোঝাতে পেরেছি কিনা,কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন!
আমার প্রশ্ন হচ্ছে,আমার মত এত গুনাহগার বান্দি যা দেখেছে তা কি সঠিক,আমার যে অবস্থান দ্বীনের দিক থেকে টা তো অতি নগন্য একটি কীটের ন্যায়,আমি কি সত্যিই রসূলুল্লাহ কে দেখেছি?   আল্লাহর কাছে খুব দুআ করতাম আল্লাহ যেন আমায় দুনিয়ায় রসূলুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করান,কিন্তু এটা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত,আমার ভীষণ জানার ইচ্ছে আমি সত্যিই কি তাকে দেখেছি?সেখানে আমি আর রসুলুল্লাহ আকাশের দিকে তাকিয়ে খুব কথা বলছিলাম,আল্লাহ কে বারবার বলছিলাম আল্লাহ আমাকে আর্ দুনিয়ায় পাঠিও নাহ,ওই গাফেল দুনিয়ায় আমায় আর্ যেতে দিয়ো নাহ,আমি আপনার সাথে আর্ রসুলুল্লাহ র সাথেই এখানে থেকে যেতে চাই!    
জ্বি এটুকুই, হয়তো অনেক বলে ফেলেছি কিন্তু যতটুকু সংক্ষিপ্ত করা যায় করার চেষ্টা করেছি ,এর চেয়ে কম করে আর্ বলতে পারছি না,এটার জন্য আমি দুঃখিত।
জাযাকুমূল্লাহ খয়র।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে স্বপ্নে দেখেছেন, এটা আপনার জন্য সুসংবাদ।কেননা স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ সাঃ কে দেখা মানে সত্যই দেখা।কেননা শয়তান রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সূরত ধরতে পারেনা।আপনি আপনার মাকে জানাতে পারেন,এবং নিজেও আ'মল চালিয়ে যান।আপনার বোনকে আমল উন্নত করার পরামর্শ দেন।

أن أبا هريرة قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( من رآني في المنام فسيراني في اليقظة ولا يتمثل الشيطان بي )
হযতর আবূ হুরায়রা রাঃ বলেনঃ রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নযোগে দেখল, সে যেন আমাকে বাস্তবেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬০৫৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬০৫২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২৫ , সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২১৩৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৯০৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২৭৬}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার জীবনে কল্যাণ বয়ে আসবে।বায়তু্ল্লাহর সফর আপনি করবেন।সুতরাং বেশী বেশী করে দুরুদ পড়বেন।আল্লাহ আপনাকে সুখে শান্তিতে রাখুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...