আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তাদ। 

মুহতারাম, আমার প্রশ্নটি হল ইসলামে জিনাকারীর যে শাস্তিসমূহ শরিয়তে বর্ণিত হয়েছে, যেমন অবিবাহিতের জন্য একরকম, বিবাহিতের জন্য একরকম এগুলোর অর্থ কি কোনভাবে রুপকভাবে নেওয়ার সুযোগ আছে আমাদের? যেমন প্রাচ্যের এবং পশ্চিমা কিছু ইসলামি চিন্তাবিদদের কথা হল, রজম, হদ ইত্যাদির বিধান আমাদের আক্ষরিক অর্থে বোঝার উপায় নেই বা এই বিধানগুলোকে পরিবর্তন করা এই জামানায় জরুরি ইত্যাদি।
আরেকজন শায়েখের বিবৃতি এমন, "নিশ্চয়ই এই রজম ইসলামী শরিয়তের বিধান নয়। এটা তো হল ইহুদীদের শরিয়তের বিধান। অর্থাৎ আমি সমর্থন করছি যে, এই রজমের উপর আমল করা হবে না। রজমের বিধান হচ্ছে ইহুদীদের শরিয়তের, মুহাম্মাদ সা এই ধরণের কঠিন শরিয়তের ধারকবাহক হতে পারেন না।" 

কুরআন, হাদিস এবং ফিকাহের বিখ্যাত কিতাবগুলো থেকে এমন কোন উক্তি দেখি নি বিজ্ঞ মুহাক্কিক উলামায়ে কিরামের থেকে, উনাদের থেকে শোনা যায় যে ইমারাহের উপস্থিতিতে আমির-উল-মুমিনিনের তত্ত্বাবধানে এই বিধানগুলো অবশ্যই আমল করতে হবে; তো এই বিধানগুলোর এমন রুপক অর্থ করা কি আদৌ বৈধ? আর যদি তা না হয়, যারা শরিয়তের এমন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন উনাদের থেকে ইলম নেওয়া সাধারণ জনগণের জন্য কি ফলপ্রসূ হবে? 

closed
by (75 points)
নাউজুবিল্লাহ, যিনি এসব বলেছেন, তাকে নতুন করে ইসলামে প্রবেশ করতে বলুন

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু একদা তার এক সুদীর্ঘ খুৎবায় বলেন,
«إِنَّ اللهَ بَعَثَ مُحَمَّداً بِالْـحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، فَكَانَ فِيْمَا أَنْزَلَ اللهُ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ، قَرَأْنَاهَا، وَوَعَيْنَاهَا، وَعَقَلْنَاهَا، فَرَجَمَ رَسُوْلَ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ، فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَّقُوْلَ قَائِلٌ: مَا نَجِدُ الرَّجْمَ فِيْ كِتَابِ اللهِ، فَيَضِلُّوْا بِتَرْكِ فَرِيْضَةٍ أَنْزَلَهَا اللهُ»
“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সত্য দীন দিয়ে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর ওপর কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ওপর যা অবতীর্ণ করেছেন তার মধ্যে রজমের আয়াতও ছিলো। আমরা তা পড়েছি, মুখস্থ করেছি ও বুঝেছি। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজম করেছেন এবং আমরাও তাঁর ইন্তেকালের পর রজম করেছি। আশঙ্কা হয় বহু কাল পর কেউ বলবে, আমরা কুরআন মাজীদে রজম পাই নি। অতঃপর তারা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত একটি ফরয কাজ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে”।(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৮২৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৯১; আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৪১৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হযরত উমর রাযি নিজ জ্ঞান বুদ্ধির ইজতেহাদ করে একটি ভবিষৎবাণী দিয়েছিলেন।তা কতটুকু বাস্তবসম্মত তা আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...