আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (68 points)
edited by
১.মজাচ্ছলে করে কোরআন হাদীস বিরুধী কথা বলে ফেললে মুসলিম কি কাফের হয়ে যায়?(অন্তরে বিশ্বাস রেখেই)

২.আমার কাছে হারাম টাকা আসলে তা সাদকা করতে হবে এটা জানি,তবে চাইলে কি আমি তা দিয়ে রাস্তার কুকুর বিড়াল কে খাওয়াতে বা তারা আহত হলে এই প্রানীর চিকিৎসায় ব্যয় করতে পারবো?
৩. আমার নেসাব পরিমান সম্পত্তি নেই, অনেক খানি কম।  আমি কি হারাম উপার্জনকারীর দেওয়া হাদিয়া নিতে পারি?বা তাদের দেওয়া খাওয়া  গেলে পাল্টা সাদকা করতে হবে?না কি আমি তা গ্রহন করতে পারবো?

৪.আমি যদি যাকাত থেকে টাকা পেতে পারি তাহলে তার সীমা কতোটুকু? মানে একজন মানুষ কতো টেকা সর্বোচ্চ যাজাত নিতে পারবে? যাকাত গ্রহনের কুনো লিমিট আছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে এভাবে মজা করেন,ঠাট্রা করেন,তাহলে ঈমান চলে যাবে।

নতুবা নয়।

(০২)
হ্যাঁ পারবেন।
তবে গরিব মিসকিনকে দেয়াই উত্তম। 

(০৩)
আপনি যেহেতু যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত, তাই কেউ আপনাকে ফকির মিসকিনদে দেয়ার নিমিত্তে দিলে আপনি সেটি নিতে পারবেন।

(০৪)
শরীয়তের বিধান হলোঃ
কাউকে এই পরিমাণ যাকাত দেওয়া মাকরূহ যার দ্বারা সে নেসাবের মালিক হয়ে যায় এবং যাকাত ওয়াজিব হয়ে যায়। তবে দিলে আদায় হয়ে যায়। আর যদি যাকাতগ্রহীতা ঋণগ্রস্থ হয় কিংবা তার পরিবার খুব বেশি অভাবগ্রস্থ হয় তাহলে তাকে উক্ত পরিমাণের চাইতে বেশি দেয়া জায়েয। (আল মাউসুআ’তুল ফিকহিয়্যাহ ২৩/৩১৭,বাদায়েউস সানায়ে ২/১৬০; রদ্দুল মুহতার ৩/৩০৩; হিন্দিয়া ১/১৮৮)

নেসাব হল সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপা বা তার সমমুল্য। বর্তমানে টাকার হিসেবে যা প্রায় ৭০-৭৫ হাজার টাকার মতো। সুতরাং যাকাতের টাকা হতে আপনি ৭০-৭৫ হাজার টাকা নিতে পারবেন।

এর বেশি নেয়া মাকরুহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...