বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رضي الله عنهما قَالَ : نَحَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ الْبَدَنَةَ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ-
وفي رواية : عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَحَرْنَا الْبَعِيرَ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ .
তিনি বলেন, হুদাইবিয়ার বছর (৬ষ্ঠ হিজরী) আমরা রসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি উট এবং প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেছি। (সহীহ মুসলিম-১৩১৮)
ولو لأحدهم أقل من سبع لم يجز عن أحد،
যদি কোনো একজন সাত অংশের চেয়ে কমের মালিক হন, অর্থা সপ্তম অংশে একাধিকজন মালিক হন, তাহলে কারো কুরবানি হবে না। (আদ্দুররুল মুখতার-৬/৩১৫)
হাদীস শরীফে এসেছে
" إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
অর্থ: প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে- সেই উদ্দেশ্যেই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কুরবানি করতে ইচ্ছা করতেন, তিনি চিত্রবিচিত্র, শিংবিশিষ্ট, মোটাতাজা দুটি খাসি-ভেড়া কোরবানি দিতেন। এর একটি তিনি ওই সব উম্মতের জন্য কুরবানি করতেন, যারা আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেবে ও তাঁর দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করবে। অন্যটি তিনি নিজের ও তাঁর পরিবারের নামে জবেহ করতেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২২)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেভাবে প্রশ্ন করেছেন নিয়তটা ঠিক তেমনই করবেন৷ অর্থাৎ চার ভাই বোনের জন্য চার ভাগের নিয়ত করবেন যা ওয়াজিব কুরবানী হিসেবেও আদায় হবে যদি তাদের অনুমতি নিয়ে থাকেন৷ অন্যথায় নফল কুরবানী হিসেবে আদায় হবে৷
মৃত মা-বাবার জন্য দুই ভাগ নফল কুরবানীর নিয়ত করবেন৷
তেমনী আরেক ভাগ দাদা-দাদী, নানা - নানীসহ পরিবারের সকল মৃত ব্যক্তির জন্য নফল কুরবানীর নিয়ত করবেন৷