শরীকে কুরবানী করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১)
ভাগে শরীক ব্যক্তিদের মাঝে যথাযথভাবে গোস্ত বিতরণ না করলে কারো কুরবানি হয়না,মর্মে কথাটি সহীহ নয়।
কুরবানী হয়ে যায় ঠিকই,তবে কাজটি নাজায়েজ।
এক্ষেত্রে চাপের গোস্ত,ভুড়ি,মগজ,কলিজা,ফুসফুস এগুলোও সাধ্যমতো যথাযথভাবে মেপে ভাগ করতে হবে।
যদি কষ্টকর হয়,তাহলের সকলের সন্তুষ্টি চিত্তে সিকল শরীকদের থেকে অনুমতি নিয়ে সহজ যেকোনো পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে,ইনশাআল্লাহ।
মেশিন দিয়ে মেপে মেপে গোস্ত দেয়ার পরও যদি অজান্তে এক্টু কমবেশি হয় তাহলেও কুরবানি সহিহ হবে।
(০২)
এক্ষেত্রে তাকে ঐ ব্যাক্তিদের থেকে বা অন্য কাহারো থেকে টাকা করজ নিয়ে সেখানে দিতে হবে।
পরবর্তীতে সেই টাকা সে শোধ করবে।
(০৩)
এ সবই খাওয়া জায়েজ।
(০৪)
কুরবানী হয়ে যাবে।
(০৫)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
لن ينال الله لحومها ولا دمائها ولكن يناله التقوى منكم
(তরজমা) (মনে রেখো, কুরবানীর জন্তুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছে না; বরং তাঁর কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেযগারিই পৌঁছে। (সূরা হজ্ব : ৩৭)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عائشة رضي الله تعالى عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ما عمل آدمي من عمل يوم النحر أحب إلى الله من إهراق الدم، إنه ليأتي يوم القيامة بقرونها وأشعارها وأظلافها، وإن الدم ليقع من الله بمكان قبل أن يقع من الأرض، فطيبوا بها نفسا.
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কুরবানীর দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কুরবানী করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কুরবানীকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কুরবানীর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ তাআলার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কুরবানী কর। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৪৯৩)
★প্রশ্নে উল্লেখিত এরকম নিয়তে কুরবানী দিলে কুরবানী আদায় হয়ে যাবে।
(৬.৯)
অন্যের ওয়াজিব কুরবানী দিতে চাইলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ওই ব্যক্তির কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য স্বামী বা পিতা যদি স্ত্রী বা সন্তানের বিনা অনুমতিতে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে তাহলে তাদের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে আদায় করা ভালো।
যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরীক করা জায়েয। তবে এতে কাউকে শরীক না করে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে যেহেতু কুরবানীর নিয়তে পশুটি ক্রয় করার মাধ্যমে লোকটি তার পুরোটাই আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে তাই তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরীক করা জায়েয নয়। যদি শরিক করে তবে ঐ টাকা সদকা করে দেওয়া জরুরি হবে। কুরবানীর পশুতে কাউকে শরীক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিতে হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত পশু ক্রয়ের সময় যারা ভাগে ছিলো,তাদের মধ্যে যদি কুরবানী ওয়াজিব হয়নি,এমন কোনো ব্যাক্তি থাকে,তাহলে এখানে সেই পশু ক্রয়ের পর নতুন কাউকে প্রবেশ করানোর সুযোগ নেই।
আর যদি পশু ক্রয়ের সময় যারা ভাগে ছিলো,তাদের মধ্যে যদি কুরবানী ওয়াজিব হয়নি,এমন কোনো ব্যাক্তি না থাকে,সকলেই যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়,তথা ধনী হয়,তাহলে নতুন কাউকে ক্রয় পরবর্তীতে শরীক করতে পারবে।