আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
507 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by

আমার বয়স বর্তমানে ২৯। গত ১৪ বছর ধরে আমি বালেগ আছি। আগে দ্বীনের বুঝ কম থাকায় গান, মুভি, গেম এসব নিয়ে মেতে থাকতাম দিনের বেশিরভাগ সময়। বর্তমানে আল্লাহ দয়া করে দ্বীনের জ্ঞান দান করাতে ভুল বুঝতে পেরে আগের জীবনাচার থেকে দূরে সরে এসেছি।

বর্তমানে আমি আলহামদুলিল্লাহ সকল প্রকার হারাম থেকে দূরে আছি এবং চরিত্র রক্ষায় বিবাহকে ফরজ বলে মনে করছি। 

আমি একজন তালাকপ্রাপ্তা নারীকে জানি যাঁর ব্যপারে আমার মনে দুর্বলতা আছে যে আমি উনাকে বিবাহ করে নেই। আমি হারামভাবে উনার ব্যপারে চিন্তা করা বা যোগাযোগ করা থেকেও দূরে থাকতে চাই যতোক্ষণ না আল্লাহ হালাল ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু সেই সবরও আমার জন্য কঠিন। 

আমার পড়াশুনা শেষ হয়নি বলে আমার পিতামাতা আমার বিবাহে সম্মত নন। সেই তালাকপ্রাপ্তা নারীর ব্যপারেও বাবা মা কে জানিয়েছি, প্রথমে বাবা কথা দিলেন যে তিনি এই ব্যপারে আগাবেন, কিন্তু পরে আবার কথা ঘুরিয়ে নিলেন।

 আমি তাঁদেরকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছি যে আমার জন্য বিবাহ ফরজ হয়ে গেছে, এভাবে গুনাহ মুক্ত থাকা আমার জন্য কঠিন মনে হচ্ছে। আমার জন্য জুলুম হয়ে যাচ্ছে। আমি হারামে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা করি প্রতি নিয়ত। কিন্তু তাঁরা তবু আমাকে বিয়ে করতে নিষেধ করছেন। 

আমি তাঁদেরকে কুরআন হাদিস এবং বিভিন্ন আলেমগণের নানা ভাষ্য শুনিয়েও মন গলাতে পারিনি।

এই ফরজ ইবাদাত পালনে যদি আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজে নিজে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে চরিত্র রক্ষার্থে বিবাহ করে ফেলি বাবা মা কে না জানিয়ে, তবে কি আমার গুনাহ হবে?

আল্লাহ তো ওয়াদা করেছেন, তিনি নিজ দায়িত্বে নিয়ে নেবেন সেই ব্যক্তির রক্ষনাবেক্ষন যে চরিত্র রক্ষায় বিবাহ করে।

কোন ফরজ ইবাদাতের জন্য তো পৃথিবীর কারো অনুমতি দরকার হয় না...

1 Answer

+1 vote
by (589,740 points)
বিসমিহি তা'আলা

সমাধানঃ-

সন্তানের পর্যাপ্ত পরিমাণ বয়স হওয়ার পরও যদি মাতা-পিতা সন্তানের বিয়ের ব্যপারে গাফিল থাকে,তাহলে সন্তানের উচিৎ মাতা-পিতা র নিকট নিজ বিবাহের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করা।

তারপরও যদি তারা বিয়ের দিকে না আগান।তাহলে সন্তানের জন্য উচিৎ যে, সে তা  পছন্দমাফিক পাত্র-পাত্রী ডিটেইলস মাতা-পিতা কে জানিয়ে দিবে।সাথে সাথে এ ঘোষনাও দিবে যে,আপনারা যদি আমাকে বিয়ে না করান,তাহলে আমি অমুক জায়গায় বিয়ে করছি।

তারা যদি ভিন্ন জায়গা দেখান,তাহলে সন্তানের উচিৎ ভিন্ন জায়গায় বিয়ে করে নেয়া।যদিও মাতা-পিতা র জন্য সন্তানের পছন্দমাফিক পাত্রপাত্রী নির্বাচন উচিৎ।

সন্তানের জন্য মাতা-পিতা র পছন্দকে অগ্রাধিকার দেয়া এজন্য উচিৎ যে, যেহেতু মাতা-পিতা অভিজ্ঞ ও সন্তানের প্রতি তাদের মায়ামমতা সর্বজন স্বীকৃত।

যদি তারা ভিন্ন কোনো জায়গা না দেখান,এবং বিয়ে ও না দেন।
তাহলে সন্তানের এখতিয়ার রয়েছে যে,সে তার পছন্দমত বিয়ে করতে পারবে।

আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল;৫/৩১

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

মুফতী ইমদাদুল হক
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ।
সিলেট,বাংলাদেশ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...