আমার বয়স বর্তমানে ২৯। গত ১৪ বছর ধরে আমি বালেগ আছি। আগে দ্বীনের বুঝ কম থাকায় গান, মুভি, গেম এসব নিয়ে মেতে থাকতাম দিনের বেশিরভাগ সময়। বর্তমানে আল্লাহ দয়া করে দ্বীনের জ্ঞান দান করাতে ভুল বুঝতে পেরে আগের জীবনাচার থেকে দূরে সরে এসেছি।
বর্তমানে আমি আলহামদুলিল্লাহ সকল প্রকার হারাম থেকে দূরে আছি এবং চরিত্র রক্ষায় বিবাহকে ফরজ বলে মনে করছি।
আমি একজন তালাকপ্রাপ্তা নারীকে জানি যাঁর ব্যপারে আমার মনে দুর্বলতা আছে যে আমি উনাকে বিবাহ করে নেই। আমি হারামভাবে উনার ব্যপারে চিন্তা করা বা যোগাযোগ করা থেকেও দূরে থাকতে চাই যতোক্ষণ না আল্লাহ হালাল ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু সেই সবরও আমার জন্য কঠিন।
আমার পড়াশুনা শেষ হয়নি বলে আমার পিতামাতা আমার বিবাহে সম্মত নন। সেই তালাকপ্রাপ্তা নারীর ব্যপারেও বাবা মা কে জানিয়েছি, প্রথমে বাবা কথা দিলেন যে তিনি এই ব্যপারে আগাবেন, কিন্তু পরে আবার কথা ঘুরিয়ে নিলেন।
আমি তাঁদেরকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছি যে আমার জন্য বিবাহ ফরজ হয়ে গেছে, এভাবে গুনাহ মুক্ত থাকা আমার জন্য কঠিন মনে হচ্ছে। আমার জন্য জুলুম হয়ে যাচ্ছে। আমি হারামে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা করি প্রতি নিয়ত। কিন্তু তাঁরা তবু আমাকে বিয়ে করতে নিষেধ করছেন।
আমি তাঁদেরকে কুরআন হাদিস এবং বিভিন্ন আলেমগণের নানা ভাষ্য শুনিয়েও মন গলাতে পারিনি।
এই ফরজ ইবাদাত পালনে যদি আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজে নিজে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে চরিত্র রক্ষার্থে বিবাহ করে ফেলি বাবা মা কে না জানিয়ে, তবে কি আমার গুনাহ হবে?
আল্লাহ তো ওয়াদা করেছেন, তিনি নিজ দায়িত্বে নিয়ে নেবেন সেই ব্যক্তির রক্ষনাবেক্ষন যে চরিত্র রক্ষায় বিবাহ করে।
কোন ফরজ ইবাদাতের জন্য তো পৃথিবীর কারো অনুমতি দরকার হয় না...