আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in সাওম (Fasting) by (54 points)
১.আমার বয়স ৩৩ বছর। আমি অনেক পরে দ্বীনের বুঝ পাই। তাই আমার ফরজ রোজা কাযা আছে প্রায় কয়েকশ। কারন আগে রোজা রাখতাম না।আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করছি এগুলো আদায় করার। এখন সামনে আরাফার রোযা আছে, যা সুন্নাত/ নফল। আমি যদি জিলহজ্ব মাসের প্রথম দিন গুলোতে ফরজ রোজার কাযা আদায় করি এবং আরাফার দিনে আরাফার সুন্নাত রোযা আদায় করি, তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?
২.আমার পরিবারের একজন মুরুব্বি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে অত্যন্ত জুলুম করে। এই বিষয়টি নিয়ে মুরুব্বির সাথে আমার সামনাসামনি কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে। আবার তার জুলুমের শিকার মানুষরা আমার কাছে এসে তার করা জুলুমের কথা আমাকে বলেছে, আমিও শুনেছি এবং এটা নিয়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে আলোচনাও করেছি। মুরুব্বি আমার সাথেও অন্যায় করেছেন। বিষয়টি এমন হয়েছে যে, আমার কাছ থেকেও উনি কিছু কষ্ট পেয়েছেন আবার আমিও উনার কাছ হতে কষ্ট পেয়েছি৷
এখন পরস্পর পরস্পরকে কষ্ট দেয়ার কারনে,কষ্ট দেয়ানেয়া কি কাটাকাটি হয়ে গিয়েছে?  এবং আমার কি উনার কাছ হতে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (707,080 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, আপনি জিলহজ্ব মাসের প্রথম ৮ দিন কাযা রোযা রেখে শুধুমাত্র ৯ তারিখ আরাফার রোযা রাখতে পারবেন।

(২)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।(৪২/৪০)
ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ
নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/19877

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে কষ্ট দিয়েছেন, বিনিময়ে আপনিও সেই পরিমাণ কষ্ট দিয়েছেন, এদ্বারা কাটাকাটি হয়ে গেলেও সর্বদা আপনার জন্য উত্তম হল, আপনি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।তাকে কষ্টের বদলে কষ্ট না দিয়ে বরং তার প্রতি অনুগ্রহ ও এহসান করবেন। এটাই উত্তম ও কল্যাণকর।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (707,080 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 129 views
0 votes
1 answer 332 views
...