আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
1.আমি মেসে থাকি আমি যখন কেরআন শুনি বা পড়ি বা যখন নামাজ পড়ি তখন বেশিরভাগ সময় আমার রুমমেট রা কথা বলে এবং গান শোনে আমি নিষেধ করলে তারা অনেক সময় এমন করে যা আমার কানে আসে..
এতে কি আমার কোনো গুনাহ হবে?
আমার ইবাদত কি কবুল হবে?

২.সাধারণ গোসল যেগুলো আমরা প্রতিদিন গা ঠান্ডা করার জন্য করে থাকি( বা গোসল ফরজ হয় না কিন্তু  এমনে গোসল করে থাকি) সে সকল গোসল করার সময় কি আমাদের গোসল এর ফরজ সুন্নাহ গুলো মেনে চলতে হবে? বা যখনি গোসল করি তখনি কি ফরজ গোসল এর মতো করে গোসল করতে হবে

3.জামা বা গেনজি খুলে মানুষের সামনে খালি গায়ে চলাফেরা করলে এবং তখন আমার নাভি যদি বেরিয়ে থাকে তখন কি আমার কোনো গুনাহ হবে?

৪.খালি গায়ে নামাজ পড়া যাবে এবং খালি গায়ে ওজু করা যাবে?

৫.ওজুর করার সময় ওজুর পানি যদি গায়ে লাগে তাহলে কোনো সমস্যা হবে কি না?

6.কেমন ধরণের কবীরাজি গ্রহণ করা জায়েজ?
7.রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে.. কোনো অমুসলিম কবীরাজের কোনো পড়ানো তেল বা পানি গ্রহণ করা জায়েজ? (ওনার পড়ানো কিছু মাখলে বা খেলে কি কোনো গুনাহ হতে পারে? আর যদি হয় তাহলে কত বড় গুনাহ হবে এটি?

8. বাটি চালান হাত চালান,তাবিজ, হাত দেখা,পিঠে থাল লাগানো, ইত্যাদি কি জায়েজ?যদি জদি জায়েজ না হয় তাহলে এগুলো করলে কত বড় গুনাহ হবে?

9.কিভাবে রাসুল সাঃ ঝাড়ফুক করতেন?

10.ওসুস্থ হলে এবং ওই অবস্থাই ফরজ পড়ে সুন্নত নামাজ না পড়লে কি কোনো গুনাহ হবে?

11.ওজুর- পর সতর দেখা গেলে কি ওজু নষ্ট হয়ে যাব? এবং নামাজে সতর দেখা গেলে কি নামাজ হবে?

12. পুরুষের সতর কতটুকু? সতর বের হয়ে থাকলে কি গুনাহ হয়

13. ফজর, মাগরিপ, এসা এই নামাজ গুলোর ফরজ কাজা করার সময় এর কেরাত গুলো কি জরে পড়তে হবে?
আর একাকি এই নামাজ গুলোর ফরজ আদায় করার সময় কি কেরাত জরে পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কর্মব্যস্ততায় কুরআন শ্রবণ না করলে কি গোনাহ হবে?
ويعذر المستمع بترك الاستماع لتلاوةالقرآن الكريم، ولا يكون آثما بذلك - بل الآثم هو التالي، على ما ذكره ابن عابدين - إذا وقعت التلاوة بصوت مرتفع في أماكن الاشتغال، والمستمع في حالة اشتغال، كالأسواق التي بنيت ليتعاطى فيها الناس أسباب الرزق، والبيوت في حالة تعاطي أهل البيت أعمالهم من كنس وطبخ ونحو ذلك وفي حضرة ناس يتدارسون الفقه، وفي المساجد، لأن المساجد إنما بنيت للصلاة، وقراءة القرآن تبع للصلاة، فلا تترك الصلاة لسماع القرآن فيه. وإنما سقط إثم ترك الاستماع للقرآن في حالات الاشتغال دفعا للحرج عن الناس. قال تعالى - {وما جعل عليكم في الدين من حرجvvb}  وإنما أثم القارئ بذلك، لأنه مضيع لحرمة القرآن.
যদি কেউ কাজে লিপ্ত থাকার ধরুণ কুরআন শ্রবণ করতে না পারে, তাহলে এমতাবস্থায় কুরআনের তেলাওয়াত শুনাকে তরক করার ব্যাপারে ঐ ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবে।সে গোনাহগার হবে না।বরং ইবনে আবেদীন শামী রাহ এর মতে এক্ষেত্রে তেলাওয়াত কারীই গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে।যদি কেউ ব্যস্ত এলাকায় উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করে,আর তথায় লেকজন কাজে মশগুল থাকে।যেমন বাজারে-যাকে লেনদেনের জন্যই তৈরী করা হয়েছে- এবং ঐ ঘরে -যাতে লোকজন রান্নাবান্না, ঝাড়ু সহ বিভিন্ন কাজে লিপ্ত- কিংবা এ এমন কোনো মজলিসে যেখানের লোকজন ফিকহ শিখায় ব্যস্ত অথবা মসজিদে -যা নামাযের জন্য তৈরী হয়েছে।(সুতরাং এমন স্থান সমূহে তেলাওয়াত না শুনলে শ্রবণকারী গোনাহগার হবে না)
তেলাওয়াতে কুরআন নামাযের তা'বে। সুতরাং তেলাওয়াতে কুরআনের জন্য নামাযকে পরিত্যাগ করা যাবে না।ব্যস্ততার সময়ে কুরআন শ্রবণ না করলে গোনাহ হবে না।এজন্য যে, যাতেকরে লোকজনের উপর সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া না হয়।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ
তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। (সূরা হাজ্ব-৭৮)এক্ষেত্রে তেলাওয়াত কারীই গোনাহগার হবেন।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪/৮৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামায মুহূর্তে বা ইবাদতের সময় যদি আপনি কুরআন তিলাওয়াত করেন, এবং আপনার রোমমেটরা হট্টগোল করে, তাহলে এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
তবে কর্মব্যস্ততার মুহূর্তে উচ্ছস্বরে আপনি কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেন না।

(২)
সাধারণ গোসলের সময় গোসলের ফরয সুন্নত আদায় করা জরুরী নয়।তবে আদায় করা অবশ্যই উত্তম হবে।

(৩)
নাভি,সতরের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আপনার গোনাহ হবে।

(৪)
সতর ঢেকে খালি গায়ে অজু করা যাবে।তবে খালি গায়ে নামায পড়া মাকরুহ। কেননা নামাযের মুহূর্তে সুন্দর্য্য গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদাণ করা হয়েছে।হ্যা, সতর ঢাকা থাকলে নামায তো হয়ে যাবে কিন্তু মাকরুহ হবে।

(৫)
না, সমস্যা হবে না।

(৬)
কুরআন সুন্নহ মুতাবেক তথা কুরআন সুন্নাহতে যে সমস্ত দু'আ এসেছে,সেগুলো পাঠ করে কবিরাজি করানো যাবে।কুফরি কালিমা বা অপসংস্কৃতির ধারস্থ হলে সেটা জায়েয হবে না।

(৭)
না, জায়েয হবে না।

(৮)
না, জায়েয হবে না।করলে বা করালে গোনাহ হবে।

(৯)
বিভিন্ন সূরা পড়ে ঝাকফুক করতেন।

(১০)
না, গোনাহ হবে না।

(১১)
অজু নষ্ট হবে না।তবে নামাযে তিন তাসবিহ পরিমাণ সতর খুলা থাকলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

(১২)
নাভীর উপরি ভাগ থেকে নিয়ে হাটুর নীচ পর্যন্ত সতর।সতর ঢাকা ফরয।খুলে গেলে অবশ্যই গোনাহ হবে।

(১৩)
সির্রি সময়ে জাহরী নামাযকে কাযা করলে মুনফারিদ নিম্নস্বরেই কিরাত পড়বে।তবে জাহরি সময়ে জাহরি নামাযের কা'যার বেলায় মুনফারিদকে এখতিয়ার দেয়া হবে।সে চাইলে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে অথবা নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে।এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1725


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...