আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in পবিত্রতা (Purity) by (108 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমি ওয়াসোয়াসায় অত্যধিক ভুগতাম বিধায় আমি নিজের কাপড় আর নিজে ধুইনা আম্মু ধুয়ে দেয়। কিন্তু উনাদের ধোয়া শরীয়ত সম্মত ছিলনা পরে আমি বলাতে তিনবার করে ধৌত করত।

আম্মু সাধারণত বালতিতে পানি ভরে নেয় এরপর মগটা মেঝেতে রাখে,পাশে কাপড়টি সাবান দিয়ে কাচে,এরপর ওক হাত দিয়ে মগ টা ধরে বালতিতে রাখে পানি দিয়ে কাপড়ের উপর ঢেলে দেয়।এখানে লক্ষণীয় সেই হাত দিয়েই মগ ধরছে,সেই মগ পানিতে ডুবছে,বা হাত টাও খানিক ডুবছে বালতির পানিগে,এছাড়া মগ ত কাপড় কাচার মেঝেতেই ছিল,সেখানে ছিটেফোটা বা তলানিতে সেই পানি লাগতেই পারে।

যাইহোক এরপর ভালভাবে কাচা হলে,সেই বালতিতে চোবায়,চুবিয়ে তুলে নিংড়ায়,এরপর ওই পানি ফেলে দিয়ে আবার পানি নেয় (সেক্ষেত্রেও সেই হাত দিয়ে পানির ট্যাপ ধরতে হয়) এভাবে তিনবার করে।
এর আগে গতকাল প্রশ্ন করেছিলাম এই আইডি থেকে,মুফতী ওলী উল্লাহ সাহেব বলেছেন ট্যাপ ও মগ বা বালতির পানি নাপাক হয়ে যাবে। অন্য কোনো ভাবে পানি নিয়ে সেই ট্যাপ ধৌত করতে হবে বা বালতি।

আমার প্রশ্ন, অন্য কোথা থেকে পানি নেবে? সেই ট্যাপ ইত ধরতে হবে,আবার মগ ধরলেওত সমস্যা।সেই মগ আবার ধৌত করতে হবে,স্বাভাবিক ভাবে তখন সেখান থেকে পানি ছিটে মেঝেতে পড়বে,মেঝেতেত কাপড় আছেই,আবার মেঝে নাপাক হবে।তখন আবার মেঝে পাক করতে যেয়ে আরেক্ত হাত দিয়ে কাপড় ধরতে হবে,মেঝে পাক হলে আবার সেই হাত দিয়ে ট্যাপ ধিরতে হবে।ঘুরে ফিরে একই হল। এক্ষেত্রে মগে বা ট্যাপে বা বালতির পানিতে ত সরাসরি নাপাকি পড়ছেনা,একবার নাপাক কাপড় কাচার সময় হাতে যা লেগেছে তাই। এই নাপাকি সেই ট্যাপ বা মগ বা বালতির পানির না স্বাদ,বর্ন,গন্ধ কিছুই চেঞ্জ করছেনা।

অন্য কোনো ভাবে পানি নিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে আদৌ কি সম্ভব? যেই ব্যক্তিবর্গ এভাবে মাসয়ালা বলেন তাদের অনুরোধ করছি একটু নিজের বাসার যারা কাপড় ধৌত করেন তাদেরটা খেয়াল করতে।আমি এসবের কারণে অনেক ওয়াসোয়াসায় ভুগি। সময় নষ্ট হয় এসবেই
।অনেক সময় নষ্ট।  সাহাবারা কি এত জটিল করে কাপড় ধৌত করতেন?

বেয়াদবি হলে মাফ করবেন,আমি নিতান্ত কষ্ট পেয়ে হতাশ হয়ে প্রশ্ন করলাম।

আমি নিজের কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে তাই এত জটিলতা আর পরিশ্রম করতে পারিনা,আমার জীবনেত আরো কাজ আছে।উপরে বর্ণিত ভাবে আম্মু বা আমি ধুই। এতে যতটুক পাক হল আরকি কারণ আমি আমার জ্ঞানে কোনো উপায় খুজে পাইনা আল্লাহ দেখছেন আমি কতটা করছি।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
إلي أن قال ...............وإن كانت غير مرئية يغسلها ثلاث مرات. كذا في المحيط ويشترط العصر في كل مرة فيما ينعصر ويبالغ في المرة الثالثة حتى لو عصر بعده لا يسيل منه الماء
(অতঃপর এক পর্যায়ে বলা হয়)
নজাসত যদি অদৃশ্যমান হয় তাহলে তিনবার দৌত করতে হবে।(মুহিত)প্রতিবার দৌত করার সময় কাপড় ইদ্যাদি নিংড়ানো শর্ত।বিশেষ করে তৃতীয়বার এমনভাবে নিংড়াতে হবে যে, এরপর যদি কেউ আবার নিংড়াতে চায় তাহলে এত্থেকে পানি ঝড়ানো যাবে না।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/৪১-৪২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/12596

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করতে হবে। সম্ভবত আপনি ধৌত করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছেন। আসলে বিষয়টা ব্যবহারিক জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। তাই লিখে বুঝানো মুশকিল।আপনি প্রশ্নে কি বলতে চাচ্ছেন? পুরোপরি বুঝিনি তবে আংশিক বুঝেছি। এবং সেই আলোকে বলছি।

ধরেন, আপনি একটা নাপাক কাপড়কে একটি বালতিতে ভিজালেন, তারপর চিপলেন।তারপর আবার এই চিপনো হাত দ্বারা ট্যাপ ছাড়লেন, ট্যাপ ছাড়া দ্বারা পানি তো নাপাক হচ্ছে না।কেননা হাত তো পানিতে লাগেনি।তারপর আবার ট্যাপ অফ করে বালতিতে দ্বিতীয়বার এবং এভাবে তৃতীয়বার কাপড় ধৌত করলেন, কাপড় কিন্তু তৃতীয়বাবের পরই পাক হয়, এর পূর্বে নাপাক থাকে। এবং তৃতীয়বার পাক হওয়ার সাথে সাথে কাপড় এবং বালতি ও মগ সবকিছুই পাক হয়ে যায়। এবং শেষে আবার ট্যাপ ছেড়ে পানি নিয়ে সেই ট্যাপের উপরি ভাগে পানি দিয়ে ধৌত করে নিবেন।তাহলে ট্যাপও পাক হয়ে যাবে। প্রয়োজনে আপনি শেষবার ভিন্ন ট্যাপ থেকে পানি নিয়েও ধৌত করতে পারেন।অথবা প্রথম থেকেই আলাদা কোনো মগে কিছু পানি রাখতে পারেন, যে পানি দ্বারা আপনি শেষে ট্যাপ ধৌত করবেন।আশাকরি না বুঝলে আমাকে কল দিবেন বা কমেন্টে বলবেন।

এক ভাই ইউটিউবে একটা ভিডিও দিয়েছেন।এটা দেখতে পারেন।
https://youtu.be/-RkHOYxMcw4

যদি আপনি পুকুরে বা বেশী পানিতে ধৌত করেন, তাহলে একবার ধৌত করলেই পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 123 views
0 votes
1 answer 118 views
...