আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
410 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
1. অমুসলিম দেশ (যেমনঃ আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড , ইউরোপ)  ইত্যাদি দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দেশের তুলনায় হাজার গুনে ভাল ।
2. তাছাড়া তাদের দেশে বিদ্যাপীঠে রাজনীতি নেই যেটা আমাদের দেশে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান।
3. সহশিক্ষা আমাদের দেশ ও বিদেশ উভয় খানেই বিদ্যমান।

4. দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে রাজনীতি না করলে থাকা যায় না । নানা রকম অনৈতিক কাজে প্রায়ই বাধ্য করা হয়।

এসব কারণে , আমি শুধু বিদ্যা অর্জনের জন্যই বিদেশে যেতে চাচ্ছি । পড়ালেখা শেষে আমি চলে আসব এটা নিশ্চিত । আর আল্লাহ যদি চান তো আমার ইচ্ছা অর্জিত বিদ্যা আমি ইসলাম ও দেশের জন্য ব্যয় করব ।
আমি মনে করি বিদেশে আর স্বদেশে শিক্ষার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই ( দু স্থানেই সহ শিক্ষা বিদ্যমান) কেননা দু স্থানেই অপসংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ ।

এমতাবস্থায় , আমার কি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া এবং তাদের শিক্ষাবৃত্তি (অমুসলিমদের অর্থ - হারাম থাকতে পারে )গ্রহন করা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ হবে কিনা ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুসলিম অমুসলিম যে কারো কাছ থেকে জাগতিক শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে। অমুসলিমের কাছ থেকে বৈধ হালাল টাকা গ্রহণ করতেও বাধা নাই। তবে সুদ বা মদ বিক্রয় বাবৎ অর্জিত টাকা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।

অমুসলিম দেশে বসবাস, স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী হোক, যখন এ এমন আলোচনা আসে, তখন তাদের ধর্মীয় নিয়ম নীতি বা তাদের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন আসে?

তাছাড়া হাদীসে এসেছে,
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)

হযরত জারীর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﺍﻧﺎ ﺑﺮﻳﺊ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻘﻴﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻇﻬﺮ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺮﺉ ﺍﻱ ﻧﺎﺭﻫﻤﺎ -
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”।
বিস্তারিত জানতে 
মুফতী তাকী উসমানী রাহ কর্তৃক লিখিত-ফেকহী মাক্বালাত (১/২৪৩) দেখা যেতে পারে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বিষয় বিষয়গুলো হয়তো সঠিক।কিন্তু হাদীসের কি জবাব হবে?

তাই বলা যায়,
আপনি যদি অন্তরে কাফিরদের দ্বীনের দাওয়াত প্রদানের নিয়ত রাখেন, তাহলে অমুসলিম দেশে যেতে পারবেন।এমনকি স্থায়ীভাবে থাকার বন্দোবস্তও করতে পারবেন। কেননা অনেক সাহাবা তাবেইন অমুসলিমদের মধ্যে এজন্য এসে বসবাস শুরু করেছিলেন,যেন তাদের নিকট  ইসলামের বাণী পৌছানো যায়।

সদাসর্বদা নিজের ঈমান ইসলামের প্রতি সযত্ন থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...