ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কেউ সমস্যায় পরার পর যদি তার ফাতওয়া জানা লাগে,এবং তখন সে আল্লাহ কে বলে," আল্লাহ তুমি ছাড়া আমার সমস্যা কেউ জানে না।জানবেও না।তুমি সমাধান করে দাও।"
এরপর যদি সে কোন মুফতি কে ফাতওয়া জিজ্ঞেস করার সময় নিজের সমস্যা খুলে বলে, তাহলে
এতে করে কেনো শিরক হবে না।
(২)
২য় নং প্রশ্নের সূরতেও শিরক হবে না।
(৩)
৩ নং সূরতেও শিরক হবে না।
(৪)
কাউকে খুশি করার জন্য কোন নেক কাজ আজীবনের জন্য ছেড়ে দেওয়া কখনো জায়েয হবে না। ফরয সুন্নতে মু'আক্কাদা ছাড়লে তো গোনাহ হবেই। নফল-মুস্তাহাব ছাড়াও মুনাসিব হবে না। হ্যা, অস্বিকার ও অবমাননা মূলুক কোন নফলকে তরক করলে ঈমান থাকবে না।
(৫)
শিরক হবে না।
(৬)
অসম্মান ও অবমাননা মূলক ফাতাওয়ার কিতাবে পা লাগালে, তা কুফরি হবে।
(৭)
মেসেঞ্জারে কোন আলেম কে অনেক গুলা প্রশ্ন করার পর যদি সে রিপ্লাই না দেয়, তবুও তাকে প্রশ্ন করলে শিরক হবে না।
(৮)
নিজে ইচ্ছা করার পরই আল্লাহ তাওফিক দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ কেউ প্রথমে রাগ করার ইচ্ছা করে, আর এই ইচ্ছা করার পর সাথে সাথেই আল্লাহ রাগ করার তাওফিক দিয়ে থাকেন। তারপর লোকজন রাগ করে থাকে।
(৯)
জ্বী, এটার নাম আত্মহত্যা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَأَنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ۛ وَأَحْسِنُوا ۛ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।(সূরা বাকারা-১৯৫)
নিজেকে ধংসের দিকে ঢেলে দিয়ে এটা বলা যাবে না যে, আল্লাহ রক্ষা করবেন।রক্ষা করার মালিক আল্লাহ তা'আলা।বরং রেল লাইন থেকে দূরে সরে যাওয়ার শক্তি কামনা করে, দূরে গিয়ে সরে দাড়াতে হবে।