আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
১.হুজুর আমি ভালোবাসাও শিরক হয় এ সমন্ধে এক্টি বইয়ে পরেছিলা।   একদিন ইউটিউব বা ফেসবুকে  এক্টি ভিডিও তে  দেখেছিলাম যে  খেলা দেখার সময় নামাজের সময় হলে নামাজ না পরে এক্টু পরে পরতেছি ওয়াক্ত তো এখনও আছে এরকম করলে নাকি ভালোবাসায় শিরক হয়।    হুজুর আমি রাত জেগে ফুটবল খেলা দেখি। ফুটবল খেলা দেখা আমার নেশা।তো একদিন আমি ফুটবল খেলা দেখার পর ঘুমিয়ে যাই। সম্ভবত আ্যলার্ম দিয়েছিলাম।কিন্তু ফজরের সময় আর উঠতে পারিনি।   সকাল হয়ে যায়।তখন উঠে ফজরের নামাজ পড়ি।

১.হুজুর এখেত্রে আমার কি ভালোবাসায় শিরক হয়েছে?

২.   হুজুর আমি দিনের বেশিরভাগ সময় শুধু খেলা নিয়ে চিন্তা করতাম।খেলার ভিডিও দেখতাম। রাতে খেলা দেখার জন্য যখন আ্যলার্ম দিতাম তখন একবার আ্যলার্ম দিতেই উঠে যেতাম। কিন্তু নামাজের আ্যলার্ম এর সময় এক্টু পর উঠতেছি । গড়িমসি করতাম। তবে নামাজ পরতাম।খেলা অবশ্য প্রতি রাতে হত না। এটা কি ভালোবাসায় শিরক?

৩. যদি নামাজ ছেড়ে খেলা দেখলে ভালোবাসায় শিরক না হয়,  কিন্তু সে যদি মনে করে যে নামাজ ছেড়ে খেলা দেখলে ভালোবাসায় শিরক হয়, কিন্তু তারপরও খেলা দেখে নামাজ পরে পরবে বলে। তাহলে কি  তার এ বিশ্বাসের কারনে কি জেনেশুনে শিরক করা হবে?।যেহেতু তার বিশ্বাস ছিল নামাজ ছেড়ে খেলা দেখলে ভালোবাসায় শিরক হয়।

৪.হুজুর আমার ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত ছিল। কিন্তু খেলা দেখার কারনে   উঠতে পারিনি।   সম্ভবত আ্যলার্ম  দিছিলাম।যখন ঘুম থেকে জেগেছি তখনই নামাজ পড়ছি।    তারপর থেকে রাতে খেলা দেখলেও ফজরের নামাজ পড়ি।

    এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে শিরক হয়েছে কি না, যদি শিরক না হয়, তাহলে আমার এ সন্দেহের কারনে  কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/16411/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
সুরা বাকারার ১৬৫ নং আয়াতে যাকে ইবাদত করা হয় (উদাহরণ স্বরুপ মূর্তি) উদ্দেশ্য।
কোনো প্রেমিক প্রেমিকা এখানে উদ্দেশ্য নয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَہُمۡ کَحُبِّ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰہِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾

আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে । আর যারা যুলুম করেছে যদি তারা আযাব দেখতে পেত, (তবে তারা নিশ্চিত হত যে,) সমস্ত শক্তি আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।

অর্থাৎ কাফেররা আল্লাহকে যেমন ভালবাসে তাদের (মিথ্যা) মা’বুদদেরও তেমন ভালবাসে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা কাফেরদের মনেও ছিল, কিন্তু তা ছিল শির্কযুক্ত। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য নয়।
,
★★★সুতরাং বুঝা গেলো যে বিবাহ পূর্বক  প্রেম হারাম হলেও তাহা শিরক নয়। 
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ   
হারাম-প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। 
,
সুতরাং এটি যেহেতু বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়,তাই যেকোনো ভাবেই হোক, এর থেকে হেফাজত থাকতে হবে। 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে শিরক হয়নি।

(০২)
এটা শিরক নয়।

(০৩)
এতেও শিরক হবেনা।

(০৪)
শিরক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...