ইফতার & জামাআতে উপস্থিত হওয়া সংক্রান্ত

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

আমি যতদূর জানি জামাআতে সালাত আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ মতান্তরে ওয়াজিব। আমিও এই হিসেবেই আমল করার চেষ্টা করি। কিন্তু রমাদান ব্যাতীত অন্য সময় যখন আমরা নফল সিয়াম থাকি তখন মাগরিবের আজানের পর জামাআত পর্যন্ত পর্যাপ্ত সময় থাকেনা। এক্ষেত্রে ইফতার সম্পন্ন করে জামাআত পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমাদের জন্য ইফতার ঠিকমতো সেরে সালাতে যাওয়া উত্তম নাকি ইফতার বাকি রেখে জামাআতে উপস্থিত হওয়া উত্তম হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-

ইসলামে জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার অনেক অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-

لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.

আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.

অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/5491/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সমান্য কিছু (শুধু পানি বা পানি+খেজুর বা অন্য কোনো ফল বা খাবার) দিয়ে ইফতার করে (যথাসম্ভব শুধু রোযাটি ভেঙ্গে দিয়ে) জামায়াতে শরীক হওয়াই উত্তম হবে।

,

নামাজ শেষে পূর্ণ খাবার খাবেন।