আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)
১))) কোন এক স্ত্রি অনেক দিন ধরে ((()))) ওয়াস ওয়াসায় আক্রান্ত,  সে মাযে মাযে মনে মনে ((()))) কথা বলে ফেলে, খাওয়ার সময়,  অযু করার সময় নামাযের সময় তার এই সমস্যা বেশি হয়, মুখ খুল্লেই সে মনের অজান্তে,  মনে মনে ((()))) কথা বলে ফেলে, একদিন সেই স্ত্রি নামায পরছিল তখন তার মনে ওয়াস ওয়াসা আসে, সে মনে মনে বলে ফেলে, কিন্তু সে যখন আত্তাহিয়াতু বা দুরুদ পরছিল তখন তার মনে হয় সে কি ওই শব্দটা বলে ফেললো নাকি, তার কেমন যেন একটা বাতাসের মত শব্দ মনে হয়, ঠিক কত টুকু শব্দ হয় সে বুজতে পারে না, কিন্তু সে সুধু আনমনে ওই শব্দ টাই বলছে সাথে আর কিছু বলে নাই

২) অন্ন আর একদিন  সে মনে মনে বলছে নাকি  শব্দ করে বলছে সেটা বুজার জন্য মনে মনে বলতে থাকে, কিন্তু কিছুখন পর তার মনে হয় আনমনে সেই শব্দ টা হয়ত বলে ফেলল,  কত টুকু শব্দ করছে তার ঠিক মনে নাই, সে আনমনে বলছে সুধু  ((((())))))  শব্দ টাই বলছে আর কিছু বলে নাই
ওয়াস ওয়াসার কারনে শব্দ টা লিখলাম না,  এক্টু বুজে নিবেন

৩))) সেই স্ত্রি  কখনও কখন ও শব্দ করে বলল নাকি মনে মনে বলল সেটা নিয়ে সন্দেহে পরে যায় এই ক্ষেত্রে কি হবে

৪)))  কেনায়া শব্দে হলে বিয়ে করার আগে স্ত্রি যদি স্পট শব্দে তাহলে কি হয়

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
মনে মনে তালাক দিলে তালাক হয়না।
তবে উচ্চারণ করে নিজে কানে আসার মতো আওয়াজে উচ্চারণ করে তালাক দিলে তালাক হয়।
,

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০২)
এতেও তালাক হবেনা।

(০৩)
সন্দেহে পড়ে গেলে তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার উপর তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 132 views
0 votes
1 answer 150 views
...