জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শিশুদের ১০ বছরের আগে প্রহার করা যাবেনা।
আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
নাবী ﷺ বলেছেন, “তোমাদের সন্তানদের বয়স সাতবছর হলে তাদেরকে নামাজ পড়ার নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশবছর হয়ে যাবে, তখন (নামাজ আদায় না করলে) তাদেরকে মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে।” [আবু দাউদ, হা/৪৯৫; আলবানী হাদীসটিকে ‘ইরওয়াউল গালীল’ গ্রন্থে (১/২৬৬; হা: ২৪৭) সহীহ বলেছেন।]
তাদেরকে গালি গালাজও করা যাবেনা।
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِ وَلاَ البَذِيءِ.
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৯৭৭]
قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ»
‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কোন মুসলিমকে গাল দেয়া ফাসিকী কাজ (জঘন্য পাপ) আর কোন মুসলিমকে হত্যা করা কুফরী। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭০৭৬]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ছাত্রের বয়স ১১ বা তার বেশি হলে তাকে শরীয়তের নীতিমালার আওতায় থেকে শাসন করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নিবেন,আর শরীয়ত কর্তৃক আরোপিত শর্তগুলু মেনে প্রহার করবেন।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
প্রশ্নের উল্লেখিত ছুরতে আপনি মাকে গালি দেননি,কোনো অশালীন ভাষায় কথা বলেননি,ঝগড়াঝাটিও করেননি।
,
তবে তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কথা বলায় তিনি রেগে গিয়েছেন,এতে আপনার গুনাহ হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
তবে এটি মুখে মুখে তর্কের মতো হলে আপনার গুনাহ হবে।
,
সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে,মায়ের অভিশাপ থেকে বাঁচতে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মা যেহেতু খুবই শক্ত কথা বলে ফেলেছে,তাই আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে,মায়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার।