আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in সাওম (Fasting) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১/  আমার নানুভাই ২০১৭ সালে রোজার মাসে স্ট্রোক করেছিলেন। সেই মাসে পুরো রোজা করতে পারে নি। কিন্তু কয়টা রোজা করতে পারেন নি তা আমাদের মনে নেই। এরপর থেকে উনি আর রোজা করতে পারেন নি আমাদের জানামতে। উনি মারা গেছেন গত ২৮ তারিখে। আমরা এখন কিভাবে এই রোযার ফিদিয়া আদায় করব? ফিদিয়া কি রোজার মাসেই করতে হয়?
২/ এছাড়াও উনি উনার জীবদ্দশায় কোনো রোজা বাদ দিয়েছেন কি না আমরা জানি না। আমাদের জানামতে উনি রোজা করতেন। এখন আমরা শুধু অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ফিদিয়া আদায় করব কি না?
৩/যতক্ষন না ফিদিয়া আদায় করব ততক্ষন কি আমরা উনার নামে কোনো দান সাদাকা করতে পারব না?
৪/ ফিদিয়া আদায় কি শুধু সন্তানদের টাকা দিয়েই করা যাবে? নাতি নাতনি বা পরিবারের অন্য সদস্য কি অংশগ্রহণ করতে পারবে?
৫/ নামাযের কাফফারা কিভাবে আদায় করতে হয়? উনি বিছানাগত হওয়ার পর থেকে নামায আদায় করতে পারেন নি। আমাদের কোনো হিসাব নেই সেই নামাযের। এখন আমাদের কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থা ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫,কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৪০৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার নানা শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নন।অর্থাৎ এমন পরিস্থিতে  শরীয়ত উনার উপর নামায-রোযার কিছুকেই ফরয করছে না। বরং এমতাবস্থায় সম্ভব হলে উনি যিকির করবেন।এবং তখন অন্যান্য আ'মলের চেয়ে যিকির করাই মুস্তাহাব।
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1411

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১+২)
আপনার নানা স্টোক করার পর থেকে যদি ইশারার মাধ্যমেও নামায পড়তে অক্ষম থাকেন, তাহলে স্টোক করার পর থেকে নিয়ে যতদিন বেঁচেছিলেন, ততদিনের নামায রোযা উনার মাফ।ফিদিয়া দিতে হবে না। তবে যদি নামায রোযা রাখতে সক্ষম থাকে,তবে নামায রোযা না করে থাকেন, তাহলে এগুলোর কাফফারা দিতে হবে।একটি রোযার কাফফারা একটি ফিতরা সমপরিমাণ। এবং একটি নামাযের কাফফারাও ঠিক তেমনই। তাছাড়া সুস্থ অবস্থায় বালেগ হওয়ার পর থেকে নিয়ে যদি নামায রোযা ছেড়ে থাকেন, তাহলে তারও কাফফারা দিতে হবে।

(৩)
ফিদিয়া আদায়ের পূর্বে উনার নামে দান সাদাকা করতে পারবেন।

(৪)
যে কেউ ফিদিয়া আদায় করতে পারবে।

(৫)
অনুমানের ভিত্তিতে আদায় করবেন। একটি রোযার যেই পরিমাণ ফিদয়া, একটি নামাযের ফিদয়াও সেই পরিমাণ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 112 views
...