আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

ডাঃ জাকির নায়েকের  ভিডিও:https://youtu.be/yPgC3M33s6g[দয়া করে ভিডিওটা দেখার অনুরোধ রইল।]

কলব নিয়ে ডাঃ জাকির নায়েকের ভিডিওতে বলা হয়েছে কলব মানে বুদ্ধিমত্তা বা অন্তর।এখন সঠিক অনুবাদ হচ্ছে বুদ্ধিমত্তা।তাহলে কুরআনের বাংলা অনুবাদে কি ভুল আছে[নাউযুবিল্লাহ]।

তাহলে সাহাবীরা কীভাবে অনুবাদ বুঝতেন।আর যেহেতু কুরআনের অনুবাদ নবিজি (সাঃ) ও সাহাবীদের বুঝে আসত।এবং সে অনুযায়ী তাঁদেের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি।তাহলে কুরআনের অনুবাদে বর্তমানে ভুল হবে কেন??অর্থাৎ কলব এটার অর্থ তো অন্তর বা বুদ্ধিমত্তা দুইটা হবে না-যেকোনো একটাই হবে অনুবাদে।নবিজি(সাঃ) ও সাহাবীরা কি এখানে অন্তর বুঝতেন নাকি বুদ্ধিমত্তা বুঝতেন?

[শায়েখ আমার বুঝার ভুল আছে বা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন]

২/কাবা শরীফকে আল্লাহর ঘর বলা হয় কেন?

৩/আযানের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় কেন?আযানের বাক্য একই কিন্তু এক এক জনের মুয়াজ্জিনের আযানের সুরে মনে হয় ভিন্নতা লক্ষ্য হয়।

1 Answer

+1 vote
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «إنَّ الحَلاَلَ بَيِّنٌ، وَإنَّ الحَرامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبَهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ، اسْتَبْرَأَ لِدِينهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ في الحَرَامِ، كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الحِمَى يُوشِكُ أنْ يَرْتَعَ فِيهِ، ألاَ وَإنَّ لكُلّ مَلِكٍ حِمَىً، ألاَ وَإنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ، ألاَ وَإنَّ فِي الجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَت صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، ألاَ وَهِيَ القَلْبُ » متفقٌ عَلَيْهِ

নু‘মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘অবশ্যই হালাল বিবৃত ও স্পষ্ট এবং হারাম বিবৃত ও স্পষ্ট, আর উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দিহান বস্তু; যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব যে ব্যক্তি এই সন্দিহান বস্তুসমূহ হতে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও ইজ্জতকে বাঁচিয়ে নেবে এবং যে ব্যক্তি সন্দিহানে পতিত হবে (সন্দিগ্ধ বস্তু ভক্ষণ করবে), সে হারামে পতিত হবে।

(এর উদাহরণ সেই) রাখালের মত, যে নিষিদ্ধ চারণভূমির আশেপাশে পশু চরায়, তার পক্ষে নিষিদ্ধ সীমানায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শোন! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত চারণভূমি থাকে। আর শোন! আল্লাহর সংরক্ষিত চারণভূমি হল তাঁর হারামকৃত বস্তুসমূহ। শোন! দেহের মধ্যে একটি গোশতপিন্ড রয়েছে; যখন তা সুস্থ থাকে, তখন গোটা দেহটাই সুস্থ হয়ে থাকে। আর যখন তা খারাপ হয়ে যায়, তখন গোটা দেহটাই খারাপ হয়ে যায়। শোন! তা হল কলব (হৃৎপিন্ড,অন্তর)।’’

(সহীহুল বুখারী ৫২, ২০৫১, মুসলিম ১৫৯৯, তিরমিযী ১২০৫, নাসায়ী ৪৪৫৩, ৫৭১০, আবূ দাউদ ৩৩২৯, ইবনু মাজাহ ৩৯৮৪, আহমাদ ১৭৮৮৩, ১৭৯০৩, ২৭৬৩৮, ১৭৯৪৫, দারেমী ২৫৩১।)

★এই হাদীসে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে কলব হলো গোশতের টুকরো। 

এখন প্রশ্ন হলো এ বিশেষ ‘মুদগা’ যাকে ‘কলব’ বলা হয়েছে তা শরীরের কোথায় অবস্থিত? এ সম্পর্কে তিনটি মতামত আছে- 

ক. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো রুহ (আত্মা, প্রাণ বা জীবন), কিন্তু এটা সঠিক হতে পারে না। কারণ রুহের কোনো নির্ধারিত আকার নেই এবং শরীরের মধ্যে তার কোন সুনির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থানও নেই। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা যদি আপনাকে রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলুন, রুহ আমার রবের নির্দেশ হতে; আর তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।’ (সূরা বনি ইসরাঈল : ৮৫)।

খ. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো নাফছ , কিন্তু এটাও সঠিক হতে পারে না। কেননা নাফছেরও কোনো নির্ধারিত আকার নেই এবং শরীরের মধ্যে তার কোনো সুনির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থানও নেই। 

 গ. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো আকল (জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি)।

এটা অনেকটা কাছাকাছি। কিন্তু আমরা জানি জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি স্পর্শযোগ্য বস্তু নয়, আকলেরও কোনো নির্ধারিত আকার নেই, যদিও শরীরের মধ্যে তার নির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থান রয়েছে এবং হাদিস শরিফে কলবকে মুদগাহ অর্থাৎ স্পর্শযোগ্য বস্তু বলা হয়েছে, সুতরাং মস্তিষ্ক বা মগজ (গোশতের টুকরো) যেখানে জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি থাকে তাকেই কলব বলা শ্রেয়তর হবে। 
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

(০২)
যেহেতু হাদীস শরীফে এটিকে বাইতুল্লাহ বলেই অবহিত করা হয়েছে।
তাই এটিকে বাইতুল্লাহ বলা হয়। 

عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلاَ عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ فِي كِتَابِهِ : (وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ) "

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি বাইতুল্লাহ তথা আল্লাহ্ তা'আলার ঘর পর্যন্ত পৌছার মত সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হাজ্জ না করে তবে সে ইয়াহুদী হয়ে মারা যাক বা নাসারা হয়ে মারা যাক তাতে (আল্লাহ তা'আলার) কোন ভাবনা নেই। কারণ আল্লাহ তা'আলা তার কিতাবে বলেনঃ “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাবার সামর্থ্য আছে, আল্লাহ্ তা'আলার উদ্দেশে ঐ ঘরের হাজ করা তার অবশ্য কর্তব্য”। (সূরাঃ আল-ইমরান - ৯৭)।
(সুনানে তিরমিজি ৮১২)

(০৩)
এটি সূরের ভিন্নতা,শব্দের নয়।
,
(তবে কিছু ভিন্ন মাযহাব অনুসারী গন আযানের শব্দ ১৫ টা থেকে কম করেন,সেটি মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা। ) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
প্রশ্ন কর্তাকে ছোট একটি পরামর্শ দিতে চাই। 
আসসালামু আলাইকুম, 
মুলত কোন বাংলা অনুবাদ দেখে কোন সিদ্ধান নেওয়া উচিত না। তিনি ইংরেজিতে লেকচার দিয়েছিলেন। এটার বাংলা যিনি করেছেন তিনি ভালো বলতে পারবেন আসলে তিনি কি বলেছিলেন।
অন্যদিকে ড, জাকির নায়েক শুরুর দিকে নিজেই শিখছিলেন। তিনি কম্পারেটিভ ধর্ম তত্তের ছাত্র। তিনি সেই বিষয়ে স্পেসিয়ালিস্ট। তার থেকে আমরা সেই বিষয়ের জ্ঞান নিবো ইনশাআল্লাহ। তিনি যেহেতু শুরুর দিকে নিজেই ধর্মের বিষয়ে জানছিলেন। তাই একদম শুরুর দিকে লেকচার গুলোতে বেশ কিছু আকিদা  জনিতো ভুল ছিল যা তিনি পরে সংশোধনও করে নিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। 

একই ভাবে অন্য যে কোন লেকচারারে ক্ষেত্রে এই বিষয় আমরা লক্ষ রাখি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...