ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/37196 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير)
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)
হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ».
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
স্বপ্নের মৃত মানুষ দেখিয়ে আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে।সুতরাং দ্বীনের পথে ফিরে আসুন সম্পূর্ণরূপে।
(২)
যখনই মনের মধ্যে ওয়াসওয়াসা আসবে, অথবা যখনই সে কোনো দুঃস্বপ্ন দেখবে, তখনই সাথে সাথে সে "আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম" বলবে।
(৩) যদি কখনো ভুল উচ্ছারিত হয়, তাহলে সাথে সাথে শুদরিয়ে নিলেই হবে নামায বিশুদ্ধ থাকবে।
(৫)
হাত যেহেতু খুব বেশী ঘামছে, তাই নাপাকি লাগলে দেয়ালে না ঘষে বরং ধৌত করতেই হবে।ধৌত না করলে পবিত্র হবে না।