আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in পবিত্রতা (Purity) by (136 points)
edited by
https://ifatwa.info/48281/

1.প্রশ্নে বর্ণিত পরিস্থিতি তে আমার ওই শুকনো কুদ্রা  চেক করতে যেয়ে উড়ে যেয়ে রুম এ পড়ে। অনেক ছোট হওয়ায় তা আর আমার পক্ষে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। এমনিতেই রুম এ এমন অনেক কাল ধুলাবালি থাকেই। এমতাবস্থায় যদি কেউ আমার রুম মুছে বা এমন কিছু, পুরো রুম কি নাপাক হয়ে যাবে? আমি কোনমতেই আর বুঝতে সক্ষম না ওটা কোথায় গিয়ে পড়েছে। অত্যন্ত দুঃখিত এত এত প্রশ্ন করার জন্য। আমাকে মাফ করবেন।

2. ভেজা ভেজা ভাব এমন টিস্যু তে থাকা দৃশ্যমান কুদ্রা( শুকনো টাইপ এর) হাত দিয়ে ধরে, যদি হাতে নাপাকীর কোনো চিহ্ন না থাকে এবং ওই হতে ভেজা টাইলস এর ফ্লোর এ হাত রাখা হয় তবে কি টাইলস নাপাক হয়ে যাবে? হাতে নাপাকীর কোনো চিহ্ন বা গন্ধ ছিলনা। যেহেতু নাপাকী শুকনো ছিল। কিন্তু প্রথম অবস্থায় ভেজা ভেজা ভাব ছিল।

3. যদি নাপাক হয় তবে অনেক ছোট জায়গায় হওয়ায় আমি আর বুঝতে পারছিনা কোথায় ঠিক জায়গাটা। আমার অনুমান মতে কিছু জায়গা মুছে নিয়েছি আন্দাজ করে( mirror tiles) তবে কি পাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

(১)
যদি ঐ টুকরোকে শুকনো অবস্থায় ঘর ঝাড়ু দিয়ে বাহিরে ফেলে দেয়া হয়,তাহলে ঘরের কোনো অংশই নাপাক হবে না। আর যদি রুমকে পানি দ্বারা মুছা হয়, এবং সেই টুকরোতে পানি লেগে গলে যায়, তাহলে সেই টুকরো থেকে গলে গিয়ে ফ্লোরের কিছু অংশ নাপাক করে ফেলবে। সুতরাং শুকনো অবস্থায় ঝাড়ু দিয়ে বাহিরে ফেলে দিন।

(২)
ভেজা ভেজা ভাব এমন টিস্যুতে থাকা দৃশ্যমান কুদ্রা( শুকনো টাইপ এর) হাত দিয়ে ধরা হয়, যদি হাতে নাপাকীর কোনো চিহ্ন না থাকে এবং ওই হতে ভেজা টাইলস এর ফ্লোরে হাত রাখা হয় তবে  টাইলস নাপাক হবে না।


(৩)
অনুমান করে ঝাড়ু দিয়ে দিন।আর ভেজা কাপড় দ্বারা মুছলে, আবার নতুন পানি দ্বারা তিনবার মুছে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...