আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
246 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। বর্তমানে আমি একজন ছাত্র। আমার বাবা বর্তমানে সুদি ব্যাংকে চাকরি করে।আমি ভবিষ্যতে ইনকাম করলে  বাসা ছেড়ে অন্যত্র বাসা নেওয়ার ইচ্ছা যাতে হালাল খেতে পারি।যদি বাসা নেওয়ার পর পিতা মাতা তাদের বাসায় থাকতে বলে।আর তাদের দেখাশোনার মত কেউ না থাকে তাহলে কি করব?আর আমার ইনকাম যদি বেশি না হয় তাহলে তাদের সাথে সেগুনবাগিচায় থাকা কষ্টসাধ্য।ধরুন আমি যাত্রাবাড়ি থাকলে সেখানে দুইবেলা খেয়ে কোনরকম জীবন-যাপন করতে আমার অসুবিধা নেই।কিন্তু পিতা মাতার সাথে থাকলে তাদের খাবার খরচ বহন করা ও সম্ভব নয়।তারা আমার সাথে আমার নিজের বাসায় রাখার ও সামর্থ্য আমার নেই।তাছাড়া তাদের বাসায় থাকলে আলাদা রান্না করলে বা দারোয়ান দের সাথে খেলে এটি তাদের জন্য বেশ অপমানজনক হবে।আর আমি বিয়ে করলে পিতা মাতার  সাথে থাকলে আমার স্ত্রীর পর্দার বিধান লংঘন হবে।কারন আমার বালেগ ছোট ভাই আছে।সে সাথে আত্মীয়-স্বজন আসলে আমার স্ত্রীকে তাদের সামনে যেতে পিতা মাতা জোরাজুরি করবে।এতে তাদের সাথে আমার ঝগড়া হতে পারে তাদের সাথে আমি খারাপ ব্যবহার ও করতে পারি। তারা যেহেতু দ্বীনদার না তারা ইসলামের বিপরীতে গেলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করার আশংখা আছে।তাদের বুঝাতে গেলে ও তারা রেগে যায়।

এখন আমি কিভাবে হালাল ও খেতে পারি?আর পিতামাতাকে কষ্ট দেওয়া থেকে ও নিজেকে বিরত রাখতে পারি?

আমি জানি যে মেহমানদের বাসায় হারাম খাবার খাওয়া যায় যদি না সেটি চুরি,ডাকাতির সম্পদ হয়।কারন আবু বকর রাঃ বাদে বাকি সাহাবীরা মেহমানদের বাসায় খাবার খেত হারাম হলে ও।আল্লাহর রসূল সাঃ ও ইহুদিদের থেকে হাদিয়া নিত।যদি ও তারা সুদের কারবার করত।তাই এরূপ মেহমান হওয়ার শর্ত কি? কতদিন এভাবে খাওয়া যাবে ও হাদিয়া নেওয়া যাবে?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362

https://www.ifatwa.info/3712 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
পিতা-মাতা সহ সমস্ত উসূল বা মূল জ্বড়(বাপ-দাদা তার এবং উপরের জন) গরিব, উপার্জনে অক্ষম হওয়া শর্ত।সুতরাং উসূল ধনী বা উপার্জনে সক্ষম অবস্থায় ফুরু' বা সন্তানাদির উপর নাফক্বাহ দেওয়া ওয়াজিব হবে না।তখন নেকী অর্জন ও আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ়তর করতে নাফক্বাহকে ওয়াজিব করা হবে।(যাকে মুস্তাহাব বলা যাবে)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যতদিন না কোনো হালাল চাকুরি হচ্ছে,ততদিন পর্যন্ত আপনি বাবার ইনকাম থেকে শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী নিতে পারবেন।যা নিবেন বা গ্রহণ করবেন,ভবিষ্যতে ঐ হারাম টাকার মালিককে খুজে না পেলে সবগুলো সদকাহ করে দিবেন।

 
আপনি যখন চাকুরী পেয়ে যাবেন, তখন বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি পৃথক বাসা নিবেন। মাতাপিতার কাছে যদি টাকা পয়সা না থাকে, তাহলে মাতপিতার সাথেই থাকবেন। তাদের ভরণপোষণ তখন আপনার ও আপনার ছোট ভাইয়ের দায়িত্বে চলে আসবে। আপনারা উভয় ভাই মিলে মাতাপিতার ভরণপোষণ আঞ্জাম দিবেন। ছোট ভাই বা গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে আপনার আহলিয়াকে পর্দায় রাখবেন।এবং পর্দায় রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...