বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।
মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362
https://www.ifatwa.info/3712 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
পিতা-মাতা সহ সমস্ত উসূল বা মূল জ্বড়(বাপ-দাদা তার এবং উপরের জন) গরিব, উপার্জনে অক্ষম হওয়া শর্ত।সুতরাং উসূল ধনী বা উপার্জনে সক্ষম অবস্থায় ফুরু' বা সন্তানাদির উপর নাফক্বাহ দেওয়া ওয়াজিব হবে না।তখন নেকী অর্জন ও আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ়তর করতে নাফক্বাহকে ওয়াজিব করা হবে।(যাকে মুস্তাহাব বলা যাবে)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যতদিন না কোনো হালাল চাকুরি হচ্ছে,ততদিন পর্যন্ত আপনি বাবার ইনকাম থেকে শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী নিতে পারবেন।যা নিবেন বা গ্রহণ করবেন,ভবিষ্যতে ঐ হারাম টাকার মালিককে খুজে না পেলে সবগুলো সদকাহ করে দিবেন।
আপনি যখন চাকুরী পেয়ে যাবেন, তখন বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি পৃথক বাসা নিবেন। মাতাপিতার কাছে যদি টাকা পয়সা না থাকে, তাহলে মাতপিতার সাথেই থাকবেন। তাদের ভরণপোষণ তখন আপনার ও আপনার ছোট ভাইয়ের দায়িত্বে চলে আসবে। আপনারা উভয় ভাই মিলে মাতাপিতার ভরণপোষণ আঞ্জাম দিবেন। ছোট ভাই বা গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে আপনার আহলিয়াকে পর্দায় রাখবেন।এবং পর্দায় রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করবেন।