আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,
অনেকদিন আগে তালাক দিয়েছে কিন্তু ধর্মীয় মূল্যবোধ না থাকার কারণে আমার মা তেমন গুরুত্ব দেয় নি তাই সংসার চালিয়ে গিয়েছিলেন। এখন দ্বীনের বুঝ আসার পর সেই তালাকের ব্যাপারটা আমলে নিয়েছে কিন্তু এখন মনে নেই তালাক কয়টা দেওয়া হয়েছে যদিও তালাক ৩ টা দিয়ে দেওয়ার শর্তে মা এখন আলাদা থাকেন আল্লাহকে ভয় করে। বাবার এখনো দ্বীনের বুঝ আসে নি তিনি আল্লাহর হুকুম মানার চাইতে আবেগকে বেশি প্রধান্য দিচ্ছেন। তালাক নিয়ে এই কনফিউশন দূর করার জন্য বাবাকে সংখ্যা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন আমি দুটো দিয়েছি, ওইদিকে মায়েরও মনে নেই। এখন আমার প্রশ্ন হলো এই সন্দেহ নিয়ে কি সংসার কন্টিনিউ করা যাবে, নাকি তালাক হয়ে গেছে যেখানে মায়ের মনে নেই অপরদিকে বাবা অস্বীকার করছেন যে ৩ টা দেন নি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/934 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻟَﻮْ ﻳُﻌْﻄَﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺑِﺪَﻋْﻮَﺍﻫُﻢْ ﻟَﺎﺩَّﻋَﻰ ﻧَﺎﺱٌ ﺩِﻣَﺎﺀَ ﺭِﺟَﺎﻝٍ ﻭَﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻬُﻢْ ، ﻭَﻟَﻜِﻦَّ ﺍﻟْﻴَﻤِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺪَّﻋَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যদি লোকজন-কে তার স্রেফ  দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত জিনিষ দিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে লোকজন তার অপর ভাইয়ের রক্ত এবং সম্পদ-কে (নিজ বলে) দাবী করতেও কুণ্ঠা করবে ।এ জন্যই (দাবীর পক্ষে)প্রমাণ পেশ করা বাদীর দায়িত্ব এবং(প্রমাণ পেশ না হলে) শপথ গ্রহণ করা বিবাদীর দায়িত্ব।
সহীহ মুসলিম-১৭১১

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন
ﻭﻗﺪ ﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﺍﻟْﺒَﻴِّﻨَﺔُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺪَّﻋِﻲ ، ﻭَﺍﻟْﻴَﻤِﻴﻦُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺪَّﻋَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ )
বাদী উপর প্রমাণ পেশ করা এবং বিবাদীর জন্য শপথ গ্রহণ করা আসবে।
সুনানে তিরমিযি-১৩৪১

অন্য বর্ণনায় এসেছে
: ( ﻭﻟﻜﻦ ﺍﻟﺒﻴﻨﺔ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺪﻋﻲ ، ﻭﺍﻟﻴﻤﻴﻦ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﺃﻧﻜﺮ )
বাদী উপর প্রমাণ পেশ করা এবং বিবাদীর জন্য শপথ গ্রহণ করা আসবে।(বায়হাক্বী) (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার মায়ের তালাকের সংখ্যা মনে নাই, তাই আপনার বাবা কসম করে বলতে বলা হবে।যদি আপনার বাবা তিনবার আল্লাহর নামে কসম করে বলেন যে, তিনি দুইটি তালাকই দিয়েছেন, তাহলে আপনার মায়ের জন্য আপনার বাবার সাথে সংসার করা জায়েয হবে। নতুবা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...