আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in পবিত্রতা (Purity) by (136 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।

1. চিরুনি তে নাপাকী ছিল, অল্প পরিমাণে( ব্রণ এর পুঁজ সামান্য) ওই ভাবেই ভেজা চুল আঁচড়িয়ে ফেলি। চুল পড়ে পাক করে নেই কিন্তু চিরুনি যেই টেবিল এ রাখি তখনো চিরুনি পাক করা হয়নি, পড়ে চিরুনি সরিয়ে দেখি ভেজা কোনো ভাব নেই( যেহেতু চিরুনি তে খুব সামান্য ই নাপাকী ছিল) তাহলে কি টেবিল নাপাক ধরবো না পাক? দয়া করে জানাবেন।

2. আমার হায়েজ ইস্টেহাজা এবং আরো কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিতে হয়, ওষুধ চলার কারণে আমার 10 দিন এর অভ্যাস এখন 7 দিন এর দিন ই এবার হায়েজ শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে, আজ জোহরের শেষ এ চেক করে দেখি যে সাদা আসছে, গতকাল এশার সময় কুদ্রা দেখেছি। তারপর আজ ইস্তিঞ্জা করেছি তাই আর কুদ্রা লেগে থাকার কথা না। আজ জোহরের ওয়াক্তের শেস এ লজ্জাস্থান এর যোনিপথ এ সাদা ই দেখি কিন্তু আশেপাশে(যোনিপথে না) কুদ্রআ মতন পাই টিস্যু তে, ইস্তিঞ্জা করেছি জোহরের ওয়াক্তে তাই আগের কুদরা হওয়ার কথা না এটা, এটা কি এখন হায়েজ হিসেবে ধরবো নাকি হায়েজ শেষ ধরবো? নাকি আরো অপেক্ষা করবো। ওষুধ চলার কারণে অভ্যাস কিরকম হবে এবার বলতে পারছিনা। দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
চিরুনি যেহেতু ভেজা ছিলনা, এবং টেবিলে চিরুনি রাখার স্থানকেও ভেজা দেখেননি বা পাননি, তাই আপনার চিরুনি বা টেবিল কোনো কিছুই নাপাক হয়নি বরং আপনি পবিত্র ধরবেন।

(২)
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি দশদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখবেন।যদি এবার দশদিন পর্যন্ত মাঝেমধ্যে সাদাস্রাব ও মাঝেমধ্যে কুদ্রা স্রাব নির্গত হয়, তাহলে বুঝে নিবেন, এবার আপনার হায়েয দশদিন হয়েছে।তবে যদি দশদিনকে অতিক্রম করে যায়, তাহলে সাতদিন হায়েয ধরে অবশিষ্ট দিনকে ইস্তেহাযা ধরে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...