বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(وَإِنَّمَا يَصِحُّ بِلَفْظِ تَزْوِيجٍ وَنِكَاحٍ) لِأَنَّهُمَا صَرِيحٌ (وَمَا) عَدَاهُمَا كِنَايَةٌ هُوَ كُلُّ لَفْظٍ (وُضِعَ لِتَمْلِيكِ عَيْنٍ) كَامِلَةٍ فَلَا يَصِحُّ بِالشَّرِكَةِ (وَفِي الْحَالِ) خَرَجَ الْوَصِيَّةُ غَيْرُ الْمُقَيَّدَةِ بِالْحَالِ
(كَهِبَةٍ وَتَمْلِيكٍ وَصَدَقَةٍ وَعَطِيَّةٍ وَقَرْضٍ وَسَلَمٍ وَاسْتِئْجَارٍ)
وَصُلْحٍ وَصَرْفٍ وَكُلٍّ مَا تُمْلَكُ بِهِ الرِّقَابُ بِشَرْطِ نِيَّةٍ أَوْ قَرِينَةٍ وَفَهْمِ الشُّهُودِ الْمَقْصُودَ
তাজওয়ীয এবং নিকাহ শব্দাদ্বয় দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে।কেননা এ দু'টি শব্দ বিবাহের জন্য সরীহ। এছাড়া বাদবাকী শব্দাবলী বিবাহের জন্য কেনায়া। বিবাহের জন্য কেনায়া হল, সেই সব শব্দাবলী, যেগুলো দ্বারা পরিপূর্ণভাবে মূল জিনিষের বর্তমানে মালিকানা বুঝায়। সুতরাং পরিপূর্ণ মালিকানা না বুঝালে সেগুলো দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না। যেমন ওসিয়তের এমন শব্দ যেগুলো দ্বারা বর্তমানে মালিকানা বুঝায় না, সেগুলো দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায় যে, হেবাহ,তামলীক,সাদাকাহ,আতিয়্যাহ,এগুলো দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না।এবং প্রত্যেক ঐ শব্দ, যা দ্বারা মালিকানা বুঝায়, সে শব্দ দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে, যদি নিয়ত থাকে, বা প্রমাণাদি থাকে, এবং সাক্ষীগণও এই শব্দ দ্বারা বিয়ে বুঝে নিতে সক্ষম হয়।
(আদ্দুরুল মুখতার-৩/১৬-শামেলা)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কবুল শব্দ উচ্ছারণের সময় যদি উচ্ছারণে এমন কোনো সমস্যা না হয়, যেগুলো দ্বারা অর্থের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসে, যেমন, নিকটবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণ, তাহলে এমন শব্দ দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হয়ে যাবে। কেননা এক্ষেত্রে তাজবীদ সহকারে উচ্ছারণ হয়নি, আর তাজবীদ সহকারে উচ্ছারণ করা মুস্তাহাব।তবে বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া বিয়ের দিকে কেনায় শব্দ দ্বারাও বিয়ে সংগঠিত হয়, অর্থাৎ এমন শব্দ যা বিয়ের নিয়তে উল্লেখ করা হয়, এবং সাক্ষীদয় বিবাহকে বুঝে নিতে সক্ষম হয়। সুতরাং বলা যায় যে, কবুল শব্দের উচ্ছারণে বেশকম হলেও বিয়ে সংগঠিত হয়ে যাবে।