জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা'আলার ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা(সুন্দর সিফাতি নাম সমূহ) যা আল্লাহ তা'আলার সত্বাগত(জাতি)নাম সমূহের মধ্য থেকে একটি।
অথবা যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
যেমনঃ
اللّٰه ،الرحمن ،القدوس ،الجبار،المتكبر،الخالق،البارئ،
المصور،الرزاق ،الغفار،القهار ،التواب،الوهاب،الخلاق،
الفتاح،القيوم ،الرب،المحيط ،المليك،الغفور، الأحد ،الصمد،الحق،القادر،المحي،
উচ্ছারণঃ আল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক, গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক,গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।
আরো জানুন
আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। এর যে কোনো একটির শুরুতে ‘আব্দ’ শব্দটি যোগ করে নাম রাখা যেতে পারে।
হাদীস শরীফে আছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رِوَايَةً، قَالَ: لِلهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ اسْمًا، مِائَةٌ إِلَّا وَاحِدًا، لاَ يَحْفَظُهَا أَحَدٌ إِلَّا دَخَلَ الجَنَّةَ، وَهُوَ وتْرٌ يُحِبُّ الوتْرَ
হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। এক কম একশ। যে ব্যক্তি তা মুখস্থ করবে সে জান্নাতে যাবে। আল্লাহ তাআলা একক-অদ্বিতীয় (বেজোড়), তাঁর কোনো শরীক (জোড়) নেই। তিনি বেজোড় ভালোবাসেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪১০
পবিত্র কুরআনে সংখ্যা উল্লেখ করা ছাড়াই আসমায়ে হুসনার আলোচনা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-
وَ لِلهِ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰی فَادْعُوْهُ بِهَا وَ ذَرُوا الَّذِیْنَ یُلْحِدُوْنَ فِیْۤ اَسْمَآىِٕهٖ سَیُجْزَوْنَ مَا كَانُوْا یَعْمَلُوْن.
আল্লাহর রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। তোমরা এগুলোর মাধ্যমে তাঁকে ডাক এবং যারা তাঁর নামের মাঝে বক্রতা সৃষ্টি করে তাদেরকে পরিত্যাগ কর। তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের প্রতিদান দেয়া হবে। -সূরা আ‘রাফ (৭) : ১৮০
সেই হিসেবে নুরুল ইসলাম, নুরুল হক,আব্দুল মুকিত বলে নাম রাখা যাবে।
تواب এর অর্থ তওবা কবুল কারীও আসে,তওবা কারী অনুতপ্ত বান্দাও আসে। তাই এ নাম রাখতে কোনো সমস্যা নেই।
.
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে যদি তাদের কথা শুধু মনে মনে ঠিক বলে মেনে নেয়,কথা বা কাজে সেটা প্রকাশ না করে, আর পরক্ষনেই অন্তরে পুরোপুরি ঈমান রাখে,ঐ কথাকে মনে মনে খুব ঘৃণাও করে , তাহলে তাকে কাফের বলা ঠিক হবেনা।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضی الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اﷲِ صلی الله عليه وآله وسلم : إِنَّ اﷲَ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي عَمَّا وَسْوَسَتْ أَوْ حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ بِهِ أَوْ تَکَلَّمْ.
بخاري، الصحيح، 6: 2454، رقم: 6287
مسلم، الصحيح، 1: 116، رقم: 127
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ বলেছেন যে মনের ভিতর কোনো কথা (কুফরী মূলক) কথা আসলেই তার দ্বারা কেউ কাফের হয়ে যায়না,যতক্ষন পর্যন্ত কথা বা কাজের দ্বারা সেটা প্রকাশ না করে।
,
সে যদি মৌখিক ভাবে ভিন্ন ধর্মের সত্যতা স্বীকার করে, ,তাহলে মুরতাদ হয়ে যাবে।পরবর্তীতে সে যদি ইসলামের দিকে ফিরে আসে,তাহলে নতুন করে কালেমায়ে শাহাদত পড়ে,তওবা করে মুসলমান হতে হবে।
قال اللہ تعالی: إلامن أکرہ وقلبہ مطمئن بالإیمان (پارہ ۱۴ رکوع ۲۰)
যার সারমর্ম হলো যদি কুফরী কালাম না বললে হত্যার সম্মুখীন হত্র হয়,এবং অন্তরে যদি পুরোপুরি ঈমান থাকে, তাহলে জবানে কুফরী শব্দ বলা যাবে
ومن تکلم بہامخطئاً او مکرہا لا یکفر عند الکل
(الدرالمختار علی ہامش رد المحتار باب نکاح الکافر ج ۲ ص ۵۳۹۔ط۔س۔ج۳ص۱۹۳ ‘ ظفیر)
ভুলক্রমে,বা কাহারো জবরদস্তিতে কেহ যদি কুফরী কথা বলে ফেলে,তাহলে সকলের ঐক্যমত্র তাকে কাফের বলা হবেনা।
لمافی الھندیۃ (۲۸۳/۲): رجل کفر بلسانہ طائعا وقلبہ مطمئن بالایمان یکون کافرا ولایکون عنداﷲ مؤمنا کذافی فتاوی قاضیخان۔
কেহ যদি মুখ দ্বারা সন্তুষ্টি চিত্তেই কুফরী কথা বলে,কলবে ঈমান ঠিকই রাখে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।