আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (81 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।এই বিষয়টা মানে ঈলা নিয়ে লাস্ট প্রশ্ন।দয়া করে কিছু মনে করবেন না।মেয়েটা খুবই টেনশনে  এই বিষয়টা নিয়ে আর খুব ভেন্গে পড়েছে মানসিক ভাবে তাই লাস্ট প্রশ্ন। এমনকি সে ভয়ে কারো সাথে  মন খুলে কথা বলতে পারতেছে না।হয়ত আপনার একটা ফতোয়ায় ওদের সংংসারটা বেচে যাবে।

আগের প্রশ্নঃ

ifatwa.info/47513/  এই প্রশ্নটা আরেকটু দেখবেন আর কমেন্ট  টা দেখে একটু বলবেন। কারন তারা ঈলা নিয়ে জানত না।আর স্বামী অনেক চেয়েছিল আসতে কিন্তুু পারে নি।কারন স্ত্রীকে এখনেো নামিয়ে নিয়ে যায় নি কারন মেয়ের বাবা মা মানে নি তাই।আর লকডাউনের কারনে সব স্কুলে কলেজ আর সব কিছু বন্ধ ছিল তাই দেখা করতে পারে নি।স্বামী বার বার চাইত আসতে।স্ত্রী বলত আগে সব কিছু খোলক।তাই ৭-৮ মাস পরে দেখা করেছিল।শপথ করলেও করেছিল যে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে।স্বামী দূরে থাকে তহ স্ত্রীর কাছে আসার কথা বললে স্ত্রী বলত বার বার কথা এইগুলো কেন বল,তখন হয়ত স্বামী শপথ করত।তালাক দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে তহ আসতে চাইত না।আর ঈলা নিয়ে কোনদিন শুনেও নি।আর ওরা এই বিষয়ে কোনদিন শুনেও নি।আর এই সহীহ হাদিস ২ টা মানলে হয়ত ওদের সংংসার বেচে যাবে।দয়া করে একটু বলবেন মানা যাবে কিনা? মানলে কি গুণাহ হবে কিনা?কোন কি উপায় নাই যারা জানে না তাদের জন্য? স্ত্রীটা খুব চিন্তায় আছে,খুব ভেন্গে পরেছে মানসিক ভাবে।কারন স্বামীকে এই বিষয়ে কিছু বলতেও পারতেছে না।বাড়িতেও বলতে পারতেছে না।

এর উত্তরে আপনি বলেছেনঃ

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামীর ইচ্ছা সত্ত্বেও, বারবার চাওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের কারনে যেহেতু সে চার মাসের মধ্যে স্ত্রীর নিকট গমন করতে পারেনি,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই চার মাসের মধ্যে স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে স্বামী সূলভ মৌখিক আচরণ করে থাকে,যেটি সেই স্ত্রীকে তালাক দিবেনা,বরং তাকে আগের সেই শপথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে এমন বুঝায় বা তার কাছে গমন করবে এমন ইচ্ছা বুঝায়,তাহলে স্বামীর জন্য স্ত্রীর নিকট গমনের প্রবল ইচ্ছা থাকায় লকডাউনের ফলে যেতে না পারায় প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
,

তবে সতর্কতামূলক নির্জনে কোথাও হলেও যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক  দুইজন পুরুষ সাক্ষীর সামনে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নেয়ার পরামর্শ থাকবে।
(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

১।এই বিষয়ে লাস্ট কিছু প্রশ্ন জানার ছিল।মেয়েটার বিয়ে হয়েছিল জানুয়ারীর ২৩ তারিখ ২০২১ সালে।ফেব্রুয়ারিতে আর মার্চে ২ বার দেখা করে বিয়ের পর। সহবাস ও হয়।মার্চের পর থেকে আর হয় না কারন লকডাউন আর স্কুল কলেজ সব বন্ধ। যেহেতু মেয়েটার পরিবার মেনে নেই নি আর বিয়ের কথাও জানত না তাই মেয়েটা বাসা থেকে বের হতে পারত না দেখা করার জন্য।এরপর এক্কেবারে দেখা করে ডিসেম্বরে।তখন ও মেয়েটা বাসায় মিথ্যা বলে দেখা করেছিল।কিন্তু কখন মানে কোন মাসে ঈলা করেছিল আর এর চার মাসের ভেতর আসতে চেয়েছিল কিনা কিছু সিওর ভাবে মনে নেই মেয়েটার।এই ৭-৮ মাসের মধ্যে কোন মাসে করেছে ইলা তা জানে না।আর এত সময়ের মধ্যে অনেকবার বলেছিল স্বামী দেখা করার জন্য।স্বামীর বাড়ী অনেক দূরে।৭-৮.ঘন্টা সময় লাগে আাসা যাওয়ায়।তবু স্বামী বলত" ১ ঘন্টার জন্য হলেও কোন রেস্টুরেন্টে বসে  দেখা করবে।স্বামী বলত সবাই দেখা করতে পারে শুধু তুমি পার না। আরো বলত বিয়ে করছি যে বলে একফোঁটা দেখা করতে পারি না,বউয়ের কাছে যাইতে পারি না।সবাই মিথ্যা বলে বের হতে পারে শুধু তুমি পার না যে।আবার মাঝে মাঝে বলত আমার সাথে অবশ্যই দেখা করবে।"আবার মাঝে মাঝে রাগ করে বলত আর দেখা করবে না।কিন্তুু দেখা করবে না এটা এমনিতে বলত।স্বামী বেশি চাইত দেখা করার জন্য।এমনকি ঝগড়া সহ করত দেখা করার জন্য কিন্তুু স্ত্রী বলত বিয়ে তহ হয়েছে আমি কোথাও যাচ্ছি না দেখা করব তহ,এখন করলে বিপদে পরব।পরে দেখা করব।কারন সব স্কুল কলেজ বন্ধ তাই বাসায় বলেও বের হতে পারবে না স্ত্রী তাই,তাই স্ত্রী বলত পরে দেখা করবে।তখন তারা ঈলার বিষয়ে কিছু জানত না তারা।কোনদিন শুনেও নি।নতুন বিবাহিত ওরা।এর মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া হলে স্ত্রী তালাক চাইলে  বা মুক্তি দাও বললে   স্বামী বলত তুমি দিও,/বা দিব /বা তুমার ভাল না লাগলে বা তুমার ইচ্ছা হলে চলে যাও আটকাব না/ বা এই বিষয়ে কথা বলবে না  এরকম কিছু  বলত।কিন্তুু স্বামী তালাক দিত না।আর এসব কথা বা ঝগড়া ঈলা করা নিয়ে বলত না,কারন ওরা ঈলা কি জিনিস সেটাই জানত না। স্বামি কোনদিন চাইত না স্ত্রীকে তালাক দিতে,সে স্ত্রীকে ।এমনকি যেমন ঝগড়া হবে হোক ১ দিন ও কথা না বলে থাকত না স্বামী।যদি স্ত্রী রাগ করে ফোন অফ করে দিত বা ব্লক করে দিত তখন পাগলের মত হয়ে যাইত, মেসেজ কল দিতে থাকত।আবার মাঝে মাঝে নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বলত।তালাক চাওয়ার পর পর নই।মানে মনে নেই তালাক চাওয়ার পর পর বলত কিনা।কারন তখন তারা কেনায়া তালাক কি সেটাও জান না, আর মেসেজে বা ফোনে কথা হত।পরে জানার পর স্বামীকে জিগ্যেস করেছিল অনেক বার তালাকের নিয়তে কোনদিন কিছু বলেছিল কিনা? স্বামী বলে না না। ঈলা করলেও কোন মাসে করেছে,আর এরপর আবার ঈলা করেছিল কিনা এসব স্ত্রীর মনে নেই।উপরে যা বলেছি কথা সব ৭-৮ মাসের কথা,।মানে মার্চে লাস্ট দেখা হয়।এরপর কোন মাসে ঈলা করেছে আর এরপর আবার ঈলা করেছিল কিনা কিছু মনে নেই সিওরলি,করতেও পারে।মার্চের পর ডিসেম্বরে দেখা করে। যা হওয়ার এই সময়ের মধ্যে হয়েছিল।উপরের সব কথা এই সময়ের মধ্যে।আর কথাগুলো ধরেন ঈলা করার পর বলেছিল।মানে ওপরের সব কিছু।হয়ত ঈলা করার চার মাসের মধ্যেও বলতে পারে বা আরো পরে কারন স্ত্রীর মনে নেই সিওর ভাবে।চার মাসের মধ্যে বলেছিল হয়ত কারন কিছুদিন পর পর বলত স্বামী আমি কখন আসব বা আমার সাথে দেখা কর।আর উপরের অন্য কথা গুলোও ও।আর এসব কোন কথা ঈলার জন্য বলত না।এতে কি কোন সমস্যা হবে? স্বামী চাইত বেশি আসার জন্য পারে নি।উপরের কথা গুলো বললেও স্বামী চাইত স্ত্রীর কাছে আসার জন্য দেখা করার জন্য।স্ত্রী বলত পরে আসিও,এখন আসলে বিপদে পরব।পরে আসতে বলত কারন তারা ঈলা নিয়ে জানত না।দয়া করে একটু বলবেন কোন সমস্যা হবে কিনা? ওরা চাই একটু ভালবাবে থাকতে। হয়ত আপনার একটা ফতোয়ায় ওদের সংংসারটা বেচে যাবে।

২।এই প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য করেছি।কারন এটা নিয়ে সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা  আছে বেশি স্ত্রীর তাই।ধরেন উপরের স্বামী যদি ঈলা করার পর চার মাস পর বা চার মাসের মধ্যে আবার ঈলা করে  না বুঝে,কিন্তুু আসতে চাই এতে কি সমস্যা হবে?মানে ঈলা কি জানে না।এমনিতে শপথ করেছ।কিন্তুু আসতে পারে নি।মানে ধরেন এবার শপথের পর ও ১নং পয়েন্টার মত সব হত।মানে ১ নং পয়েন্টে যা যা বলেছি সব হত। একটু পর সব ভাল হয়ে যেত,স্বামী স্ত্রী সলূভ আচরন করে,আসতেও চাইত।কিন্তুু পরে ধরেন আবার করেছে শপথ।তখন ও একটু পর ভাল হয়ে যেত।কিন্তুু আসতে পারত না সমস্যা থাকাই।তখন  ও স্বামী স্ত্রী সলূভ আচরন করত।সব ঠিক ঠাক।শুধু সব কিছু বন্ধ থাকায় আসতে পারত না।আর শপথ সে তালাক বা স্ত্রীকে কস্ট দেওয়ার জন্য করত না।এই বিষয়টা এমনিতে জানার জন্য করেছি কারন এটা নিয়েও সন্দেহ আছে স্ত্রীর ।কারন এটা নিয়ে জানত না তহ হয়ত স্বামী শপথ করতেও পারে।না জেনে না বুঝে কিন্তু এটা সিওর তালাক দেওয়ার জন্য এসব বলত না বা তালাকের নিয়তে বলত না।অভিমান বা রাগ করে বলত।কারন এর পর ও ঠিকি আসতে চাইত,স্ত্রীর সাথে ঝগড়াও করত আসার জন্য মানে পুরো ১ নং পয়েন্টার মত সব হত।এসব ঘটনা ৭-৮ মাসের ভেতরের কথা।একটু জানাবেন দয়া করে।

৩।আবার বিয়েটা যদি না করে বা ২-৩ বছর পর করে তাহলে কি কোন সমস্যা হবে? মানে স্ত্রী এখনো বাবার বাসায় তহ,যখন নামিয়ে নিয়ে যাবে তখন করলে কোন সমস্যা হবে?আর তখনও স্ত্রী বলার পরও স্বামী আবার বিয়ে না পরালে কি গুণাহ হবে?

৪।আপনি যেহেতু তালাক হবে না বলছেন।তবু সতর্কতা মূলক বিয়ে করার পর স্বামী কি ৩ তালাকের মালিক থাকবে?

৫।ওরা স্বামী স্ত্রীর মত থাকতে তহ কোন অসুবিধা নেই তাই না?সতর্কতার জন্য বিয়ে পরে করবে মানে যখন নামিয়ে নিয়ে যাবে।

৬।ধরেন উপরের সব প্রশ্ন মানে ঈলা সংক্রান্ত সব প্রশ্ন সন্দেহ নিয়ে করেছে।স্বামী সহবাস করবে না বললেও স্ত্রীর শপথ করছিল কিনা মনে নেই সিওর ভাবে।স্বামীর ও মনে নেই।সে সন্দেহ নিয়ে এসব প্রশ্ন করলে বা বললে কি কোন সমস্যা হবে?

৭। আর আমি একজন মহিলা।আমাকে স্বামী তালাকের পাওয়ার দিয়েছে।২ নং পয়েন্টে "আর শপথ সে তালাক বা স্ত্রীকে কস্ট দেওয়ার জন্য করত না" এই কথাটা লিখায় কি কোন সমস্যা হবে আমার বৈববাহিক সম্পর্কে?আমি নিজের দিকে ইন্গিত করি নি,স্বামী মানে উপরে যে স্বামীটার কথা বলা হয়েছে ওর কথাটা বলেছি।

দুঃখিত শায়খ প্রশ্নটা অনেক বড় হয়েছ কিন্তুু জানার ছিল এই বিষয়ে।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আপনার আগের প্রশ্নের আগের জবাবে বলা হয়েছিলো যে,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

وَ اِنۡ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَاِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۲۷﴾

আর যদি তারা তালাক দেয়ার সংকল্প করে তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারা ২২৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামীর ইচ্ছা সত্ত্বেও, বারবার চাওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের কারনে যেহেতু সে চার মাসের মধ্যে স্ত্রীর নিকট গমন করতে পারেনি,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই চার মাসের মধ্যে স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে স্বামী সূলভ মৌখিক আচরণ করে থাকে,যেটি সেই স্ত্রীকে তালাক দিবেনা,বরং তাকে আগের সেই শপথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে এমন বুঝায় বা তার কাছে গমন করবে এমন ইচ্ছা বুঝায়,তাহলে স্বামীর জন্য স্ত্রীর নিকট গমনের প্রবল ইচ্ছা থাকায় লকডাউনের ফলে যেতে না পারায় প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 
,
শরহে বিকায়াহ গ্রন্থে আছেঃ-

ولو عجز عن الفئي بالوطي لمرض باحدهما أو صغرها أو رتقها أو لمسيرة  أربعة أشهر بينهما ففئيوه قوله فئت إليها فلا تطلق بعده لو مضت مدته وهو عاجز فإن صح قبل مدته ففئيوه بوطيه.

সারমর্মঃ-
যদি সহবাসের দ্বারা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে অপারগ হয়,চাই এই অপারগতা স্বামী স্ত্রীর কাহারো অসুস্থতার কারনে হোক বা স্ত্রীর অল্প বয়স্কতার কারনে হোক বা যোনির মুখ বন্ধ হওয়ার কারনে হোক ,অথবা চার মাসের ভ্রমন পথে থাকার কারনে হোক,তাহলে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া উক্তি দ্বারা হবে।
অর্থাৎ সে স্ত্রীকে বলবে আমি তার দিতে প্রত্যাবর্তন করলাম।
স্বামী যদি সহবাসে অপারগ হওয়ার দরুন সহবাস করতে না পারে,আর এভাবেই যদি মুদ্দাত শেষ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
আর যদি মুদ্দাত তথা চার মাসের আগেই সুস্থ হয়ে যায়,তাহলে সে সহবাস করার মাধ্যমে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিবে।
(শরহে বিকায়াহ {মতন} ২/১০৬ মাকতাবাতুল ফাতাহ বাংলাদেশ)  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১-৫)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈলা করার নিশ্চিত ভাবে চার মাসের মধ্যেই যদি স্বামী স্ত্রীর সাথে সহবাস করার আগ্রহ প্রকাশ করে তাকে ফোনে বলে,আর লকডাউনের কারনে তার সাথে দেখা না হওয়ায় এই সহবাস সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

★এর দরুন পরবর্তীতে স্বামী তিন তালাকেরই মালিক থাকবে। 

,
★তবে স্বামী যদি ঈলা করার নিশ্চিত ভাবে চার মাসের মধ্যেই যদি স্বামী স্ত্রীর সাথে সহবাস করার আগ্রহ প্রকাশ না করে তাকে ফোনে এসব কিছু না বলে,ফিরিয়ে নেয়ার কথা না বলে,তাহলে এক তালাক হবে।

পরবর্তীতে আবারো তাকেই বিবাহ করলে স্বামী ২ তালাকের মালিক থাকবে।

৬ নং ছুরতে কোনো সমস্যা হবেনা।

৭ নং ছুরতে এমন কথা বলায় কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...