উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
ইবাদত বন্দেগির মত মুআমেলা ও মুআশারার ক্ষেত্রেও ইসলাম ধর্মের রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র। বিধর্মীদের সাথে উঠা বসা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ইসলামের সুুনির্দিষ্ট নীতিমালা।
,
সালাম ইসলামের সৌন্দর্য, একজন মুসলিম ভাইয়ের উপর অপর মুসলিম ভাইয়ের হক ও অধিকার। সুতরাং সালাম শুধু এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকেই দিতে পারবে। কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না।
এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে
أخرج مسلم برقم 13 – ( 2167 ) عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال لا تبدؤوا اليهود ولا النصارى بالسلام …
‘তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’ (মুসলিম ২১৬৭)
তাদের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শন স্বরূপ তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কোনভাবে যেমন হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশলবিনিময় করার অবকাশ রয়েছে। তাকে দাদা আদাবও বলা যেতে পরে। তবে কোন ভাবেই তাকে নমস্কার বা নমস্তে বলা যাবে না। (রহীমীয়া, ৬/১২৬ কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬)
কেননা, নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ শব্দটি হিন্দুদের বিশেষ সম্ভাষণবাচক শব্দ। সুতরাং এ শব্দ বলে কোনো হিন্দুকে সম্ভাষণ করা যাবে না। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/৫৪
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সাধারন অবস্থায় অমুসলিমদেরকে নিজের থেকে সালাম দেওয়া জয়েয নয়। কিন্তু যদি এমন কোন বিশেষ পরিস্থিতি দেখা দেয়, যখন সালাম দেওয়ার ভেতর দ্বীনী স্বার্থ হাসিলের আশা থাকে। তবে ‘আল্লাহ’ তাকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দিয়ে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে রাখুন’- এই নিয়তে কাফেরকে সালাম দেওয়ার অবকাশ আছে।
তখন যথাসম্ভব আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা বলবে।
প্রয়োজনবশত আসসালামু আলাইকুম বলাও জায়েজ আছে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
وفى رد المحتار ( ويسلم) المسلم ( على أهل الذمة ) لو له حاجة إليه وإلا كره هو الصحيح –فصل فى البيع.
যদি কোনো প্রয়োজন বশত হয়,তাহলে কাফেরকে সালাম দেওয়া যাবে।
অন্যথায় তাদেরকে সালাম জানানো মাকরুহ।