আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,
১/গুরাবা এর এরাবিক কি হবে? কোনো বোন যদি গুরাবা হিশেবে নিজেকে পরিচয় করতে চায়, নিজেকে সে কি গুরাবাতু লিখবে নাকি আল গুরাবা' লিখবে।
২/ কোনো বোন যদি জীন, জাদুর রোগী হয়... তার ক্ষেত্রে সালাতে কিছু সমস্যা উল্লেখ করছি,
- সালাতে তার জীন প্রতিবারই হাজির হয়ে যায়, ফরজ, নফল সব সালাতেই এতে তার নানা সিম্পটম দেখা যায়,রুকইয়াহ করলে যেমন হয় সেরকম।
- হাত বুকে বাধতে পারেনা ছেড়ে দেয়,শরীর বেকে আসে,তিলাওয়াত অনেক সময় বের হয়না,ঠোট নড়ে শুধু,হঠাৎ সেজদায় চলে যায়,হঠাৎ বসে পড়ে,সেজদাহের জায়গার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেনা, দৃষ্টি সামনের দেয়ালে বা উপরে কিংবা ডান বাম পাশে ঘুরতে থাকে, কেবলার দিক থেকে উলটা দিকে ঘুরে যায়,আশেপাশে কিছু থাকলে তা হাত দিয়ে চেপে ধরে, সেজদাহে তাসবীহ পড়তে পড়তে মাথা তুলে ফেলে, নামাতে পারেনা, ওইভাবেই দুয়া পড়ে, জামাকাপড় উপরে উঠে যায়,অনেকসময় হাত বেড়িয়ে যায়, পায়ের টাকনুর ওপর কাপড় উঠে যায়,ধস্তাধস্তিতে চুল বেড়িয়ে যায়,নাক দিয়ে শব্দ করে ফেলে, কেদে ফেলে,রাকাত ও সমস্ত নিয়ম নিয়ে ওয়াসওয়াসায় ভুগে ইত্যাদি।
উচ্চস্বরে কেরাত পড়ে ফেলে,গোংগায়, অটোমেটিক ব্যথা পাওয়া টাইপ শব্দ করে ফেলে,ঘুমে পড়ে যায় এরকম হয়,সেজদাহ দিতে চাইছে কিন্তু পারছেনা, আটকে গেছে যেনো ইত্যাদি।
কোনোটাই ইচ্ছাকৃত নয়। যতই নিয়ত করুক সালাতে এরকম হয়ই৷
এক্ষেত্রে আমলে কাসীর হয়ে সালাত ভেংগে যাচ্ছে কি? সে কি ইশারায় সালাত পড়বে নাকি এভাবেই সালাত পড়ে যাবে? মুলত তার ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাহ,মুস্তাহাব সবকিছু নিয়েই এরকম হয়। প্রতি ওয়াক্তেই হয়৷
ফিকহের দারসে এগুলা জেনেও এভাবেই নামাজ পড়ে সে।যতই উদ্যম নিয়ে দাড়াক, সালাত এরকমই হয়।
সে সন্দিহান সালাত হচ্ছে কিনা, কিংবা মাকরুহ হচ্ছে কিনা। অথবা ভেংগেই যাচ্ছে কিনা কাপড় সরে গিয়ে।
সে রুকইয়া করছে। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান ।