আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,
১/গুরাবা এর এরাবিক কি হবে? কোনো বোন যদি গুরাবা হিশেবে নিজেকে পরিচয় করতে চায়, নিজেকে সে কি গুরাবাতু লিখবে নাকি আল গুরাবা' লিখবে।

২/ কোনো বোন যদি জীন, জাদুর রোগী হয়... তার ক্ষেত্রে সালাতে কিছু সমস্যা উল্লেখ করছি,
- সালাতে তার জীন প্রতিবারই হাজির হয়ে যায়, ফরজ, নফল সব সালাতেই এতে তার নানা সিম্পটম দেখা যায়,রুকইয়াহ করলে যেমন হয় সেরকম।
- হাত বুকে বাধতে পারেনা ছেড়ে দেয়,শরীর বেকে আসে,তিলাওয়াত অনেক সময় বের হয়না,ঠোট নড়ে শুধু,হঠাৎ সেজদায় চলে যায়,হঠাৎ বসে পড়ে,সেজদাহের জায়গার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেনা, দৃষ্টি সামনের দেয়ালে বা উপরে কিংবা ডান বাম পাশে ঘুরতে থাকে, কেবলার দিক থেকে উলটা দিকে ঘুরে যায়,আশেপাশে কিছু থাকলে তা হাত দিয়ে চেপে ধরে, সেজদাহে তাসবীহ পড়তে পড়তে মাথা তুলে ফেলে, নামাতে পারেনা, ওইভাবেই দুয়া পড়ে, জামাকাপড় উপরে উঠে যায়,অনেকসময় হাত বেড়িয়ে যায়, পায়ের টাকনুর ওপর কাপড় উঠে যায়,ধস্তাধস্তিতে চুল বেড়িয়ে যায়,নাক দিয়ে শব্দ করে ফেলে, কেদে ফেলে,রাকাত ও সমস্ত নিয়ম নিয়ে ওয়াসওয়াসায় ভুগে ইত্যাদি।
উচ্চস্বরে কেরাত পড়ে ফেলে,গোংগায়, অটোমেটিক ব্যথা পাওয়া টাইপ শব্দ করে ফেলে,ঘুমে পড়ে যায় এরকম হয়,সেজদাহ দিতে চাইছে কিন্তু পারছেনা, আটকে গেছে যেনো ইত্যাদি।
কোনোটাই ইচ্ছাকৃত নয়। যতই নিয়ত করুক সালাতে এরকম হয়ই৷
এক্ষেত্রে আমলে কাসীর হয়ে সালাত ভেংগে যাচ্ছে কি? সে কি ইশারায় সালাত পড়বে নাকি এভাবেই সালাত পড়ে যাবে?  মুলত তার ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাহ,মুস্তাহাব সবকিছু নিয়েই এরকম হয়। প্রতি ওয়াক্তেই হয়৷
ফিকহের দারসে এগুলা জেনেও এভাবেই নামাজ পড়ে সে।যতই উদ্যম নিয়ে দাড়াক, সালাত এরকমই হয়।
সে সন্দিহান সালাত হচ্ছে কিনা, কিংবা মাকরুহ হচ্ছে কিনা। অথবা ভেংগেই যাচ্ছে কিনা কাপড় সরে গিয়ে।
সে রুকইয়া করছে। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।

জাজাকাল্লাহ খাইরান ।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الإِسْلامَ بَدَا غَرِيبًا وَسَيَعُودُ غَرِيبًا كَمَا بَدَا فَطُوبَى لِلْغُرَبَاءِ قِيلَ : وَمَنِ الْغُرَبَاءُ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ قَالَ : الَّذِينَ يُصْلِحُونَ إِذَا فَسَدَ النَّاسُ 

সাহল বিন সা’দ সায়েদী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় ইসলাম (প্রবাসীর মত অসহায়) অল্পসংখ্যক মানুষ নিয়ে শুরুতে আগমন করেছে এবং অনুরূপ অল্প সংখ্যক মানুষ নিয়েই ভবিষ্যতে প্রত্যাগমন করবে, যেমন শুরুতে আগমন করেছিল। সুতরাং শুভ সংবাদ ঐ (প্রবাসীর মত অসহায়) গুরাবা (অল্প সংখ্যক লোক) দের জন্য।’’ জিজ্ঞাসা করা হল, ‘ গুরাবা (প্রবাসীর মত অসহায়) অল্প সংখ্যক লোক কারা? হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, যারা মানুষ অসৎ হয়ে গেলে তাদেরকে সংস্কার করে সঠিক পথে রাখতে সচেষ্ট হয়।

(আহমাদ ১৬৬৯০, ত্বাবারানীর কাবীর ৭৫৫৪, আওসাত্ব ৩০৫৬)

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ ذَاتَ يَوْمٍ وَنَحْنُ عِنْدَهُ طُوبَى لِلْغُرَبَاءِ فَقِيلَ مَنْ الْغُرَبَاءُ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ أُنَاسٌ صَالِحُونَ فِي أُنَاسِ سُوءٍ كَثِيرٍ مَنْ يَعْصِيهِمْ أَكْثَرُ مِمَّنْ يُطِيعُهُمْ 

আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) বলেন, একদা আমরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে ছিলাম, তিনি দু‘আ করে বললেন, কল্যাণ ঐ (প্রবাসীর মত অসহায়) গুরাবা (মুষ্টিমেয় লোক) দের জন্য।’’ জিজ্ঞাসা করা হল, ‘ গুরাবা (প্রবাসীর মত অসহায়) অল্প সংখ্যক লোক কারা? হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, ‘‘যারা বহু অসৎ লোকের মাঝে অল্পসংখ্যক সৎলোক। তাদের অনুগত লোকের চেয়ে অবাধ্য লোকের সংখ্যা অধিক।
(মুসনাদে আহমাদ ৬৫৫০)

কারা নিজেকে গুরাবা বলতে পারবে,এ সংক্রান্ত কি কি শর্ত পাওয়া যেতে হবে,সে সংক্রান্ত জানুনঃ   


★গুরাবা এর আরবী الْغُرَبَاءُ
গুরাবা লিখবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে সতর খুলে যাওয়া,নামাজে এই জাতীয় আওয়াজ করা,ইত্যাদি কারনে নামাজ হবেনা।
,
এক্ষেত্রে নামাজে যেনো সতর খুলে না যায়,সেই জন্য করনীয় যাহা, তাহা করতে হবে।
চিকিৎসা নিতে হবে।
,
প্রয়োজনে বসে নামাজ পড়লে এই সমস্যা না হলে আপাতত সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত বসে নামাজ পড়তে পারবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...