بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হায়েজ ও নেফাসের নির্ধারিত দিনগুলির
অতিরিক্ত দিন কোনো নারীর যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযা বলে। এ অবস্থায়
তাকে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ অজু করে পড়তে হবে এবং রোজার দিনে রোজা রাখতে হবে। হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
الْمُبَارَكِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ
اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ
يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ سَأَلَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم قَالَتْ إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ
" لاَ وَلَكِنْ دَعِي قَدْرَ تِلْكَ الأَيَّامِ وَاللَّيَالِي الَّتِي كُنْتِ
تَحِيضِينَ فِيهَا ثُمَّ اغْتَسِلِي وَاسْتَثْفِرِي وَصَلِّي " .
মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক
(রহঃ) ... উম্মে সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করলঃ আমার ইস্তিহাযা হয় আর আমি পাক হইনা। আমি কি সালাত
ছেড়ে দেব? তিনি বললেনঃ না বরং যে কয়টি দিবারাত্র তোমার হায়য থাকত, ততদিন তুমি সালাত ছাড়বে। তারপর তুমি গোসল করবে এবং পট্টি বাধবে, পরে সালাত আদায় করবে। (সহিহ,নাসায়ী ৩৫৪ ইবনু মাজাহ
হাঃ ৬২৩)
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ
الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ -
حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ،
عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ
سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ
الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي
الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে
উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ
দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস
এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’
لقولہ صلی اللہ علیہ وسلم: ”المستحاضة تتوضَّأ لوقت کل
صلاة․․․ ویصلون بہ أي بوضوئہم في الوقت ماشاوٴوا من الفرائض الخ (حاشیة الطحطاوی
علی المراقی: ۱۴۹،
باب الحیض، ط اشرفی)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,ইস্তেহাযা ওয়ালা মহিলা নামাজের প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য অযু করবে। আর ঐ অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা ফরজ, নফল নামাজ আদায় করতে পারবে।
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান
আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে,
ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক
এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো,
হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি
নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের
নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার
রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি,
হাদিস-১২৫]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
পূর্ব থেকে হায়েজের সময়সীমা নির্ধারিত
থাকে, তাহলে উক্ত সময়টা হায়েজ ধরা হবে। বাকি দিনগুলো ইস্তিহাজার হুকুমে হবে। আর যদি সময়
নির্দিষ্ট না থাকে, তাহলে দশদিন পর্যন্ত হায়েজ ধরা হবে। এর পর থেকে ইস্তিহাজার হুকুম হবে। হায়েজ অবস্থায়
নামায পড়া যায় না। রোযাও রাখা যাবে না। তবে পরবর্তীতে রোযার কাযা করতে হবে। কিন্তু
নামাযের কাযা করতে হবে না। আর ইস্তিহাজার সময়টিতে
নামায ও রোযা সবই করতে হবে। সুতরাং দশ দিন অতিক্রম করার পরের রোযা ও নামায বিশুদ্ধ হয়েছে। তবে যদি পূর্বের
কোন নামাজ কাপড়ে নাপাকি লেগে থাকা অবস্থায় আদায় করে থাকেন, তাহলে তা পুনরায় কাযা করতে
হবে।