بسم الله الرحمن الرحيم
জাবাব,
মিথ্যা কথা
বলা শরীয়ত অনুমোদিত নয়। নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলা হারাম। শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত
করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে। যদিও শরয়ী কিছু ওযরের কারনে বিশেষ শর্তসাপেক্ষে তা বৈধ। তবে যে কোনো পরিস্থিতিতে
সত্য বলাই শরিয়তের মৌল দর্শনের দাবি।
পবিত্র কুরআন
শরিফে এসেছে
لَّعْنَتَ
اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ [٣:٦١
তাদের প্রতি
আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}
হাদিস শরিফে
এসেছে,
সাফওয়ান ইবন সুলাইম বলেন,
قِيلَ
لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ : أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا ؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ،
فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ
لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا ؟ فَقَالَ: ( لَا )
রসুলুল্লাহ
ﷺ -কে জিজ্ঞেস করা
হয়েছে,
মুমিন কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা
হয়েছে,
মুমিন কি কৃপণ হতে পারে। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (মুয়াত্তা মালিক
২/৯৯০) অর্থাৎ মুমিনের বিভিন্ন চারিত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, তবু সে মিথ্যা বলতে পারে না।
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ
غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা
রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/4573/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!
উপরোক্ত আলোচনা-
হাদীসও উলামায়ে কেরামদের সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে আমরা নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত
হতে পারব। সত্য বলে নিজ মাকসাদকে অর্জন করা ও ক্ষতি থেকে বাচা যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব
হবে,
ততক্ষণ পর্যন্ত মিথ্যা
বলার কোনো অবকাশ শরীয়তে নেই বরং মিথ্যা বলা হারাম ও জগন্যতম গর্হিত কাজ। কিন্তু চুরান্ত
পর্যায়ের অপারগ হয়ে গেলে মিথ্যা বলা জায়েয। এমনকি সময়বেধে ওয়াজিবও হয়ে যায়।
তবে প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে আপনার জন্য যদিও উক্ত জব হালাল, কিন্তু মিথ্যা বলা আপনার জন্য জায়েয নেই এবং
ইহা একটি কবীরা গুনাহ। যেই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক। যদি আপনার
পক্ষে মিথ্যা পরিহার করা সম্ভব না হয় তাহলে আপনি ভিন্ন কোন হালাল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
করত: উক্ত চাকুরী ছেড়ে দিন। আল্লাহ তায়ালা আপনার রিজিকে বারাকাহ দান করুন।