ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5215 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক ইচ্ছাকৃত এক মুহূর্তের জন্য খুললেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে যায়, তাহলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এক-চতুর্থাংশের কম হলে চাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় নামাজ নষ্ট হবে না।যদি একাধিক জায়গায় সামান্য করে খোলা থাকে,
তাহলে এর সমষ্টি ছোট একটি অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ হলেও নামাজ হবে না- (রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৯,তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৯৭)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি খুলে যাওয়া অংশ এক চতুর্থাংশ পরিমাণ হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।যেহেতু উনি পেন্ট পড়ছেন,তাই এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতই মনে করা হবে।সুতরাং এক মুহুর্তের জন্যও খুলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত।এছাড়া অন্যান্য ফিকহের সিদ্ধান্ত হল,নামাযে ঢেকে রাখা ওয়াজিব, এমন অঙ্গের কমবেশ যাই হোক কেউ যদি ইচ্ছাকৃত খুলে দেয়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(২)
আপনার ওয়াসওয়াসা রোগ রয়েছে, তাই সবকিছুতেই আপনি মনে করেন যে, নাপাকি ছেয়ে গেল না কি?
প্রস্রাবের পর লিঙ্গ অন্ডকোষ ধৌত করেছেন।এরপর উরু ধুয়ে মুছে ফেলেছেন। লিঙ্গ ও অন্ডকোষ ভেজা থাকায় আপনার প্যান্টের উপরের অংশ ভেজা থাকে।সালাতের সময় যদি পা ঘেমে যায় তাহলে পুরো পায়ে প্রস্রাব ছড়িয়ে যাবে না। রুকু ও বসার সময় হাটু ধরলে হাতও নাপাক হবে না।