আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in সালাত(Prayer) by (81 points)
১)আমার প্যান্টে সতরের উপরে স্কেলের দাগে ০-২ সেন্টিমিটার ছিদ্র ছিল।আর তার একটু পাশে সেলাই ০-২ সেমি ছেড়া ছিল।পুরোপুরি ছেড়া না।সেলাই ঢিলা ছিল।অন্য ওয়েবসাইটের এক ফাতওয়ায় দেখেছিলাম সামান্য ছিদ্রে সালাতে সমস্যা হবেনা।তাই আমি সেই কাপড়ে সালাত পরি।

২)আমার সবসময় লিঙ্গে প্রস্রাব লেগে থেকে।তাই আমি প্রস্রাবের পর লিঙ্গ অন্ডকোষ ধুই।এরপর উরু ধুয়ে মুছে ফেলি।লিঙ্গ ও অন্ডকোষ ভেজা থাকায় আমার প্যান্টের উপরের অংশ ভেজা থাকে।সালাতের সময় যদি পা ঘেমে যায় তাহলে কি পুরো পায়ে প্রস্রাব ছড়িয়ে যাবে? রূকূ ও বসার স্ময় হাটু ধরলে কি হাত নাপাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (600,300 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5215 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক ইচ্ছাকৃত এক মুহূর্তের জন্য খুললেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে যায়, তাহলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এক-চতুর্থাংশের কম হলে চাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় নামাজ নষ্ট হবে না।যদি একাধিক জায়গায় সামান্য করে খোলা থাকে,
তাহলে এর সমষ্টি ছোট একটি অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ হলেও নামাজ হবে না- (রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৯,তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৯৭)।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি খুলে যাওয়া অংশ এক চতুর্থাংশ পরিমাণ হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।যেহেতু উনি পেন্ট পড়ছেন,তাই এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতই মনে করা হবে।সুতরাং এক মুহুর্তের জন্যও খুলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত।এছাড়া অন্যান্য ফিকহের সিদ্ধান্ত হল,নামাযে ঢেকে রাখা ওয়াজিব, এমন অঙ্গের কমবেশ যাই হোক কেউ যদি ইচ্ছাকৃত খুলে দেয়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

(২)
আপনার ওয়াসওয়াসা রোগ রয়েছে, তাই সবকিছুতেই আপনি মনে করেন যে, নাপাকি ছেয়ে গেল না কি?

প্রস্রাবের পর লিঙ্গ অন্ডকোষ ধৌত করেছেন।এরপর উরু ধুয়ে মুছে ফেলেছেন। লিঙ্গ ও অন্ডকোষ ভেজা থাকায় আপনার প্যান্টের উপরের অংশ ভেজা থাকে।সালাতের সময় যদি পা ঘেমে যায় তাহলে পুরো পায়ে প্রস্রাব ছড়িয়ে যাবে না। রুকু ও বসার সময় হাটু ধরলে হাতও নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (600,300 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 147 views
0 votes
1 answer 144 views
...