ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1234 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
مبحث فيما تثبت به حرمة المصاهرة
-المصاهرة: وصف شبيه بالقرابة، ويتحقق في أربع: إحداها زوجة الابن، وهي تشبه البنت. ثانيهما: بنت الزوجة، وهي تشبه البنت أيضا، ثالثها: زوجة الأب، وهي تشبه الأم، رابعها: أم الزوجة، وهي تشبه الأم أيضا.
হুরমতে মুসাহারাহ চারজন ব্যক্তির ব্যাপারে সাব্যস্ত হবে। (১) পুত্রবধু- যা মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (২) স্ত্রীর মেয়ে- ইহাও মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (৩) পিতার স্ত্রী যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (৪) স্ত্রীর মা- যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়। (আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ-৪/৬১)
দুই জন মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক পাওয়া যায় বা সমাজে চলমান রয়েছে,সেটা সাধারণত নসব তথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা রেযা'আত তথা দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে কিংবা মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত থাকে।
শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম ।
কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
যার সাথে বিয়ে হবে তাকে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে দেখামাত্র( হুরমত এর ভাবনার জন্য)তার লজ্জাস্থান ভেসে আসলে বা খারাপ চিন্তা অনিচ্ছাকৃত /ইচ্ছাকৃত ধরে নিলে ও তার সাথে বিবাহ হারাম হবে না।