ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/16063/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সেহরী খাওয়া
মুস্তাহাব।
ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
তবে সেহরী খাওয়ার দ্বারা রোযার
রাখতে শক্তি অর্জন হয়। তাই সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব।
সুতরাং সাহরী খাওয়া ছাড়াই কেহ রোযা
রাখলে রোযা আদায় হয়ে যাবে, পুরোপুরি ছওয়াবও পাবে। (নাজমুল
ফাতওয়া ৩/১৮৫)
এতে ছওয়াবের ভিতরে কোনো কমতি করা
হবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত এই
অবস্থাগুলোতে আপনি রোযা রেখে দিবেন।
অর্ধ দিনের আগেই আপনাকে মনে মনে
রোযার নিয়ত করতে হবে। নতুবা রোযা হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছে
لما فی المشکوۃ (صـ۱۸۱): عن عائشۃ رضی اللہ عنھا قالت دخل علی النبی ﷺ ذات یوم فقال ھل
عندکم شی فقلنا لا قال فانی اذا صائم ۔الخ
যার সারমর্ম হলো এক দিন রাসুল সাঃ সুবহে
সাদিক থেকে কিছুই খাননি,দিনের বেলা বাড়িতে এসে আয়েশা রাঃ জিজ্ঞাসা করলেন যে ঘরে কি
খাওয়ার মতো কোনো জিনিস আছে? তিনি জবাব দিলেন যে না। কিছুই নেই তখন তিনি রোযা রাখার
পুরোপুরি নিয়ত করে ফেললেন।
আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/22627/
সেহরি খাওয়া সুন্নত, এটি রোজার অংশ নয়। সেহরি না খেলেও রোজা হয়ে যায়। (মুসনাদে
আহমদ ২/৩৭৭; ইমদাদুল ফাত্তাহ ৬৯৭)
আর রমজান মাসে কোনো কারণে রাতে নিয়ত
করতে না পারলে এবং সুবহে সাদিকের পর থেকে রোজা ভঙ্গের কোনো কারণ পাওয়া না গেলে
দুপুরের আগ (অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের আগ) পর্যন্ত
নিয়ত করার সুযোগ থাকে। তবে রাতে নিয়ত করে নেওয়াই উত্তম। [শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৪০৪; কিতাবুল আছল ২/২২৬; ফতোয়ায়ে
হিন্দিয়া ১/১৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯]
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাহরী খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে
খাওয়া জরুরি নয়, এক ঢোক পানি পান করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হবে।
হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
تسحروا، فإن في السحور بركة.
‘তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে।’-সহীহ মুসলিম ১/৩৫০
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো
না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর
রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।’
(মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফে
ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ৯০১০; সহীহ
ইবনে হিববান, হাদীস ৩৪৭৬)
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/3346/