আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।
** সহীহ বুখারীর হাদিস নং ৫২৯০
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ فِي الإِيلاَءِ الَّذِي سَمّٰى اللهُ لاَ يَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدَ الأَجَلِ إِلاَّ أَنْ يُمْسِكَ بِالْمَعْرُوفِ أَوْ يَعْزِمَ بِالطَّلاَقِ كَمَا أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ.
নাফি' (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) যে ‘ঈলার কথা আল্লাহ উল্লেখ করেছেন সে সম্পর্কে বলতেন, সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে প্রত্যেকেরই উচিত হয় স্ত্রীকে সততার সাথে গ্রহণ করবে, না হয় ত্বলাক্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবে, যেমনভাবে আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
**সহীহ বুখারী হাদিস নং ৫২৯১
و قَالَ لِي إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ إِذَا مَضَتْ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ يُوقَفُ حَتّٰى يُطَلِّقَ وَلاَ يَقَعُ عَلَيْهِ الطَّلاَقُ حَتّٰى يُطَلِّقَ وَيُذْكَرُ ذ‘لِكَ عَنْ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَعَائِشَةَ وَاثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইসমাঈল আমাকে আরও বলেছেন, মালিক (রহঃ) নাফি' এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে ত্বলাক্ব দেয়া পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হবে। আর ত্বলাক্ব না দেয়া পর্যন্ত ত্বলাক্ব প্রযোজ্য হবেনা। উসমান, ‘আলী, আবুদ্‌ দারদা, 'আয়িশা (রাঃ) এবং আরও বারজন সহাবী থেকেও অনুরূপ উল্লেখ করা হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১।এই ২ টা হচ্ছে সহীহ বুৃখারীর হাদিস।একজন মুফতি সাহেব বলেছিলেন কোন সহীহ হাদিস যদি কোন মাজহাবের বিপরীত বা বিপক্ষেও যায় তবুও সেই সহীহ হাদিসটা নিশ্চিন্তে মানতে পারবে,কোন সমস্যা বা গুণাহ হবে না।তহ উপরের ২ টা সহীহ হাদিস মেনে কেউ চললে কি গুণাহ হবে তার? মানে হানাফী মাজহাবের মানুষ যদি উপরের ২ টা হাদীস মেনে আমল করে তাহলে কি গুণাহ হবে?কারন হানাফি হলেও মানুষটা আগে ঈলা সম্পর্কে জানত না।না জেনে না বুঝে শপথ করে ফেলেছিল।কিন্তুু বেচারা অনেক আসতে চাওয়ার পর ও আসতে পারে নি বউয়ের কাছে কারন সে দূরে থাকত আর লকডাউনের কারনে সব বন্ধ ছিল।শপথ করেছিল যে তখন তারা ঈলা সম্পর্কে কিছু জানত না। হাদিস ২ টা মানলে ওদের সংসারটা বেচে যাবে।আর একজন বড় মুফতি সাহেব ও বলেছে হাদিস যদি সহীহ হয় তাহলে নিশ্চিন্তে মানতে পারবে। এখন মানুষ ওটার প্রশ্ন হল এই ২টা হাদীস মানলে কি কোন গুণাহ হবে কিনা? নিচে মুফতি সাহেব ওনার কথা ওটার লিন্ক দিলাম
https://fb.watch/dO_EGyiL_d/
দয়া করে একটু বলবেন উপরের হাদিস ২টা মত মেনে চললে কি কোন গুণাহ হবে কিনা?মানে মুফতি সাহেব ওনার ফতোয়াটা গ্রহন করলে কি গুণাহ হবে? হাদিসটা মানলে হয়ত ওদের সংসারটা বেচে যাবে।কারন এই বিষয়ে ওদের কোন ধারনাই ছিল না।