আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (80 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

** সহীহ বুখারীর হাদিস নং ৫২৯০

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ فِي الإِيلاَءِ الَّذِي سَمّٰى اللهُ لاَ يَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدَ الأَجَلِ إِلاَّ أَنْ يُمْسِكَ بِالْمَعْرُوفِ أَوْ يَعْزِمَ بِالطَّلاَقِ كَمَا أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ.

নাফি' (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) যে ‘ঈলার কথা আল্লাহ উল্লেখ করেছেন সে সম্পর্কে বলতেন, সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে প্রত্যেকেরই উচিত হয় স্ত্রীকে সততার সাথে গ্রহণ করবে, না হয় ত্বলাক্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবে, যেমনভাবে আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

**সহীহ বুখারী হাদিস নং ৫২৯১

و قَالَ لِي إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ إِذَا مَضَتْ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ يُوقَفُ حَتّٰى يُطَلِّقَ وَلاَ يَقَعُ عَلَيْهِ الطَّلاَقُ حَتّٰى يُطَلِّقَ وَيُذْكَرُ ذ‘لِكَ عَنْ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَعَائِشَةَ وَاثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসমাঈল আমাকে আরও বলেছেন, মালিক (রহঃ) নাফি' এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে ত্বলাক্ব দেয়া পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হবে। আর ত্বলাক্ব না দেয়া পর্যন্ত ত্বলাক্ব প্রযোজ্য হবেনা। উসমান, ‘আলী, আবুদ্‌ দারদা, 'আয়িশা (রাঃ) এবং আরও বারজন সহাবী থেকেও অনুরূপ উল্লেখ করা হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১।এই ২ টা হচ্ছে সহীহ বুৃখারীর হাদিস।একজন মুফতি সাহেব বলেছিলেন কোন সহীহ হাদিস যদি কোন মাজহাবের বিপরীত বা বিপক্ষেও যায় তবুও সেই সহীহ হাদিসটা নিশ্চিন্তে মানতে পারবে,কোন সমস্যা বা গুণাহ হবে না।তহ উপরের ২ টা সহীহ হাদিস মেনে কেউ চললে কি গুণাহ হবে তার? মানে হানাফী মাজহাবের মানুষ যদি উপরের ২ টা হাদীস মেনে আমল করে তাহলে কি গুণাহ হবে?কারন হানাফি হলেও মানুষটা আগে ঈলা সম্পর্কে জানত না।না জেনে না বুঝে শপথ করে ফেলেছিল।কিন্তুু বেচারা অনেক আসতে চাওয়ার পর ও আসতে পারে নি বউয়ের কাছে কারন সে দূরে থাকত আর লকডাউনের কারনে সব বন্ধ ছিল।শপথ করেছিল যে তখন তারা ঈলা সম্পর্কে কিছু জানত না। হাদিস ২ টা মানলে ওদের সংসারটা বেচে যাবে।আর একজন বড় মুফতি সাহেব ও বলেছে হাদিস যদি সহীহ হয় তাহলে নিশ্চিন্তে মানতে পারবে। এখন মানুষ ওটার প্রশ্ন হল এই ২টা হাদীস মানলে কি কোন গুণাহ হবে কিনা? নিচে মুফতি সাহেব ওনার কথা ওটার লিন্ক দিলাম
https://fb.watch/dO_EGyiL_d/

দয়া করে একটু বলবেন উপরের হাদিস ২টা মত মেনে চললে কি কোন গুণাহ হবে কিনা?মানে মুফতি সাহেব ওনার ফতোয়াটা গ্রহন করলে কি গুণাহ হবে? হাদিসটা মানলে হয়ত ওদের সংসারটা বেচে যাবে।কারন এই বিষয়ে ওদের কোন ধারনাই ছিল না।

1 Answer

0 votes
by (584,040 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"
মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব। এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। সুতরাং এ দৃষ্টিকোনে নবীজী সাঃ কোনো মাযহাবের অনুসারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

হ্যা কুরআন হাদীসে মাযহাবের কথা রয়েছে।যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺭْﺳَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﺇِﻻَّ ﺭِﺟَﺎﻻً ﻧُّﻮﺣِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﺍْ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﻻَ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে। (সূরা নাহল-৪৩)
এই জিজ্ঞাসা এবং সে অনুযায়ী আ'মল করা এর নামই মাযহাব।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল, আপনার প্রশ্ন স্পষ্ট নয়।আপনি কি জানতে চাচ্ছেন, সেটা পরিস্কার নয়।
আমরা যা বুঝতে পেরেছি,সেই আলোকে বলছি,
ইলা সম্পর্কে আপনি যে হাদীস উল্লেখ করেছেন, এর বিপরীত অর্থবোধক হাদীসও রয়েছে। নিজের চয়েজমত, নিজের সুবিধামত হাদীসকে মানতে আপনি পারবেন না। কেননা এক্ষেত্রে প্রবৃত্তির অনুসরণ হয়ে যাবে। সুতরাং আপনি মাযহাবকে মানবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 244 views
...