আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
426 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (13 points)
edited by
হুজুর, প্রশ্নগুলোর উত্তর আলাদা আলাদা লিখলে খুবই ভাল হতো।

১. কেউ যদি বলে উমুক তারিখ পর্যন্ত যতবারই আমি সকাল এবংং রাত ব্যতিত কালিমা শাহাদাত পাঠ করবো ততবারই ওয়াদা ভেঙে ফেলার সামিল হবে। তাহলে কি যতবারই ঐ সময় ছাড়া পাঠ করা হবে ততবারই কি ওয়াদা ভেঙে যাবে? আমি আসলে ওয়াদা করেছিলাম, কোরবানির ঈদ পর্যন্ত আমি সকাল ও রাত ছাড়া কালিমা শাহাদাত পাঠ করবো না। (ওয়াদা করার সময় আরও কিছু ক্ষেত্র উল্লেখ করেছিলাম, যেমনঃ কোথাও লেখা দেখলে, ঈমান হারানোর স্পষ্ট কারণ পেলে, দোয়ায় আসলে, কিংবা কেউ আমাকে পাঠ করালে ইত্যাদি) অর্থাৎ সকাল ও রাত ব্যতিত ঈমান হারানোর ওয়াসওয়াসায় পাঠ করবো না। কিন্তু, আমি এই ওয়াদা রাখতে পারছিনা।
২. আমার মনের মধ্যে খারাপ চিন্তা চলে আসে ইসলাম সম্পর্কে । কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে আমি ইচ্ছা করেই কি এগুলো আনি কি না? আমি বুঝতেই পারি না এগুলো কি আমি আনি নাকি ওয়াসওয়াসা।
৩. আমি মাঝে মাঝে কালিমা পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে যায়। মাথা খারাপ লাগে। উচ্চারণ করার সময় উচ্চারণ ভুল হয়ে যায় মনে হয়। তাছাড়া খারাপ চিন্তা চলে আসে।
আমার কালিমা পাঠ দেখলে আপনারই হুজুর হয়তো কষ্ট হবে। কারণ, আমি পড়তেই থাকি জোরে জোরে। হয়তো একা ঘরে কিংবা বাজারের কোন নির্জন জায়গায় গিয়ে। কিংবা আড়ালে। প্রচুর মাথা খারাপ লাগে মাঝে মাঝে।

৪. আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তারপর আমি ধরেই নেই যে আমার ঈমান নেই। এ অবস্থায় আমি চলতে থাকি। কারণ, আমি যতক্ষণ চিন্তা করি যে আমার ঈমান আছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমার মনের মধ্যে লাগাতার ইসলাম সম্পর্কে খারাপ চিন্তা আসতেই থাকে। আমি যেন সব সময় মনের সাথে যুদ্ধ করছি। আমি কিছুতেই আমার ঈমান ধরে রাখতে পারছি না।
৫. আমার এই সমস্যা ১ মাস ধরে চলছে।  আমার অবস্থা খুবই খারাপ। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কি?

৬. ঈমান হারানো অবস্থায় কি তওবা কবুল হয়?

৭. খারাপ চিন্তা আসলে আসুক - এই চিন্তা করে কালিমা পড়লে কি ঈমান আসবে?

৮. উক্ত পরিস্থিতিতে আমার জন্য কি শরীয়তের শিথিলতা রয়েছে? কেননা, আমি ঈমান ধরে রাখতে পারছি না।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5011 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
فعلم أن تحريم الحلال يمين موجب للكفارة وما في بعض الروايات من أنه يحلف صريحا فليس هو في الآية ولا في الحديث الصحيح إلى آخر ما في فتح القدير
মোটকথাঃ হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতুল্য।যা কাফফারাকে ওয়াজিব করবে।পরিস্কারভাবে কসমকে উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।(বাহরুর রায়েক-৪/৩১৭)

تحريم الحلال يمين. كذا في الخلاصة. فمن حرم على نفسه شيئا مما يملكه لم يصر محرما ثم إذا فعل مما حرمه قليلا، أو كثيرا حنث ووجبت الكفارة كذا في الهداية-
হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতূল্য। যে ব্যক্তি কোনো জিনিষকে নিজের উপর হারাম সাব্যস্ত হবে।এ হারাম সাব্যস্তর দ্বারা উক্ত জিনিষ অবশ্যই হারাম হবে না।তবে যদি সে উক্ত জিনিষ করে নেয়,কম হোক বা বেশী হোক,তাহলে সে কসম ভঙ্গকারী রূপে গণ্য হবে।তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে।(হেদায়া)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কালেমা না পড়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা দ্বারা কসম হয়ে যাবে।কেননা এটা হালালকে হারাম করার নামান্তর।এবং অতি দ্রুত উক্ত কসমকে ভেঙ্গে  কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব।

(২)
জ্বী, এগুলো ওয়াসওয়াসা।

(৩)
এভাবে কালেমা পড়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৪)
এগুলো মনের ওয়াসওয়াসা। এই ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে, নেককার কোনো বুজুর্গের সংস্পর্শ গ্রহণ করতে হবে।

(৫)
হয়তো নেককার কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শ গ্রহণ করুন, অথবা তাবলীগে সময় লাগান।

(৬)
জ্বী, তাওবাহর দরজা সব সময়ই খোলা রয়েছে।

(৭)
খারাপ চিন্তা কে পরিহার করুন।তাবলীগে সময় লাগান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (13 points)
হুজুর, আমি কোরবানির ঈদ পর্যন্ত যতবার কালিমা পাঠ করবো ততবারই কি এই ওয়াদা ভঙ্গ হবে?
by (33 points)
হুজুর ১নং উওরে অাপনি বলেছেন কসম হয়ে যাবে অাবার অাল্লাহর নাম উচ্চারণ না করলে কসম হয় না তাও অনেক ফতোয়াতে বলেছেন। এখন সে ওয়াদা করতে চেয়েছেন হয়ত অাল্লাহর নাম উচ্চারণ করে ওয়াদাও করে নি তাহলে কসম কেন হয় 
by (583,410 points)
আল্লাহ নাম ব্যতিত কসম না হওয়ারই কথা, এটাই কিয়াসের তাকাযা। তবে হালালকে হারাম এবং হারাম কে হালাল করার দ্বারা আল্লাহর নাম উচ্ছারণের  মতই খেলাফে কিয়াস কসম হয়ে যাবে। 
by (33 points)
edited by
ধরেন অামি দৃঢ় প্রতিঙ্গা করলাম একজনের সাথে কথা বলব না এটাও কি কসম হয়ে যায়। অার কথাটি কি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করতে হয় 
by (583,410 points)
না, তবে নিজের উপর হারাম করলে কাফফারা দিতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...