১। আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
https://ifatwa.info/46456/ এই লিংকের প্রশ্নে আপনি বলেছিলেন মহিলা শুধু এক তা** এর মালিক হবে। এইসব ঘটনার পরে যদি আবার মহিলার স্বামী এই ধরনের কথা বলে, তাহলে তার হাতে কয় তা** এর অধিকার থাকবে?
"স্বামী যদি বলে যে " আমাকে যদি ভালো না লাগে তাহলে আমাকে তা++ দিয়ে আরেকটা বিয়ে করে নিও। এইভাবে কথা বলার ফলে কি মহিলা নিজেকে৷ তা++ দিতে পারবে? নাকি স্বামীকে দিতে পারবে। স্বামী তো তার নিজের কথা বলেছে,,,মহিলা কে উল্লেখ করেনি।মহিলা কে বলেনি তার নফসকে তা++ দেওয়ার জন্য। বলেছে মহিলা যাতে তার স্বামিকে দেয়। এই ঘটনার কারণে কি মহিলা আবার অধিকার পাবে? বা মজলিস শে* হবার পর সেই অধিকার থাকবে??
২। যদি এরকম হয় যে কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তা** হয়েছে মার্চ এর ৭ তারিখ, তারপর স্ত্রীর হায়েজ হয় মার্চের ১৫ তারিখ, এপ্রিলের ১৭ তারিখ, আবার ৩য় হায়েয হয় মে এর ১৮ তারিখ। এখন মে এর ১৮ তারিখের মাসিক ভালো হয় যদি ২১ তারিখ রাতে, আর যদি ২১ তারিখ দিনে বা সন্ধ্যায় আবার তা*** দেয় তাহলে সেটা পতিত হবে? যদি তখনও মহিলার ৩য় হায়েয শে* না হয়ে থাকে তাহলে কি ইদ্দত শে* হবে? নাকি তা++ পতিত হবে। মহিলার ২১ তারিখ হায়েয শে* হবার পর মনে হয় ১ দিন পর আবার একটু ব্লাড দেখেছিল। তাহলে কি তার উপর ওইসময় তা** পতিত হবে?
৩। মহিলা জন্ম নিয়ন্ত্রক পিল খেত তখন, অনিয়মের কারনে পিরিয়ডের তারিখ হেরফের হয়ে থাকতে পারে, এতে কি সমস্যা হবে ইদ্দত গননায়? তার পরীক্ষা থাকায় এক মাসে সে ইচ্ছা করে পিল এমন ভাবে খায় যাতে দেড়িতে পিরিয়ড হয়। কিন্তু এতে তার এমন কোন উদ্দেশ্য ছিল না যাতে তা** এর ইদ্দত গননায় সমস্যা হয়। তাহলে??
অর্থাত মহিলার ফেব্রুয়ারিতে ৬ তারিখ পিরিয়ড হয় পরের মাসে সে ইচ্ছা করে বাড়িয়ে পিল খেয়েছিল পরীক্ষার জন্য তাই , মার্চে ১৫ তারিখ পিরিয়ড হয়। এপ্রিলে ১৫/১৬ তারিখ এবং মে তে ১৮ তারিখ।
৪। যদি কোন মহিলাকে তার স্বামী হায়েজ চলাকালীন সময়ে তা*** দেয়,, তাহলে কি এই চলাকালীন হায়েজ সহ পরবর্তী ২ হায়েজ পর্যন্ত ইদ্দত গননা হবে? নাকি পরবর্তী ৩ হায়েজ?? চলাকালীন হায়েজ কি হিসাবে আসবে না?
৫। হুজুর,,,মহিলা এই ঘটনা টি নিয়ে খুবই চিন্তায় আছে। সে ভাবছে তার সংসার ঠিক আছে কিনা।
।মহিলা একদিন মনে মনে বলেছিল "আমার নিজের উপর"" এইটুকু বলে সে সন্দেহে পরে সে মুখে বলেছিল কিনা। তারপর সে মুখেই বলে "" আমার নিজের উপর ""। এইটকু সে কয়েকবার বলে চুপ করে আর সাথে সাথে সে শুনে ""তা**"" সে ভয় পেয়ে যায় তা** বলার কারনে। সে কিছুতেই মুখে "আমার নিজের উপর" এইটুকু বলার পর "তা**" শব্দ টা উচ্চারণ করবে না তার মনে হয়৷ কিন্তু শব্দ টা ছিল স্পষ্ট। তার কানে বেজেছে। তারপর সে ভাবে কথাটা সে মুখে বলেনি হয়তো। তার ওয়াসওয়াসার জন্য তার কানে বেজেছিল হয়তো শব্দ টা। কিন্তু সে খুবই ভয়ে আছে সে যদি সত্যি এই শব্দটা মুখে বলে ফেলে থাকে। সেজন্য সে মুখে "তা**" বলে। বলার পর মনে হয় অপরিচিত লাগে এইভাবে বলাটা। তার মনে হয়না সে কিছুক্ষণ আগে এইটা মুখে বলেছে। এখন সে কি ধরে নিবে তার তা** হয়ে গেছে?? নাকি হবে না। শব্দটা ছিল তার কন্ঠেই,,,, কিন্তু তার বিশ্বাস ছিল সে বলবে না কারন সে নিজে ভয়ে ছিল।।
তা*** শব্দটা ছিল স্বাধীন, মহিলার মনে হয়েছিল আগের বাক্যটার সাথে এইটা বলা হয়নি বা উদ্দেশ্য ছিল না। তখন মহিলার মাথা কাজ করছিল না, নানা চিন্তা আসছিল।
৬। এখন সে ভয়ে আছে সে ভুল করে বলে ফেলেছিল কিনা। এখন সে কি করবে?? সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না এটা কি শুধু মনের ভুল, নাকি তার মুখে সত্যি চলে এসেছিল তা** শব্দটা। সে যদি "আমার নিজের উপর " এই কথাটার পর পর অন্যমনস্ক হয়ে বা অনিচ্ছায় এই শব্দটা বলে ফেলে থাকতো তাহলে কি তা** হয়ে যেত?? তার কাছে ঘটনা টা এখনো অদ্ভুত,,,, কারন তার কোন ইচ্ছাই ছিল না এই শব্দ বলার তাও স্পষ্ট সেই শব্দ কিভাবে হলো,,,,,,, আবার সে বিশ্বাস ও করতে পারছে না বা মুখে বলার স্মৃতি ও পাচ্ছে না।