আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম
১। ক) কেউ যদি জেনেশুনে কোন গুনাহের কাজ করে (যেমন নাটক  দেখা,ইত্যাদি) তথা প্রবৃত্তির অনুসরন করে এবং ভাবে যে আল্লাহ ক্ষমাশীল, তাহলে কি সে শিরক করল?

খ)কেউ যদি বিশ্বাস করে যে, ইসলামে নারী পুরুষ সমান।কিন্তু আল্লাহ  তাদের কে প্রকৃতিগত,সামর্থের দিক ভিন্ন করেছেন এবং তাদের দায়িত্ব কর্তব্যের দিক থেকে ও ক্ষেত্রবিশেষে তাদেরকে  মর্যাদাও  ভিন্ন করেছেন। এ বিশ্বাস কি কুফর হবে?

গ) গুনাহ দেখে যদি  মাঝেমধ্যে অশান্তির ভয়ে চুপ থাকি, তাহলে আমি কবিরা গুনাহ বা  শিরক করলাম?

ঘ) ভালবাসার শিরক এর উদাহরণ দিয়ে বুঝাবেন প্লিজ?

২। এশার নামাযের সময় মাথায় আসে যে,এতদিন আমি ভুলবশত  যেসকল ধারনা  পোষন করছি তা শিরক হতে  পারে,কিন্তু  তখন তওবা ও শাহাদা পাঠ করা হয় নি (মাথায় আসে নাই),কিন্তু ফযরের সালাতের পর তা মনে পরায়  তওবা ও শাহাদা পাঠ করেছি।এখন, আমার এশা ও ফযর পুনরায় পড়তে হবে কি?

৩। আমি যার কাছ থেকে টাকা ধার নিবো, সে পেশায় শিক্ষক  তার জমানো  টাকা  থেকে সে আমাকে ধার দেবে,কিন্তু জমানো টাকা হালাল কিনা তা সন্দেহ থাকলে বা তা হালাল হারাম মিশ্রিত  মনে হলে, ধার নেয়া কি ঠিক হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 



শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

বিস্তারিত জানুনঃ  

(ক)
এতে সে শিরক করলো,এমনটি বলা যাবেনা।

(খ)
এ বিশ্বাস কুফর হবেনা।

(গ)
এতে শিরক হবেনা।
কবিরা গুনাহও হবেনা।
তবে বাধা দেয়ার শক্তি না থাকলে মন থেকে অবশ্যই নুন্যতম ঘৃণা করতে হবে 

(ঘ)
এই বিস্তারিত জানুনঃ  

(০২)
না,আপনার ঈশা ও ফজর পুনরায় পড়তে হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি তার থেকে ধার নিতে পারবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...