পড়তে বসার পূর্বে প্রথমে ৩বার যে কোনো দরুদ শরীফ পড়তে বলবেন ৷ তার পর ৩ বার – ربى زدنى علما (রাববী যিদনী ইলমা) তার পর আবার ৩ বার দরুদ শরীফ পড়ে পড়তে বসতে বলবেন। ইনশাআল্লাহ পড়া খুব ভালোভাবে মুখস্থ হবে,মনোযোগ বাড়বে এবং মনেও থাকবে ৷
এক্ষেত্রে পরিবাবের যা করনীয় (অনেক অভিজ্ঞ জন যাহা বলেছেন) :
১. ভাল ভাবে পরলে তারা তাদের জীবনে কতটা উন্নতি করতে পারবে তা বোঝানো।
২. যারা পড়ায় মনোযোগী না তাদের খারাপ অবস্থার কথা তাদের বলা।
৩. পড়াকে বাচ্চাদের কাছে মজার জিনিস হিসেবে পেশ করা।
পড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুন। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ কাম্য। সেটি ভোরবেলা হলে অনেক ভালো।যেটি আপনার জন্য সুবিধার সেটা আপনি নির্ধারণ করুন।পড়ার স্থাণটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
পড়াশোনাকে একটি রোজকার প্রক্রিয়াতে পরিণত করুন। মানে রোজ একই সময় পড়তে বসার অভ্যাস জরুরি।
টিভি,মোবাইল ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার, ইন্টারনেটসহ যাবতীয় মন বিক্ষিপ্ত করার সামগ্রী পড়ার সময় দুরে রাখাই ভাল।
পড়ার সময়কে আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করুন।
রোজ কি পড়াবেন সেটা আগে নির্দিষ্ট করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শেষ করানোর চেষ্টা করুন। এক টানা ঘন্টার পর ঘন্টা পড়া সম্ভব নয়।
তাই একটি পড়ার জন্য একটি সময় বেঁধে ফেলুন। ওই সময় এই পড়াটি তৈরি করুন তারপর একটি ছোট্ট বিরতি নিতে দিন।
এতো ঘন্টা পড়তেই হবে,এমন কোনো বাড়াবাড়ি করবেননা।
তাকে কিছু সময় নিজের মতো কিছু করার জন্য ছেড়ে দিতে হনে।
ব্যায়াম,খেলা ধুলা করাতে হবে।
মুখস্থ করার সময় একটা আয়াত বারবার পড়ার সময় আশেপাশে এদিক সেদিক নজর দিলে এতে কুরআনের প্রতি অসম্মান করা হয়না।
তবে যেহেতু রাসূল (সা.) ভোরবেলার সময়কে বরকতময় বলেছেন। সেই হিসেবে কেউ যদি ফজরের পর ঘুমায় তাহলে সে ঐ বরকত থেকে বঞ্চিত হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلًا تَاجِرًا، وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ
‘সাখর আলগামিদী (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূল(সা.) বলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন। তিনি কোনো ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথমভাগেই পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাখর (রা.) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথমভাগে (ভোরে) পাঠাতেন, ফলে তিনি সম্পদশালী হয়েছিলেন এবং এভাবে তিনি অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৬০৬]