আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

২)হুজুর বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগ আগ্ৰহ বাড়ানোর কোন আমল আছে ?

বাচ্চার বয়স আট বছর একদমই পড়াশোনা করতে চায় না। পড়াশোনায় কোন মনোযোগ নাই এমন কোন আমল আছে কি যা করলে পড়াশোনায় মনযোগী হবে??

২) হুজুর কোরআন শরীফ থেকে দেখে মুখস্থ করলে কি গুনাহ হবে ? মুখস্থ করার সময় একটা আয়াত বারবার পড়ি তখন আশেপাশে এদিক সেদিক তাকাই এতে কি কোরানের প্রতি অসম্মান করা হয়?

৩) হুজুর ফজরের সালাত পড়ে ঘুমানো কি মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য?কেউ যদি ঘুমায় তার মধ্যে কি মুনাফিকের আলামত আছে বলে মনে করতে হবে ?

৪) এশার নামাজ দেরিতে পড়ানাকি মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য ।

তাহলে কয়টার মধ্যে পড়া ভালো ? দশটার মধ্যে পড়লে হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
পড়তে বসার পূর্বে  প্রথমে ৩বার যে কোনো দরুদ শরীফ পড়তে বলবেন ৷ তার পর ৩ বার –   ربى زدنى علما (রাববী যিদনী ইলমা) তার পর আবার ৩ বার দরুদ শরীফ পড়ে পড়তে বসতে বলবেন। ইনশাআল্লাহ পড়া খুব ভালোভাবে মুখস্থ হবে,মনোযোগ বাড়বে  এবং মনেও থাকবে ৷

এক্ষেত্রে পরিবাবের যা করনীয় (অনেক অভিজ্ঞ জন যাহা বলেছেন) :
১. ভাল ভাবে পরলে তারা তাদের জীবনে কতটা উন্নতি করতে পারবে তা বোঝানো।
২. যারা পড়ায় মনোযোগী না তাদের খারাপ অবস্থার কথা তাদের বলা।
৩. পড়াকে বাচ্চাদের কাছে মজার জিনিস হিসেবে পেশ করা।

পড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুন। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ কাম্য। সেটি ভোরবেলা হলে অনেক ভালো।যেটি আপনার জন্য সুবিধার সেটা আপনি নির্ধারণ করুন।পড়ার স্থাণটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

পড়াশোনাকে একটি রোজকার প্রক্রিয়াতে পরিণত করুন। মানে রোজ একই সময় পড়তে বসার অভ্যাস জরুরি।

টিভি,মোবাইল ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার, ইন্টারনেটসহ যাবতীয় মন বিক্ষিপ্ত করার সামগ্রী পড়ার সময় দুরে রাখাই ভাল। 

পড়ার সময়কে আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করুন।

রোজ কি পড়াবেন সেটা আগে নির্দিষ্ট করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শেষ করানোর চেষ্টা করুন। এক টানা ঘন্টার পর ঘন্টা পড়া সম্ভব নয়।

তাই একটি পড়ার জন্য একটি সময় বেঁধে ফেলুন। ওই সময় এই পড়াটি তৈরি করুন তারপর একটি ছোট্ট বিরতি নিতে দিন। 

এতো ঘন্টা পড়তেই হবে,এমন কোনো বাড়াবাড়ি করবেননা। 

তাকে কিছু সময় নিজের মতো কিছু করার জন্য ছেড়ে দিতে হনে।

ব্যায়াম,খেলা ধুলা করাতে হবে।

(০২)
কুরআন শরীফ থেকে দেখে মুখস্থ করলে গুনাহ হবেনা।

মুখস্থ করার সময় একটা আয়াত বারবার পড়ার সময়  আশেপাশে এদিক সেদিক নজর দিলে এতে কুরআনের প্রতি অসম্মান করা হয়না।

(০৩)
এটি হাদীসের ভাষ্যমতে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত নয়।

তবে যেহেতু রাসূল (সা.) ভোরবেলার সময়কে বরকতময় বলেছেন। সেই হিসেবে কেউ যদি ফজরের পর ঘুমায় তাহলে সে ঐ বরকত থেকে বঞ্চিত হবে।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلًا تَاجِرًا، وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ

‘সাখর আলগামিদী (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূল(সা.) বলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন। তিনি কোনো ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথমভাগেই পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাখর (রা.) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথমভাগে (ভোরে) পাঠাতেন, ফলে তিনি সম্পদশালী হয়েছিলেন এবং এভাবে তিনি অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৬০৬]

(০৪)
এটিও মুনাফিকের বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত নয়।
,
দশটার মধ্যে পড়াই ভালো।

অর্ধ রাতের পর ঈশার নামাজ পড়া মাকরুহ।

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...