আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

।।।।।কোন স্বামী যদি বিয়ের আগে শপথ করে বলে বিয়ের পর কোনদিন সহবাস করবে না।কিন্তুু বিয়ের ১ মাস পর ঠিকি শপথ ভান্গে মানে সহবাস হয়।এরপর স্বামী বিদেশ চলে যায় ১-২ বছর পরে আসে।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

।।।।।আর যদি বিয়ের পর শপথ করে বলে কোনদিন সহবাস করবে না।ঠিকি ৪ মাসের ভেতর করে।এরপর যদি স্বামী বিদেশ চলে যায় তাহলে কি আর ঈলা কার্যকর হবে? ৪  মাসের ভিতর শপথ ভেন্গে ফেললেও?

।।।।কেও যদি বিয়ের পর শপথ করে বলে সারাজীবন সহবাস করবে না।এরপর ঈলার কারনে এক তালাক হয়।আবার বিয়ে করে পর।এর ৪ মাসের ভিতর সহবাস হওয়ার পর স্বামী আবার বিদেশ চলে গেলে কি কোন সমস্যা হবে?

১।এখানে উপরের ৩ টা প্রশ্নেই কাফফারা আদায় করতে হবে বুঝলাম।শপথ ভান্গার পর বিদেশ চলে গেলে ১-২ বছর পর আসলে আর কোন সমস্যা হবে না তাই না?কারন শপথ ভেন্গে ফেলছে তাই?

২।কোন স্ত্রী যদি রাগ করে মেসেজে বলে আমাকে ভাল না লাগলে বলে দাও বা বল।এরপর আমি তুমার জীবন থেকে চলে যাব বা আমি চলে যাব অনেক দূরে।স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে চলে যাও বা যাইলে যাওগা।একটা গেলে আরেকটা আসবে।এসব কথা দ্বারা কী তালাক হবে? স্বামীর যদি নিয়ত তালাকের না থাকে বা অস্বীকার করে তাহলে?

৩।ধরেন কোন স্বামী কেনায়া বাক্য তালাকের  নিয়তে বলেছে।কিন্তুু অস্বীকার করেছে।মানে স্ত্রী নিয়ত জিগ্যেস করার পর আর কি।তহ এতে কি স্ত্রীর গুণাহ হবে সারাজীবন সংসার করলে?

৪।এই প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য।ধরেন কেউ প্রশ্ন করেছে।ধরেন কোন আলেম বা মুফতি সাহেব পুরো  প্রশ্ন না পড়ে উত্তর দিছে।আর উত্তর যদি সঠিক না হয় তাহলে যে প্রশ্ন করেছে ওর কি গুনাহ হবে? সেই অনুযায়ী আমল করলে? ধরেন আবার পরে ওর  মনে ওয়াসওয়াসা আসার কারনে আবার করল প্রশ্নটা তখন ও একই উত্তর দিছে।এতে ওর কি গুণাহ হবে?

৫।ধরেন একটা প্রশ্নের উত্তর  বা ফতোয়া ২ জন আলেম ২ রকম দিছে।তাহলে যে কোন একজনের টা মানলে বা আমল করলে কি গুনাহ হবে?শুধু এটা জানতে চাচ্ছি যে ওইরকম করলে কি গুণাহ হবে?

৬। ধরেন কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।কিন্তুু সে   মানে বউ জানে নার যে ইসলামী শরীয়তে মেয়েরা তালাক দিতে পারে যে সেটা।সে যদি স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলে যদি পরাকীয় করছ যে জানি তাহলে আর থাকব না এতটুকু তে তালাক।মানে সে মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করেছে মনে হয়।।মানে   আইনের মাধ্যমে দিয়ে দিবে সেটি বুঝিয়েছে। এতে স্বামী ওই কাজটা মানে পরাকীয় করলে কি তালাক হয়ে যাবে?  ধরেন ও নিজেই সন্দেহে পড়ে গেছে কোন দিকে ইন্গিত করেছে কারন সে জানে না মেয়েরা তালাক দিতে পারে সেটা।

৭।আমাকে আমার স্বামী তালাকের পাওয়ার  দিছে।কিন্তুু আমার দিকে ইন্গিত করে প্রশ্ন করি নি।কারন ঠিক এমনটা আমার সাথে হয়েছে কিনা জানি না,মনে নেই।তাই সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করেছি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে।এতে আমার বৈববাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

৮।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে বা কলে বলে বেশি ভুল করছি তুমাকে বিয়ে করে।আর কোন রাস্তা নাই,এভাবে সারাজীবন কাটাতে হবে।জামাই যদি বলে আমি সুযোগ  দিচ্চি চলে যেতে পার বা যাও।স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে না অস্বীকার করে তাহলে কি তালাক হবে? স্ত্রী তালাক না চাইলে?মেসেজে?

1 Answer

0 votes
by (680,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47007 ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে  তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

অর্থাৎ যদি কেহ যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হ্যাঁ উপরের তিনটি প্রশ্নেই কসম ভেঙ্গে ফেলার দরুন  কাফফারা আবশ্যক হবে। 

এখন বিদেশ হতে ১-২ বছর পর আসলে আর কোন সমস্যা হবে না।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  যেহেতু স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলোনা,তাই এতে তালাক হবেনা। 

(০৩)
এতে স্ত্রীর গুনাহ হবেনা।

স্বামী মিথ্যা বললে স্বামীর গুনাহ হবে।

(০৪)
যদি এখানে পুরোটা না পড়ে ভুল ফতোয়া দেয়া হয়,তাহলে প্রশ্নকারী যদি সেই ভূল বুঝতে না পেরে ভূল ফতোয়ার উপরেই আমল করে,তাহলে প্রশ্নকারীর গুনাহ হবেনা।
বরং ফতোয়া  প্রদানকারীর গুনাহ হবে।
তবে প্রশ্নকারী যদি বুঝতে পারে যে উক্ত ফতোয়া ভুল,তাহলে ভুল জানা সত্ত্বেও সেই ঐ ফতোয়ার উপর আমল করলে গুনাহ তারও হবে।
কেননা সে জেনে শুনে ভুল ফতোয়ার উপরে আমল করেছে।
,
আর যদি ফতোয়া প্রদান কারী সঠিক ফতোয়াই প্রদান করে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

(০৫)
যেই ফতোয়া দলিল ভিত্তিক সঠিক,সেটির উপর আমল করতে হবে,মনের মতো করে কোনোটা মানা যাবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামী ঐ কাজটা মানে পরকীয়া করলে তালাক হয়ে যাবেনা।

(০৭)
এতে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৮)
স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে, তাহলে তালাক
হবেনা।

অস্বীকার করলে স্বামীর গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...