আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
171 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
পরিবার নিয়ে অনেক ঝামেলায় আছি,,,আমরা জয়েন পরিবার।আমার বাবা বিদেশ থাকে আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি তখন থেকে।এখন আমি এডমিশন দিচ্ছি আর আমার ছোট বোন ফোরে পড়ে।ভালো ইনকামই করতো আগে,,,এখন তো আরও ভালো পজিশনএ আছে আলহামদুলিল্লাহ।আমার বাবা কোনোদিন আমাদের কথা শুনে নি,,আমরা ছোট থেকে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি খাবার থেকে শুরু করে থেকেছি রান্না ঘরে,,,জামা রেখেছি বিস্কুট এর কার্টনে যন্ত্রনাটা এইখানেই বাবা এত ভালো পজিশনে থেকেও এই অবস্থায় ছিলাম।অনেক রাতে সবাই তরকারি দিয়ে খেয়ে ফেলতো আমি আম্মু বিস্কুট খেয়ে ঘুমাতাম।এমন অনেক কিছু ফেস করেছি আলহামদুলিল্লাহ।  আব্বুকে বলতাম না শুনার বান করে থাকতো,,আর এখন টাকার হুমকি দেয়।আমার দাদি কুফরি করে,,আমার ফুফুকেও এইভাবেই বিয়ে দিছে।সবাইভাবে আব্বুকেও এমন করেছে।আজও আমি এত বড় হয়ে গেছি আব্বু আমার কথা শুনে না।এমন কোনদিন যায়নি আমি আব্বু আম্মু কে ঝগড়া করতে দেখি নি।আমি ছোট থেকে এইসব দেখে বড় হয়েছি।অনেক কানতাম।আমি অনেক চাইতাম এমন একটা সকাল আসতো সব ঠিক হয়ে যেতো। আমার আম্মু অনেক যন্ত্রনা সহ্য করছে,,,২২ বছর এর সংসার।আম্মু এখন আর পারে না,,অনেকবার আম্মু চলে যেতে চাইছে আমি অনেকভাবে বুদ্ধি করে ঠিক করেছি।আমি নানু বাড়ীতে ছিলাম ঢাকায় ছিলো কলেজ।এডমিশন তাই বাসায় আছি।এর মধ্যে আমি আল্লাহ পথে চলার চেষ্টা করি,,আমার এই চলায় আম্মুকে ছাড়া আমি কাউকে পাশে পাইনি।আমার দাদি বলে পর্দা করলে বিয়ে হবে না।নাউজুবিল্লাহ

বাবা বলে ফুফা সামনে যাও না,কেন আম্মু বলে ফুফা তো মাহারাম না বাবা বলছে এইটা কিসের পর্দা।আম্মু আব্বু প্রতিদিন কথা কাটাকাটি করে, আম্মুকে আমি অনেক বুঝাই মাঝেমধ্যে আর আমার হাতে আর,কিছু থাকে না।বলে আমি বাবা,কে কিছু বলি না নানান কথা।আম্মু চলে যাবে।

বাবাকে কিছু বলা যায় না।একদিন বলছিলাম বলে বেশি কথা বলবি না আমার,মা যেভাবে বলে অইভাবে থাকলে থাক নয়তো চলে যা।এইটাও বলছে আমাদের জন্য নাকি আম্মুকে রাখছে।

আম্মু অনেক পেইন পায়,আমার নিজের চোখে দেখা।আমার কিছু করার নেই।সামর্থ্য নেই যে আম্মুকে নিয়ে চলে যাবো।

আজকেও ঝগড়া হইছে আমি লিখছি আর কান্না করছি।

আমি কি করবো উস্তাদ,আমাকে একটা উপায় বের,করে দেন।

আমার এই যন্ত্রণাকে আমি কিছুই মনে করিনা,,,,নিশ্চয়ই আল্লাহ সব দেখছেন।আল্লাহ একদিন সব ঠিক করে দিবে।আরা এত দিবেন যে আমি খুশি হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

কিন্তু আমার আব্বু আম্মু তো আর বুজে না।আর আশেপাশে মানুষ তো আছেই।হয়তো আম্মুর জায়গায় থাকলে আমিও এমনটাই করতাম।আল্লাহ ভালো জানেন।আমাকে একটা উপায় বলে দেন উস্তাদ।

আরেকটা প্রশ্ন ছিলো আমি কখনো ভ্রু প্লাক করিনি ইনশা আল্লাহ করবো ও না।কয়েকবার শুং দিয়ে নিজেরটা নিজে সাইজ করছিলাম।আল্লাহ আমাকে, মাফ করুক।

কয়েক বার করছি।আমার অনেক খারাপ লাগছে আমি এখন কি করতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
পর্দা করা ফরজ।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ     

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর ৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

উক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। 

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
আপনি পরিপূর্ণ ভাবে এই শরয়ী পর্দা চালিয়ে যাবেন।
যদি কোথাও বা কোনো অনুষ্ঠানে গেলে পর্দার সমস্যা হয়,সেক্ষেত্রে সেখানে যাবেননা।
পর্দার সমস্যা হয়,এমন কোনো কাজের আদেশ আপনার বাবা করলে আপনি সেটা মানবেননা।  

★নিজ পরিবারের এহেন অবস্থার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।
এভাবে পূর্ণ দ্বীন মেনে চলে ভালো পরিবারে দ্রুত বিবাহের দোয়াও করতে পারেন,যাতে এই সমস্যা আপনার জীবন থেকে চলে যায়।

মুরব্বীদের মাধ্যমে আপনাদের পারিবারিক সমস্যা  সমাধানের চেষ্টা করুন,তাদেরকে দিয়ে বৈঠক করে বাবাকে বুঝাতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা তওফিক দান করুন।
নিশ্চয়ই তিনিই একমাত্র তওফিক দাতা।   

আপনি এই ভাবেই পরিপূর্ণ ভাবে এই শরয়ী পর্দা চালিয়ে যাবেন।
এইভাবেই ঝগড়া ইত্যাদির সময় মাকে বুঝানো অব্যাহত রাখবেন। 

(০২)
আপনার কৃত কর্মের দরুন মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।
আল্লাহর কাছে ওয়াদা বদ্ধ হতে হবে যে আর জীবনেও এহেন কাজ করবেননা,তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনার উক্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন,ইনশাআল্লাহ।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...