জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)
আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।
সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে স্ত্রী তার স্বামীকে
রেশমের কাপড় দিয়ে হস্তমৈথুন করিয়ে দিতে পারবে।
,
আরো জানুনঃ
(০২)
হ্যাঁ এমতাবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে পারবে।
(০৩)
স্ত্রী যদি রেশমের কাপড় পরে তাহলে স্বামী সেই রেশমের কাপড়ের উপর দিয়ে স্ত্রীকে উপভোগ করতে পারবে।
(০৪)
স্ত্রীর মাসিক অবস্থায় স্ত্রীর যোনিতে হাত দেয়া যাবে।
তবে তাহা থেকে উপভোগ করা যাবেনা।
★তবে বিনা প্রয়োজনে উক্ত নাপাক স্থানে স্বামীর হাত না দেওয়াই তাকওয়ার দাবী।
(০৫)
স্ত্রী যদি ঘুমানো অবস্থায় থাকে তাহলেও স্বামী স্ত্রীকে এভাবে উপভোগ করতে পারবে।
তবে স্ত্রী এতে কষ্ট ফিল করলে আগে থেকে তার অনুমতি নেয়া ছাড়া এমনটি করা ঠিক হবেনা।
(০৬)
স্ত্রী যদি ঘুমানো অবস্থায় থাকে তাহলে স্বামী স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে পারবে।
তবে স্ত্রী এতে কষ্ট ফিল করলে আগে থেকে তার অনুমতি নেয়া ছাড়া এমনটি করা ঠিক হবেনা।
(০৭)
জায়েজ আছে।
তবে কদমবুসি ও সেজদার ন্যায় মাথা ঝুকাবেনা।
(০৮)
হ্যাঁ কথা বলা যাবে।
(০৯)
স্বামী স্ত্রী উপভোগ করার সময় উত্তেজনামূলক শব্দ বলা যাবে।
(১০)
হ্যাঁ এমন কথা বলা যাবে।
স্বামী স্ত্রী উভয়েই এমন কথা বলতে পারবে।
(১১)
হ্যাঁ, বলা যাবে।
তবে এভাবে স্ত্রীর কোনো অঙ্গকে বাজে কোনো নামে ডাকা,যাতে স্ত্রী কষ্ট পায়,এমনটি করা যাবেনা।
(১২)
স্ত্রীর মলদ্বারের ছিদ্রের ভিতর না হলে নাজায়েজ হবেনা।
(১৩)
হ্যাঁ এগুলোর ব্যবহার জায়েজ।
(১৪)
স্ত্রীর নিতম্বের মধ্যে বীর্যপাত করা জায়েজ নেই।
তবে নিতম্বের বাহিরে বীর্যপাত করা যাবে।
(১৫)
জামাতে অংশ গ্রহন যেনো করা যায়,সেটিকে সামনে রেখে আপনার জন্য যেটি ভালো মনে করবেন,সেটি করবেন।
আপনার ইচ্ছাধীন।
,
তবে জামাত যেনো মিস না যায়,সেটির আপ্রান চেষ্টা করবেন।
(১৬)
যদি সূদ ভিত্তিক এনজিও হয়,তাহলে সেই খাবার/হাদিয়া নিবেননা।
নিয়ে থাকলে সেই পরিমান টাকা গরিব মিসকিনকে দান করবেন।
আর যদি সূদ ভিত্তিক না হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
(১৭)
এমনটি করার অনুমতি রয়েছে,তবে কোনো মাসয়ালার ক্ষেত্রে কাটছাট ব্যাতিত।
এবং নিজের পক্ষ থেকে কোনো অংশ বাড়ানো যাবেনা।