হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ خُلِقَتِ المَلاَئِكَةُ مِنْ نُورٍ وَخُلِقَ الجَانُّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ وَخُلِقَ آدَمُ مِمَّا وُصِفَ لَكُمْ رواه مسلم
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফিরিশতাদেরকে জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে অগ্নিশিখা হতে। আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই বস্তু থেকে, যা তোমাদেরকে বর্ণনা করা হয়েছে। (অর্থাৎ, মাটি থেকে)।
(মুসলিম ৭৬৭৮)
আল্লাহ তায়ালা ইবাদত বান্দেগীর জন্য সর্বপ্রথম ফেরেশতাদের সৃষ্টি করেছেন।
দুনিয়া সৃষ্টির পূর্বেই তাদের সৃষ্টি করেছেন,একমাত্র ইবাদত এখানে উদ্দেশ্য।
যেসমস্ত দায়িত্ব তাদের দেয়া হয়েছে,এগুলো সবই আল্লাহর আদেশ মানা ও তার ইবাদত করারই অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহর সমস্ত হুকুম তামিল করেন ফেরেশতারা। তারা মহান আল্লাহর আরশে সর্বদা আল্লাহর প্রশংসাগীতিতে নিমগ্ন থাকেন ফেরেশতারা।
তাঁরা আল্লাহর আরশের সৌন্দর্য। আল্লাহর আরশ বহন করেন সম্মানিত ফেরেশতারা। ইরশাদ হয়েছে, ‘(কিয়ামতের দিন) ফেরেশতারা আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে। সেদিন আটজন ফেরেশতা তোমার রবের আরশকে ধারণ করবে তাদের ঊর্ধ্বে।’ (সুরা : হাক্কাহ, আয়াত : ১৭)
ফেরেশতা সৃষ্টির আরো একটি হিকমত হলো, তাঁরা মানবজাতির সামনে অনুকরণীয় আদর্শ। মানুষের বোঝার সুবিধার্থে মহান আল্লাহ জোড়ায় জোড়ায় সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। যেমনঃ রাত-দিন, ওপর-নিচ, ডান-বাম, ভালো-মন্দ, আলো-আঁধার, মিঠা-তিতা, গরম-ঠাণ্ডা, সূর্য-চন্দ্র, আসমান-জমিন ও জীবন-মৃত্যু।
মানুষের বিপরীতে মহান আল্লাহ ফেরেশতা ও শয়তান সৃষ্টি করেছেন। ফেরেশতারা পাপাচার করতেই জানেন না। সব সময় তাঁরা পুণ্যময় কাজে নিমগ্ন থাকেন। আর শয়তান সর্বদা শয়তানি ও পাপাচারে লিপ্ত থাকে। শয়তানের জাতিসত্তায় আছে অপরাধপ্রবণতা। এর বিপরীতে মানুষকে স্বাধীন সত্তায় সৃষ্টি করা হয়েছে।
মানুষ পাপও করতে জানে, পুণ্যও করতে পারে। ফেরেশতা ও শয়তান।
এই দুই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে বিশেষ হিকমতে, যাতে মানুষ সতর্ক হতে পারে।