আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুৃম ওরাহমাতুল্লা।

১।কোন স্বামী যদি বিয়ের আগে শপথ করে বলে বিয়ের পর কোনদিন সহবাস করবে না।কিন্তুু বিয়ের ১ মাস পর ঠিকি শপথ ভান্গে মানে সহবাস হয়।এরপর স্বামী বিদেশ চলে যায় ১-২ বছর পরে আসে।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

২।আর যদি বিয়ের পর শপথ করে বলে কোনদিন সহবাস করবে ন।ঠিকি ৪ মাসের ভেতর করে।এরপর যদি স্বামী বিদেশ চলে যায় তাহলে কি আর ঈলা কার্যকর হবে? ৪  মাসের ভিতর শপথ ভেন্গে ফেললেও?

৩।কেও যদি বিয়ের পর শপথ করে বলে সারাজীবন সহবাস করবে না।এরপর ঈলার কারনে এক তালাক হয়।আবার বিয়ে করে পর।এর ৪ মাসের ভিতর সহবাস হওয়ার পর স্বামী আবার বিদেশ চলে গেলে কি কোন সমস্যা হবে?

৪।শুনেছি ঈলা করত জাহেলী যুগে স্ত্রীকে কস্ট দেওয়ার জন্য, ঝুলিয়ে রাখত কিছু করত না তাই।তহ এখন যদি শপথ করার পর ও স্ত্রী স্বামীকে ৪ মাসের বেশি সময় দূরে থাকার অনুমতি দেয়।মানে স্বামী দূরে থাকে তাই স্ত্রী অনুমতি  দেয় ৭-৮ মাস পরে আসার জন্য তবু কি তালাক হবে? যেখানে স্ত্রী নিজেই থাকার অনুমতি দেয় সেখানে কি আর স্ত্রীর তালাক হবে?

৫।কোন স্বামী যদি স্ত্রীকে মাসআালা বুঝানোর জন্য বলে " ৪ মাস না যাব বলে  কসম করলাম এর পর না গেলে বউ তালাক হবে না, চার মাসের  ভেতর যদি ঝামেলা সলভ হয় তহ ঠিক আছে  আর না হলে তখন ছেড়ে দিতে পারবে বউকে" মাসআালা বুঝানোর জন্য এরকম বলে তাহলে কি তালাক হবে? কারন এই বিষয়টা নিয়ে স্ত্রী টেনশনে ছিল।স্বামী  তাকে বুঝিয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
সেই স্বামী যদি আল্লাহর নামে কসম কেটে উক্ত কথা বলে থাকে,তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে।

(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে  তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

অর্থাৎ যদি কেহ যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে ফেলার কারনে কাফফারা আবশ্যক হবে।

(০৩)
এতে আর কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৪)
হ্যাঁ তালাক হবে।

(০৫)
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নয়,বরং শুধু মাসয়ালা বুঝানোর জন্য এমনটি বললে ঈলা হবেনা।
তালাকও হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...